Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Tuesday, November 11, 2014

খোকন রাজাকারের রায় বৃহস্পতিবার

ঢাকা : ফরিদপুরের নগরকান্দা পৌরসভার
মেয়র ও বিএনপি নেতা পলাতক এমএ জাহিদ
হোসেন ওরফে খোকনের
বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়
ঘোষণা করা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার।
বুধবার সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ
তথ্য জানিয়েছে। এ ব্যাপারে রেজিস্ট্রার
মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের
কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
‘এখনো কজলিস্ট আসেনি। কজলিস্ট
এলে আনুষ্ঠানিকভাব জানানো হবে।’
তবে রায় হওয়ার বিষয়টি নাকচ
করেননি তিনি।
এর আগে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের
নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনাল-১ বিচারকার্যক্রম শেষে গত ১৭
এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ
রাখেন।
ওইদিন খোকনের বিরুদ্ধে ১১ অভিযোগের
বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রপক্ষ
মানবতাবিরোধী অপরাধে তার সর্বোচ্চ
শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কামনা করে।
প্রসিকিউটর মোকলেছুর রহমান বলেন,
‘একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর
সহযোগী রাজাকার হিসেবে জাহিদ খোকন
নগরকান্দা থানাধীন হত্যা, গণহত্যা,
ধর্মান্তরীকরণ, দেশান্তরসহ
মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে আনা ১১টি অভিযোগই
রাষ্ট্রপক্ষ তথ্য প্রমাণ
দিয়ে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম
হয়েছে। যুক্ততর্কে আমরা তার সর্বোচ্চ
শাস্তি প্রার্থনা করেছি।’
অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুস
শুকুর খান বলেন, আমার মক্কেলের নাম এমএ
জাহিদ খোকন। ট্রাইব্যুনালে যার
বিরুদ্ধে ৭১ সালে করা অপরাধের
অভিযোগে বিচার করা হচ্ছে, তার নাম
খোকন রাজাকার, খোকন মাতব্বর। আমার
দাবি হলো, এমএ জাহিদ খোকন ও খোকন
মাতব্বর ও রাজকার এক ব্যক্তি নন।
আমি আশা করি, তিনি অভিযোগ থেকে খালাস
পাবেন।
২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর
মানবতাবিরোধী অপরাধে খোকনের
বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়। তার
বিরুদ্ধে ১৬ জন নারী ও শিশুসহ ৫০
জনকে হত্যা, তিনজনকে পুড়িয়ে হত্যা, ২
জনকে ধর্ষণ, ৯ জনকে ধর্মান্তরিত করা,
২টি মন্দিরসহ ১০টি গ্রামের
বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ৭ জন
গ্রামবাসীকে সপরিবারে দেশান্তরে বাধ্য
করা ও ২৫ জনকে নির্যাতনসহ সুনির্দিষ্ট
১১টি অভিযোগ আনা হয়। তিনি হাজির
না হওয়ায় ওই বছরের ১৪ আগস্ট তার
অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু করে ট্রাইব্যুনাল।
একই সঙ্গে তার পক্ষে রাষ্ট্রীয়
খরচে আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়
আব্দুস শুকুর খানকে।
ওই বছরের ১৯ নভেম্বর খোকন রাজাকারের
বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্য
দিয়ে তার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২১
নভেম্বর থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত তদন্ত
কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন দাশসহ খোকন
রাজাকারের বিরুদ্ধে মোট ২৪ জন
সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। পলাতক এই
আসামির পক্ষে কোনো সাফাই
সাক্ষী জবানবন্দি পেশ করেনি। কারণ
আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান
মোট ৩০ জন সাক্ষীর
তালিকা ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছিলেন।
কিন্তু
কোনো সাক্ষী আদালতে আনতে না পারায়
তিনি তার আবেদন প্রত্যাহার করে নেন
বলে জানিয়েছেন।

No comments: