Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Sunday, September 21, 2014

চালুর পর সর্বোচ্চ অবস্থানে ডিএসইএক্স সূচক

চালুর পর থেকে প্রথমবারের মতো চার হাজার ৯০০
পয়েন্টের ঘর অতিক্রম করেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকটি। গতকাল
দিন শেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স চার হাজার
৯১৩ দশমিক ২৪ পয়েন্টে স্থির হয়। এটি এ
যাবৎকালে সূচকটির সর্বোচ্চ অবস্থান। লেনদেনের
একপর্যায়ে সূচকটি চার হাজার ৯৩০ পয়েন্টের ঘর
অতিক্রম করলেও দিনের সমন্বয় শেষে এখানে স্থির হয়
সূচকটি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে শুরু থেকে সাধারণ
সূচকটিকে প্রধান সূচক হিসেবে গণনা করা হতো। কিন্তু
২০১০ সালে পুঁজিবাজার বিপর্যয়েরও আগে সূচকটির
কার্যকারিতা নিয়ে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের
নানা অভিযোগ ছিল। ফলে বিভিন্ন মহল
থেকে সূচকটি পরবর্তনের দাবি উঠলে পুঁজিবাজার
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড
এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সূচকটি পরিবর্তনের
নির্দেশ দেয় ডিএসই কর্তৃপক্ষকে। এরই আলোকে গত বছরের
২৭ জানুয়ারি থেকে চালু হয় নতুন সূচক ডিএসইএক্স (ব্রড
ইনডেক্স)।
ডিএসই সূচকের ১০০০ পয়েন্ট ভিত্তি ধরে ২০১৩ সালের
২৭ জানুয়ারি চার হাজার ৫৫ দশমিক ৯০ পয়েন্ট
থেকে যাত্রা শুরু করে সূচকটি। চালুর পর থেকে দীর্ঘ
মন্দায় আটকে যায় সূচকের যাত্রা। একই বছরের ৩০
এপ্রিল সূচকটি নেমে আসে তিন হাজার ৪৩৮ পয়েন্টে।
পরে বাজারের বিভিন্ন সময়ের ইতিবাচক
পরিবর্তনে সূচকটি এগিয়ে যেতে থাকে। এরই
ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর এ
প্রধান সূচকটি চার হাজার ৮৪৫ পয়েন্টে পৌঁছলেও আর
অগ্রসর হতে পারেনি। এর পর দীর্ঘ দিন নেতিবাচক
প্রবণতার শিকার হয় পুঁজিবাজার। তবে পুঁজিবাজারের গত
দুই মাসের মূল্যবৃদ্ধির
ধারাবাহিকতা সূচকটিকে আবারো এগিয়ে নিতে থাকে। আর
এভাবে চালুর পর এ যাবৎকালে সর্বোচ্চ
অবস্থানে পৌঁছে যায় ডিএসইর এই প্রধান সূচক।
গতকাল দিনের লেনদেনে ৪৭ দশমিক ০৫ পয়েন্ট
উন্নতি ঘটে সূচকটির। ডিএসইর অপর দুই সূচক ডিএসই-৩০
ও ডিএসই শরিয়াহ সূচকের উন্নতি ঘটে যথাক্রমে ১
দশমিক ৩৭ ও ৬ দশমিক ৭০ পয়েন্ট। দেশের দ্বিতীয়
পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক
মূল্যসূচক ও সিএসসিএক্স সূচকের
উন্নতি ঘটে যথাক্রমে ১৭৯ দশমিক ৮৭ ও ১৩৭ দশমিক ৩২
পয়েন্ট। এখানে সিএসই-৩০ সূচকটি ২৮ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট
বৃদ্ধি পায়।
সূচকের উন্নতি অব্যাহত থাকলেও গতকাল দুই পুঁজিবাজারের
লেনদেনে কিছুটা অবনতি ঘটে। ঢাকায় লেনদেন
কমেছে ৩০৭ কোটি টাকা। আগের দিনের এক হাজার ২৮৮
কোটি টাকার স্থলে গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয় ৯৮১
কোটি টাকা। চট্টগ্রামে ৭৬ কোটি টাকা থেকে ৬৬
কোটিতে নেমে আসে লেনদেন। তবে লেনদেনের এ
অবনতিকে খুবই স্বাভাবিক উল্লেখ করেছেন পুঁজিবাজার
সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, একদিন হঠাৎ বড় ধরনের
লেনদেন হওয়া মানে বিনিয়োগকারীরা তাদের
সামর্থ্যরে একটি বড় অংশ সে দিন বাজারে বিনিয়োগ
করেছেন। ফলে পরবর্তী দিনগুলোতে তাদের
সক্ষমতা কমে আসে। এটাই লেনদেনে বড় ধরনের অবনতির
কারণ হিসেবে দেখা হয়। তা ছাড়া ডিএসই কর্তৃপক্ষের
মতে, গত বৃহস্পতিবার একটি নির্দিষ্ট বহুজাতিক
কোম্পানির শেয়ারের বড় আকারের ব্লক
ট্রেডিং সে দিনের লেনদেন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছিল।
গত বৃহস্পতিবারের লেনদেন ও সূচকের উন্নতির
ধারাবাহিকতা ছিল গতকাল লেনদেনের শুরুতেও। বিপর্যয়-
পরবর্তী যেকোনো সময়ের তুলনায় বিনিয়োগকারীরা এখন
বাজারের ওপর যে বেশি আস্থাশীল হয়ে উঠেছেন তার
প্রমাণ ছিল ব্রোকার হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের
ট্রেডিং ফোরগুলোতে। সব হাউসেই ছিল তাদের সরব
উপস্থিতি। লেনদেনের শুরুতে তার প্রভাবও ছিল স্পষ্ট।
ঢাকায় সকালে চার হাজার ৮৬৬ পয়েন্ট থেকে লেনদেন
শুরু করেই ১৫ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান
সূচকটি পৌঁছে যায় চার হাজার ৯০৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ ১৫
মিনিটেই ডিএসই সূচকের উন্নতি ঘটে ৪২ পয়েন্ট।
লেনদেনের এ পর্যায়ে সাময়িক
বিক্রয়চাপে পড়ে বাজারটি। পরবর্তী ১৫ মিনিটে অর্থাৎ
বেলা ১১টায় সূচকটি নেমে আসে চার হাজার ৮৭৮
পয়েন্টে। কিন্তু দ্রুতই এ চাপ সামলে নেয় বাজারটি।
দিনের বাকি সময় বরাবরই সূচকের
ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রাখে ঢাকা শেয়ারবাজার।
লেনদেন শেষ হওয়ার আগে দিনের সর্বোচ্চ চার হাজার
৯৩০ দশমিক ০৭ পয়েন্টে পৌঁছে যায় ডিএসই সূচক।
দিনের সমন্বয় শেষে চার হাজার ৯১৩
পয়েন্টে এসে স্থির হয়।
গতকাল দুই বাজারেই আচরণগত পরিবর্তন ছিল স্পষ্ট।
এতদিন ধরে টানা মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় থাকা প্রবণতায়
আটকে থাকা ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও
টেক্সটাইল গতকাল ঘুরে দাঁড়ায়। এ তিনটি খাতে ৮০
শতাংশেরও বেশি কোম্পানি মূল্যবৃদ্ধির তালিকায়
উঠে আসে। অনুরূপ প্রবণতা ছিল মিউচুয়াল ফান্ডেও। এর
ফলে বাজারে আরো ভারসাম্যপূর্ণ হতে যাচ্ছে এমনটিই
আশাবাদ সংশ্লিষ্টদের। আর এ তিনটি বড় খাতের
মূল্যবৃদ্ধিই গতকাল দুই পুঁজিবাজার সূচককে এগিয়ে নেয়।
আর এর ফলে লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানিই
উঠে আসে মূল্যবৃদ্ধির তালিকায়। ঢাকায় লেনদেন
হওয়া ৩০৫টি সিকিউরিটিজের মধ্যে ২৩২টির
মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। দর হারায় ৬০টি। ১৩টির দর ছিল
অপরিবর্তিত। অপর দিকে চট্টগ্রামে লেনদেন
হওয়া ২৩০টি সিকিউরিটিজের মধ্যে ১৬৭টির দাম বাড়ে,
৫৩টির কমে এবং ১০টির দাম অপরিবর্তিত থাকে।
প্রিন্ট প্রিভিও | পিছনে
শেয়ার ও বিনিয়োগ
চালুর পর সর্বোচ্চ অবস্থানে ডিএসইএক্স সূচক
খাঁন ব্রাদার্সের আইপিও জমা নেওয়া শুরু
ন্যাশনাল ফিড মিলের আইপিও অনুমোদন
সূচক ও লেনদেন বেড়েছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জে
সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করতে চায় গ্রামীণ ব্যাংক
ডিএসইতে সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন
ঈদে ৯ দিন বন্ধ থাকছে শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজারের লেনদেন হাজার কোটি টাকার বেশি

No comments: