Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Monday, September 1, 2014

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ধর্ষিতাকেই বিয়ে করে ঘরে তুলতে বাধ্য হলেন ধর্ষক

ডেস্ক :
ধর্ষণ প্রতিরোধে মেয়েদের
সচেতনতা যে কতোটা কার্যকর হতে পারে তার
প্রমাণ নরসিংদীর আছমা আক্তার। সমাজ
ধর্ষিতাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ তো করেই
না সেই সাথে ধর্ষকও সামান্য
শাস্তি বা বিনা শাস্তিতে ছাড় পেয়ে যায়। এটাই
সাধারণ চিত্র। কিন্তু আছমার সাহসিকতায় সেটার
ব্যত্যয় ঘটলো। ধর্ষিতাকেই ঘরে তুলতে বাধ্য
হলো ধর্ষক। তবে প্রধানমন্ত্রীর নিজ হস্তক্ষেপে!
সামাজিক কারণে যদিও আছমা ধর্ষককে বিয়ে করার
সিদ্ধান্ত নেন। তারপরও তার সাহসিকতা অতুলনীয়-
এটা মানতেই হবে।
ধর্ষিতা আছমা আক্তার(২২)
নরসিংদী সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের
ছাত্রী ও সদর উপজেলার কোতালিরচর গ্রামের মৃত
হাছেন আলীর মেয়ে। আর বিয়ে করতে বাধ্য
হওয়া ধর্ষকের নাম মো. আলমগীর মুন্সি।
তিনিও একই এলাকার তমুজ উদ্দিনের ছেলে। এদের
বিয়ে সোমবার দুপুরে নরসিংদীর
নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়।
ধর্ষিতার পাবিরারিক সূত্রে জানা যায়,
নরসিংদী সদর উপজেলার কোতালিরচর গ্রামের মৃত
হাছেন আলীর
মেয়ে এবং নরসিংদী সরকারী কলেজের
ছাত্রী আছমা আক্তারকে কলেজে যাওয়া-আসার
পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন একই গ্রামের তমুজ
উদ্দিনের ছেলে মো. আলমগীর মুন্সি (৪২)।
এভাবে উত্ত্যক্ত ও ভয়ভীতি এবং প্রাণনাশের
হুমকি দিয়েও যখন তাকে রাজি করতে পারেনি,
তখন তিনি ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন।
আছমাকে বিয়ের প্রলোভন
দেখিয়ে নরসিংদী শহরের গাবতলী এলাকায় তার
এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। প্রায়
ছয় মাস পার হওয়ার পর আছমা আলমগীরকে বিয়ের
জন্য চাপ
দিলে তিনি নানা তালবাহানা করতে থাকেন। এক
পর্যায়ে তাকে বিয়ে করবেন না বলে সাফ
জানিয়ে দেন।
এরপর ওই কলেজছাত্রী এলাকাবাসী এবং পুলিশের
সহযোগিতা চেয়েও ব্যর্থ হন। অবশেষে বাধ্য
হয়ে আত্মপ্রত্যয়ী আছমা বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর
নজরে আনার জন্য একাকী ছুটে যান প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ে। সেখানে অনেক বাধা-
বিপত্তি অতিক্রম করে গত ৮ আগস্ট
বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনতে সক্ষম হন।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলামেইলে প্রকাশিত
সংবাদ সুত্রে জানা গেছে ,
ভুক্তভোগী আছমা আক্তারের কাছে পুরো ঘটনা শোনার
পর , প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টির আশু সমাধানের
জন্য তার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর পিএস-২ সাইফুজ্জামান শেখর
নরসিংদীর পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল
ইসলামকে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নরসিংদী সদর মডেল থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন তিনি।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো.
মোশারেফ হোসেন আছমার লিখিত অভিযোগের
ভিত্তিতে আলমগীর মুন্সিকে আসামি করে নারী ও
শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০১০ (সংশোধনী/০৩) এর
৯ (১) ধারা মোতাবেক গত ১১ আগস্ট মামলা (নং ৩২)
দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর
তরফ থেকে আসা নির্দেশের কথা স্বীকার
করে জানান, তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ওসিকে এ
ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ওসি মোশারেফ হোসেন নির্দেশনা পাওয়ার
কথা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মামলার দিনই আসামি আলমগীর
মুন্সিকে মাধবদী বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ১২ আগস্ট
মামলার মূল রহস্য উদঘাটনসহ আসামির
কার্যকলাপের তথ্য সংগ্রহ করার জন্য
তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনালে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের
আবেদন জানালে আদালত তার
অসুস্থতা বিবেচনা করে জেল গেটে সতর্কতার
সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন।
এদিকে জেল-হাজতে থাকা আলমগীর তার ভুল
বুঝতে পেরে লোক মারফত
আছমাকে বিয়ে করতে সম্মত হওয়ার কথা জানান।
পরে গত ২৮ আগস্ট আছমা জেল গেটে গিয়ে তার
সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে দু’জনের আলাপ-
আলোচনার ভিত্তিতে বিয়ের ব্যাপারে একমত হন
তারা। এরপর আছমা আলমগীরের জামিনের জন্য
আদালতের শরণাপন্ন
হয়ে বিষয়টি আপোষে মীমাংসা করা হয়েছে মর্মে আবেদন
জানালে আদালত মানবিক দিক বিবেচনা করে গত
৩১ আগস্ট আসামি আলমগীরকে জামিন দেন। সোমবার
উভয়পক্ষের লোকজনের
উপস্থিতিতে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তাদের
বিয়ে সম্পন্ন হয়।
এসময় বর মো. আলমগীর মুন্সি, কনে আছমা আক্তার,
তাদের নিযুক্ত আইনজীবী মো. শফিকুল ইসলাম
কামাল, নোটারী পাবলিক নরসিংদীর
আইনজীবী একেএম রিয়াজুল করিমসহ বর ও
কনে পক্ষের লোকজন এবং স্থানীয়
সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
তবে আছমা ও আলমগীরের বিয়ের
ব্যাপারে এখনো কিছু জানেন না সংশ্লিষ্ট পুলিশ
সুপার ও ওসি।

posted from Bloggeroid

No comments: