নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনার পর
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা.
সেলিনা হায়াৎ আইভী গডফাদারদের বিরুদ্ধে বেশ
সরব থাকলেও সম্প্রতি তার রহস্যজনক
নীরবতা নানা গুঞ্জনের জন্ম দিচ্ছে। বিশেষ
করে মেয়র নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন সভা,
সমাবেশ, সেমিনারে তিনি সন্ত্রাসী ও
গডফাদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।
ত্বকী হত্যার পর গডফাদারদের বিরুদ্ধে তিনি সরব
ভূমিকা পালন করেন। ত্বকী মঞ্চের প্রায়
প্রতিটি কর্মসূচিতে মেয়র আইভী উপস্থিত
থেকে ওসমান পরিবারের
বিরুদ্ধে ত্বকী হত্যাকান্ডে সম্পৃক্ত
থাকা এবং সন্ত্রাসে মদদ দেয়ার অভিযোগ
করে এসেছেন।
এছাড়া ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীবন্দরের
মদনগঞ্জের পূর্ব ধলেশ্বরী এলাকা থেকে প্যানেল
মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন সরকারসহ
সাতজনের লাশ উদ্ধারের পর হাসপাতাল
মর্গে মেয়র আইভী বলেছিলেন, গডফাদারদের
বিরুদ্ধে আন্দোলনে দাঁড়ালেই কি লাশ হতে হবে? আর
কত লাশ দরকার নারায়ণগঞ্জের গডফাদারদের?
আমরা সব মানুষ মরে গেলে কি তারা খুশি?
তাহলে গডফাদাররা নারায়ণগঞ্জের সব মানুষকেই
মেরে ফেলুক। কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবত
নারায়ণগঞ্জের হত্যাকান্ড নিযে আর কোন বক্তব্য
দিতে দেখা যায় নি। এ নিয়ে স্থানীয়
বাসিন্দাদের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনার
জন্ম দিয়েছে।
এদিকে গডফাদার বলতে আইভী শামীম
ওসমানকে উদ্দেশ্য করেছেন কিনা একটি অনলাইন
পত্রিকার পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে,
তিনি তা এড়িয়ে যান, এবং বলেন, আমি গডফাদার
বলেছি, কারো নাম উল্লেখ করেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলের শীর্ষ এক নেতার
তার প্রতি সন্দেহের তীর ছোড়া ও ঘনিষ্ঠ
কর্মী আবু সুফিয়ানের সম্পৃক্ততা সম্পর্কে অডিও টেপ
প্রকাশের পর থেকে চুপ রয়েছেন মেয়র আইভী।
প্রসংগত আবু সুফিয়ানের সম্পৃক্ততা সম্পর্কিত অডিও
টেপ শামীম ওসমান প্রকাশ করেন। সাতজনের লাশ
উদ্ধারের পর মেয়র আইভীকে বিভিন্ন
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের
টকশোতে দেখা গেলেও ২০ দিন ধরে তেমন
একটা সক্রিয় দেখা যায়নি। এদিকে, এ
বিষয়ে জানতে নাসিকের মেয়র ডা.
সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ
করা হলেও তিনি কোনো মন্তব্য
করতে রাজি হননি ।
Posted via Blogaway