লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর পৌরসভার আলোচিত মেয়র ও
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু
তাহেরের বড় ছেলে খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত
আসামি আফতাফ উদ্দিন বিপ্লব (৩৮)
কারাগারে থেকে মোবাইল ফোনে কেবল বিয়ে নয়,
নববধূকে নিয়ে এক ঘণ্টা সময়ও কাটিয়েছেন
বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
তবে নববধূকে নিয়ে কারাগারের ভেতর বিপ্লবের সময়
কাটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কারাগারের সুপার।
জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট
নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় বিপ্লবের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ
দিয়েছিলেন আদালত। অবশ্য এ আদেশের পর
রাষ্ট্রপতি তাঁকে ক্ষমা করে দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর
ওয়ার্ডের লামচরী এলাকার জামায়াত সমর্থিত সাবেক সংসদ
সদস্য প্রয়াত সফিক উল্লাহর বাড়ির (পণ্ডিত বাড়ি) প্রয়াত
অ্যাডভোকেট আবুল খায়েরের স্ত্রী ফেরদৌস খায়ের
একটি বিরোধপূর্ণ জমি উদ্ধার করতে লক্ষ্মীপুর
জেলা কারাগারে বিপ্লবের কাছে যান। ওই সময় আবুল
খায়েরের মেয়ে লক্ষ্মীপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সানজিদা আক্তার পিউ মায়ের
সঙ্গে ছিলেন। কারাগারের
দর্শনার্থী কক্ষে পিউকে দেখে পছন্দ করে ফেলেন বিপ্লব।
প্রতাপশালী বিপ্লব তাঁদের বক্তব্য শুনে জমিটি উদ্ধার
করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এরপর থেকে বিপ্লব
কারাগারে থেকে পিউর সঙ্গে নিয়মিত মোবাইল
ফোনে যোগাযোগ করতেন। বাবা তাহেরও ‘আদুরে’ ছেলের
শখ পূরণ করতে বিয়ের আয়োজন পাকাপোক্ত করেন। গত
শুক্রবার বিকেলে বিপ্লবের বাবা আবু তাহের, ছোট ভাই
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম
সালাহ উদ্দিন টিপুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের
উপস্থিতিতে কনের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন
করা হয়। পরে সন্ধ্যায় কারা ফটকে কাজি ও
সাক্ষীরা গিয়ে কাবিননামায় বিপ্লবের সই নেন। ওই সময় আবু
তাহের এবং কনেপক্ষের বেশ কয়েকজন অতিথি উপস্থিত
ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কনের
বাড়ি থেকে নববধূ পিউকে শ্বশুর আবু তাহেরের
পিংকি প্লাজায় আনা হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার
দিকে কালো রঙের
একটি মাইক্রোবাসযোগে পিউকে কারাগারের
ভেতরে নেওয়া হয়। কারা অভ্যন্তরে একটি কক্ষে প্রায় এক
ঘণ্টা অবস্থানের পর পিউকে ওই
মাইক্রোবাসে নিয়ে বেরিয়ে যান বিপ্লবের স্বজনরা।
খোঁজ
নিয়ে জানা গেছে,
কারাগারে বন্দি থাকা বিপ্লব
আগে থেকেই
বিলাসী জীবনযাপন
করতেন।
কারণে-
অকারণে কারাগার
থেকে বের
করে হাসপাতালে নিয়ে রাখা হতো তাকে।
লক্ষ্মীপুরের
জেল
কর্তৃপক্ষ
সব
সময়
তাহের
পরিবারের
প্রতি নমনীয় থাকতো।
অভিযোগ রয়েছে, বিপ্লব কারাগারের ভেতরে থেকে দীর্ঘদিন
ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। সেখান থেকে মোবাইল
ফোনে বিভিন্নজনের সমস্যা সমাধানে কারাগারের ভেতর
‘অফিস কলের’ নামে নিয়মিত দেন-দরবার করছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের সুপার মাহবুবুল আলম জানান,
জেলা প্রশাসকের অনুমতি থাকায় বিয়ের জন্য
কারা ফটকে বিপ্লবকে হাজির করা হয়।
তবে কারা অভ্যন্তরে কনের অবস্থানের বিষয়টি সত্য নয়
বলে তিনি দাবি করেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে জেলা বিএনপির সাবেক
সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে লক্ষ্মীপুর
শহরের উত্তর মজুপুরের
বাসা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করা হয়।
তাঁকে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে বস্তায় ভরে মজু
চৌধুরীরহাট-সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
চাঞ্চল্যকর নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত
আসামি ছিলেন বিপ্লব। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১
সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুদণ্ড মওকুফ
করেন। শিবির নেতা মহসিন ও যুবদল নেতা ফিরোজ
হত্যা মামলায় বিপ্লব ১০ বছরের সাজা ভোগ করছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু
তাহেরের বড় ছেলে খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত
আসামি আফতাফ উদ্দিন বিপ্লব (৩৮)
কারাগারে থেকে মোবাইল ফোনে কেবল বিয়ে নয়,
নববধূকে নিয়ে এক ঘণ্টা সময়ও কাটিয়েছেন
বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
তবে নববধূকে নিয়ে কারাগারের ভেতর বিপ্লবের সময়
কাটানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কারাগারের সুপার।
জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট
নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় বিপ্লবের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ
দিয়েছিলেন আদালত। অবশ্য এ আদেশের পর
রাষ্ট্রপতি তাঁকে ক্ষমা করে দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর
ওয়ার্ডের লামচরী এলাকার জামায়াত সমর্থিত সাবেক সংসদ
সদস্য প্রয়াত সফিক উল্লাহর বাড়ির (পণ্ডিত বাড়ি) প্রয়াত
অ্যাডভোকেট আবুল খায়েরের স্ত্রী ফেরদৌস খায়ের
একটি বিরোধপূর্ণ জমি উদ্ধার করতে লক্ষ্মীপুর
জেলা কারাগারে বিপ্লবের কাছে যান। ওই সময় আবুল
খায়েরের মেয়ে লক্ষ্মীপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের
অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সানজিদা আক্তার পিউ মায়ের
সঙ্গে ছিলেন। কারাগারের
দর্শনার্থী কক্ষে পিউকে দেখে পছন্দ করে ফেলেন বিপ্লব।
প্রতাপশালী বিপ্লব তাঁদের বক্তব্য শুনে জমিটি উদ্ধার
করে দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এরপর থেকে বিপ্লব
কারাগারে থেকে পিউর সঙ্গে নিয়মিত মোবাইল
ফোনে যোগাযোগ করতেন। বাবা তাহেরও ‘আদুরে’ ছেলের
শখ পূরণ করতে বিয়ের আয়োজন পাকাপোক্ত করেন। গত
শুক্রবার বিকেলে বিপ্লবের বাবা আবু তাহের, ছোট ভাই
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম
সালাহ উদ্দিন টিপুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের
উপস্থিতিতে কনের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন
করা হয়। পরে সন্ধ্যায় কারা ফটকে কাজি ও
সাক্ষীরা গিয়ে কাবিননামায় বিপ্লবের সই নেন। ওই সময় আবু
তাহের এবং কনেপক্ষের বেশ কয়েকজন অতিথি উপস্থিত
ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কনের
বাড়ি থেকে নববধূ পিউকে শ্বশুর আবু তাহেরের
পিংকি প্লাজায় আনা হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার
দিকে কালো রঙের
একটি মাইক্রোবাসযোগে পিউকে কারাগারের
ভেতরে নেওয়া হয়। কারা অভ্যন্তরে একটি কক্ষে প্রায় এক
ঘণ্টা অবস্থানের পর পিউকে ওই
মাইক্রোবাসে নিয়ে বেরিয়ে যান বিপ্লবের স্বজনরা।
খোঁজ
নিয়ে জানা গেছে,
কারাগারে বন্দি থাকা বিপ্লব
আগে থেকেই
বিলাসী জীবনযাপন
করতেন।
কারণে-
অকারণে কারাগার
থেকে বের
করে হাসপাতালে নিয়ে রাখা হতো তাকে।
লক্ষ্মীপুরের
জেল
কর্তৃপক্ষ
সব
সময়
তাহের
পরিবারের
প্রতি নমনীয় থাকতো।
অভিযোগ রয়েছে, বিপ্লব কারাগারের ভেতরে থেকে দীর্ঘদিন
ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। সেখান থেকে মোবাইল
ফোনে বিভিন্নজনের সমস্যা সমাধানে কারাগারের ভেতর
‘অফিস কলের’ নামে নিয়মিত দেন-দরবার করছেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের সুপার মাহবুবুল আলম জানান,
জেলা প্রশাসকের অনুমতি থাকায় বিয়ের জন্য
কারা ফটকে বিপ্লবকে হাজির করা হয়।
তবে কারা অভ্যন্তরে কনের অবস্থানের বিষয়টি সত্য নয়
বলে তিনি দাবি করেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে জেলা বিএনপির সাবেক
সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলামকে লক্ষ্মীপুর
শহরের উত্তর মজুপুরের
বাসা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করা হয়।
তাঁকে হত্যার পর লাশ টুকরো টুকরো করে বস্তায় ভরে মজু
চৌধুরীরহাট-সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
চাঞ্চল্যকর নুরুল ইসলাম হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত
আসামি ছিলেন বিপ্লব। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১
সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান মৃত্যুদণ্ড মওকুফ
করেন। শিবির নেতা মহসিন ও যুবদল নেতা ফিরোজ
হত্যা মামলায় বিপ্লব ১০ বছরের সাজা ভোগ করছেন।
posted from Bloggeroid
No comments:
Post a Comment