নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ইরানসহ বেশকিছু
দেশের সঙ্গে কৌশলে ব্যবসায়িক লেনদেন করায়
ফ্রান্সভিত্তিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
‘বিএনপি পারিবাস এসএ’-কে ১ হাজার
কোটি ডলারেরও
বেশি জরিমানা করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের
বিচার বিভাগ।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট
একজনের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা ওয়াল
স্ট্রিট জার্নাল এ খবর ছাপিয়েছে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
সপ্তাহখানেক আগেই বিএনপি পারিবাসের
বিষয়ে অভিযোগের দীর্ঘ তদন্ত শেষ হয়েছে।
ব্যাংকটিকে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের
বেশি জরিমানা দিতে বলা হতে পারে।
তবে শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিকে হয়তো এর অনেক কম
জরিমানাই গুণতে হতে পারে। বিএনপি পারিবাস ৮০০
কোটি ডলারের কম জরিমানা দিয়েই
বিষয়টি মীমাংসা করতে চেষ্টা করছে বলেও সংশ্লিষ্ট
একজন জানিয়েছেন।
এক হাজার কোটি ডলার বা তার
বেশি জরিমানা যদি বিএনপি পারিবাসকে দিতে হয়
তাহলে সেটিই হবে যুক্তরাষ্ট্রে একক
কোনো ব্যাংককে সবচেয়ে বেশি জরিমানার ঘটনা।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অন্যান্য দেশে অর্থ
লেনদেনে সাময়িকভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা যাতে আরোপ
না হয় সে বিষয়ে এখনো কর্তৃপক্ষের
সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি পারিবাসের
কর্মকর্তারা।
তদন্তকারীরা নিষেধাজ্ঞা অমান্যের
বিষয়টি নিয়ে ব্যাংকটির কাছ
থেকে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিউ ইয়র্কের ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রধান বেনজামিন
লউস্কি অবশ্য অন্যান্য দেশের ব্যাংক ও আর্থিক
প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ডলার লেনদেনের ওপর
ব্যাংকটিকে সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ দেয়ার প্রস্তাব
করেছেন।
ডলার লেনদেনে ব্যাংকটির ওপর সাময়িক
নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে ব্যাংকটির কর্তারা অবগত
আছেন বলে প্রতিষ্ঠানটির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের
সঙ্গে পরিচিত একজন জানিয়েছেন।
ব্যাংকিং, বহুজাতিক ও বাণিজ্যিক অর্থ লেনদেনসহ
বিএনপির পরিবাসের নানা ধরনের ব্যবসা রয়েছে,
যেগুলোর বেশিরভাগের লেনদেনই ডলারের
মাধ্যমে হয়ে থাকে।
তাই এর ডলার লেনদেনে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আশঙ্কায়
প্রতিষ্ঠানটির যুক্তরাজ্যের শেয়ার হোল্ডার ও বহুদেশের
লেনদেনকারীদের উদ্বেগের
সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি পারিবাস জানিয়েছে।
এ ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ সাময়িকভাবে করা হলেও
ব্যাংকটিকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দেয়া হবে বলে মার্কিন
কর্তৃপক্ষের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির
কর্মকর্তারা।
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment