এক বছরের ব্যবধানে অনুমোদিত সরকারি পদের
সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ৯৯৩ । এ
মুহূর্তে দেশে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪১২টি সরকারি পদ
শূন্য রয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রীসভার এক
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শূন্য পদগুলো দ্রুত
পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে এসব নিয়োগ
যেন ন্যায়ভিত্তিক ও প্রতিযোগিতামূলক হয়
সে ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট
সকলকে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন
বলে জানা গেছে ।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন,
জনবল ঘাটতি স্বাভাবিক কাজের ব্যাঘাত ঘটায়
এবং যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সেবার পথ রুদ্ধ করে।
তাই সরকারের আন্তরিকতা ও অগ্রাধিকারকে গুরুত্ব
দিয়ে এই অথর্বছরের মধ্যে নিয়োগ চূড়ান্ত
করতে না পারলেও প্রক্রিয়া শুরু ও
তা এগিয়ে নেওয়ার কাজ অনেক দূর
এগোবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
কামাল নাসের চৌধুরী আরও বলেন,
মন্ত্রণালয়গুলো নিজ উদ্যোগেই এগুলো পূরণের
প্রক্রিয়া শুরু করেছে। শূন্য পদের
সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব না হলেও সহনশীল
পর্যায়ে নামানোর চেষ্টা চলছে।তিনি বলেন, নতুন পদ
সৃষ্টি ও শূন্যপদ পূরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া।
যৌক্তিকতা থাকলে পদ সৃষ্টি বা শূন্য পদ
পূরণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাধারণত
আপত্তি করে না।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি নিরভরযোগ্য সূত্র
জানায়, গত অথর্বছরে (২০১৩-১৪) অনুমোদিত এক
লাখ ৬০ হাজারের বেশি পদের মধ্যে বেশির ভাগই
নতুন। ২০১২-১৩ অর্থবছরে সরকারের বিভিন্ন
মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন
প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুমোদিত পদ ছিল ১২ লাখ ৬৪
হাজার ৩২৩। গত অর্থবছরে অনুমোদিত পদ
বাড়ে প্রায় ১৩ শতাংশ এবং পদের সংখ্যা হয় ১৪ লাখ
২৫ হাজার ৩১৬।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, প্রথম
শ্রেণির পদ শূন্য রয়েছে ১২ হাজার ৬৯৬টি। এর
মধ্যে ১০ হাজার ৬৬৭টি রয়েছে সহকারী সচিব
পদমর্যাদার। খুব শিগগির প্রথম শ্রেণির
কর্মকর্তা পদে প্রায় দুই হাজার লোক নিয়োগ
দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ৩৫তম বিসিএসের আবেদন
গ্রহণ শেষ হয়েছে। বাকি শূন্য পদ রয়েছে দ্বিতীয়,
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর।
ইতিমধ্যে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের শূন্য
পদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
সাত মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদ:
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শূন্য পদ
সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার ১৪৬টি। বেশির ভাগই চিকিৎসক
ও নার্স। বতর্মানে স্বাস্থ্য খাতে এক লাখ ৭৬
হাজার ৪৭৫টি পদ রয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১৫
হাজার ৫২৪টি পদ শূন্য। প্রাথমিক ও
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২১ হাজার ৮৭০টি পদ শূন্য।
বেশির ভাগই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হবে প্রায় ২৪ হাজার।
ইতিমধ্যে নয় হাজার শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ-
প্রক্রিয়া চলছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০ হাজার ৬১২টি পদ শূন্য,
এগুলোর বেশির ভাগই পুলিশ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৩ হাজার ৯১৪টি পদের
মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষক। সরকারি কলেজের
প্রভাষকের প্রায় তিন হাজার পদ শূন্য। ৩৫তম
বিসিএস ও বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে প্রত্যন্ত
এলাকার কলেজগুলোর শূন্য পদ পূরণ করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ
শ্রেণির এক হাজার ৯৬৫টি পদে নিয়োগের
প্রক্রিয়া চলে আসছে কয়েক বছর ধরে। ২০১৩
সালের জুন মাসে ওই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
তার পর থেকে অনিয়মের অভিযোগে ওই নিয়োগ
স্থগিত রয়েছে। অথচ জনবলের অভাবে অধিদপ্তর ও
এর আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে কাজকর্ম ব্যাহত
হচ্ছে।
এ ছাড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ১২
হাজার ১০৭ এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ১১
হাজার ৪৯৩টি পদ শূন্য রয়েছে।
নতুন বছরের শুরু থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
(এনবিআর), সমাজসেবা অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন
অধিদপ্তর, পাট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান
ব্যুরো, ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর, গণযোগাযোগ
অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন
শ্রেণির পদে ২০ হাজার লোক নিয়োগ করা হবে।
সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ৬০ হাজার ৯৯৩ । এ
মুহূর্তে দেশে দুই লাখ ৪২ হাজার ৪১২টি সরকারি পদ
শূন্য রয়েছে। সম্প্রতি মন্ত্রীসভার এক
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শূন্য পদগুলো দ্রুত
পূরণের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সাথে এসব নিয়োগ
যেন ন্যায়ভিত্তিক ও প্রতিযোগিতামূলক হয়
সে ব্যাপারেও প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট
সকলকে পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন
বলে জানা গেছে ।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন,
জনবল ঘাটতি স্বাভাবিক কাজের ব্যাঘাত ঘটায়
এবং যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সেবার পথ রুদ্ধ করে।
তাই সরকারের আন্তরিকতা ও অগ্রাধিকারকে গুরুত্ব
দিয়ে এই অথর্বছরের মধ্যে নিয়োগ চূড়ান্ত
করতে না পারলেও প্রক্রিয়া শুরু ও
তা এগিয়ে নেওয়ার কাজ অনেক দূর
এগোবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
কামাল নাসের চৌধুরী আরও বলেন,
মন্ত্রণালয়গুলো নিজ উদ্যোগেই এগুলো পূরণের
প্রক্রিয়া শুরু করেছে। শূন্য পদের
সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব না হলেও সহনশীল
পর্যায়ে নামানোর চেষ্টা চলছে।তিনি বলেন, নতুন পদ
সৃষ্টি ও শূন্যপদ পূরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া।
যৌক্তিকতা থাকলে পদ সৃষ্টি বা শূন্য পদ
পূরণে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাধারণত
আপত্তি করে না।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি নিরভরযোগ্য সূত্র
জানায়, গত অথর্বছরে (২০১৩-১৪) অনুমোদিত এক
লাখ ৬০ হাজারের বেশি পদের মধ্যে বেশির ভাগই
নতুন। ২০১২-১৩ অর্থবছরে সরকারের বিভিন্ন
মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন
প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনুমোদিত পদ ছিল ১২ লাখ ৬৪
হাজার ৩২৩। গত অর্থবছরে অনুমোদিত পদ
বাড়ে প্রায় ১৩ শতাংশ এবং পদের সংখ্যা হয় ১৪ লাখ
২৫ হাজার ৩১৬।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র আরও জানায়, প্রথম
শ্রেণির পদ শূন্য রয়েছে ১২ হাজার ৬৯৬টি। এর
মধ্যে ১০ হাজার ৬৬৭টি রয়েছে সহকারী সচিব
পদমর্যাদার। খুব শিগগির প্রথম শ্রেণির
কর্মকর্তা পদে প্রায় দুই হাজার লোক নিয়োগ
দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ৩৫তম বিসিএসের আবেদন
গ্রহণ শেষ হয়েছে। বাকি শূন্য পদ রয়েছে দ্বিতীয়,
তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর।
ইতিমধ্যে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের শূন্য
পদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
সাত মন্ত্রণালয়ে শূন্য পদ:
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের শূন্য পদ
সর্বোচ্চ ৩৬ হাজার ১৪৬টি। বেশির ভাগই চিকিৎসক
ও নার্স। বতর্মানে স্বাস্থ্য খাতে এক লাখ ৭৬
হাজার ৪৭৫টি পদ রয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ১৫
হাজার ৫২৪টি পদ শূন্য। প্রাথমিক ও
গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২১ হাজার ৮৭০টি পদ শূন্য।
বেশির ভাগই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হবে প্রায় ২৪ হাজার।
ইতিমধ্যে নয় হাজার শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগ-
প্রক্রিয়া চলছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০ হাজার ৬১২টি পদ শূন্য,
এগুলোর বেশির ভাগই পুলিশ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১৩ হাজার ৯১৪টি পদের
মধ্যে বেশির ভাগই শিক্ষক। সরকারি কলেজের
প্রভাষকের প্রায় তিন হাজার পদ শূন্য। ৩৫তম
বিসিএস ও বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে প্রত্যন্ত
এলাকার কলেজগুলোর শূন্য পদ পূরণ করা হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ
শ্রেণির এক হাজার ৯৬৫টি পদে নিয়োগের
প্রক্রিয়া চলে আসছে কয়েক বছর ধরে। ২০১৩
সালের জুন মাসে ওই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
তার পর থেকে অনিয়মের অভিযোগে ওই নিয়োগ
স্থগিত রয়েছে। অথচ জনবলের অভাবে অধিদপ্তর ও
এর আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে কাজকর্ম ব্যাহত
হচ্ছে।
এ ছাড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ১২
হাজার ১০৭ এবং অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের ১১
হাজার ৪৯৩টি পদ শূন্য রয়েছে।
নতুন বছরের শুরু থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড
(এনবিআর), সমাজসেবা অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন
অধিদপ্তর, পাট অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান
ব্যুরো, ত্রাণ ও পুনর্বাসন অধিদপ্তর, গণযোগাযোগ
অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন
শ্রেণির পদে ২০ হাজার লোক নিয়োগ করা হবে।
No comments:
Post a Comment