আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একদিন হয়ত যাত্রীদের
খাবার খেয়েছিল আর খাওয়ার ঋণ শোধ করল নিজের
জীবন দিয়ে। কুকুরের এই ত্যাগ যেন অবেগাপ্লুত
করল রেলযাত্রীদের।
পথের দ্বারে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলেও
আজকাল কেউ ঘুরে তাকাননা। আত্মকেন্দ্রীকতার এই
যুগে এক সারমেয় হয়ে উঠল কয়েক’শ রেলযাত্রীদের
ত্রাতা।
গত ৩ সেপ্টেম্বর গুম্মিদিপুন্ডি-চেন্নাই লোকাল
ট্রেন রাত আটটা ৪৫ মিনিট নাগাদ
স্টেশনে এসে দাঁড়ায়।
সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে স্টেশনে নেমে পড়ে বাস-
সহ অন্যান্য গণপরিবহণ ধরার জন্য ছুট লাগান।
অনেকে ওভারব্রিজের তোয়াক্কা না করে রেললাইন
পেরিয়েই বড়রাস্তায় পৌঁছানোর জন্য যাত্রা শুরু
করেন।
ভারী বৃষ্টির জন্য স্টেশন চত্বর সেই সময়
পানিতে থইথই করছিল। জায়গায় জায়গায়
খানাখন্দে পানি জমে গেছে। স্টেশন
থেকে বড়রাস্তায় যাওয়ার পথে এরকমই
একটি খন্দে বিদ্যুতের তার পড়ে তড়িদাহত
হয়েছিল। হাই ভোল্টেজের তার পড়ে থাকা সেই
খন্দে পা রাখলে মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু অতশত
জানবে কে? সকলেই সেই খন্দ পেরিয়ে যাওয়ার
জন্য ছুট লাগাচ্ছিলেন। এমন সময় পথ রুখে দাঁড়ায়
একটি কুকুর। কাউকে সে সেই খন্দ
পেরিয়ে যেতে দেবে না। ক্রমাগত ডেকেই চলেছে।
কেউ এগিয়ে আসলেই তাঁকে কামড়ানোর ভয়
দেখাতে থাকে। ভয়ে যাত্রীরা পিছিয়ে যান।
কিন্তু ছয়জনের একটি দল কুকুরের ভয়ে গন্তব্য
পৌঁছতে দেরি করতে চাইছিলেন না। কুকুরের প্রায়
গায়ের উপর দিয়েই জলভরা খানাখন্দ
পেরিয়ে যেতে চাইছিলেন বড় রাস্তায়। বেগতিক
বুঝতে পেরে আর অপেক্ষা করেনি কুকুরটি।
দলটিকে সতর্ক করতে নিজেই ঝাঁপ দেয় ওই
তড়িদাহিত খন্দে। চোখের পলক পড়ার আগেই
ঝলসে মারা যায় সে। স্তব্ধ হয়ে যান যাত্রীরা।
সকলে বুঝতে পারেন, কেন কুকুরটি শর্টকাট
আগলে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত ডেকে যাচ্ছিল।
সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা খবর দেন স্টেশন
কর্তৃপক্ষকে। তারা এসে কুকুরটিকে উদ্ধার করে।
কিন্তু সে দেহে আর প্রাণ ছিল না। স্টেশনেরই
অপর প্রান্তে তখন গলা ছেড়ে ডাকছে তার
সদ্যোজাত দশ দিনের সন্তান। রক্ষাকর্তার
সন্তানকে অসহায়
হয়ে পড়ে থাকতে দেননি যাত্রীরা।
তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে ব্লু ক্রসের হাতে।
স্থানীয়দের বক্তব্য, মানুষের এতটাই বন্ধু
হতে পারে এক সারমেয়? ‘হাচিকো’ বলে সিনেমায়
এরকমই এক প্রভুভক্ত কুকুরের কাহিনীকে চিত্রায়িত
করা হয়েছিল। যে তার প্রভুর জন্য দিনের পর দিন
সমস্ত প্রতিকূলতা হেলায় উপেক্ষা করে আমৃত্যু
অপেক্ষা করছিল।
সুত্র- কোলকাতা ২৪/৭
খাবার খেয়েছিল আর খাওয়ার ঋণ শোধ করল নিজের
জীবন দিয়ে। কুকুরের এই ত্যাগ যেন অবেগাপ্লুত
করল রেলযাত্রীদের।
পথের দ্বারে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকলেও
আজকাল কেউ ঘুরে তাকাননা। আত্মকেন্দ্রীকতার এই
যুগে এক সারমেয় হয়ে উঠল কয়েক’শ রেলযাত্রীদের
ত্রাতা।
গত ৩ সেপ্টেম্বর গুম্মিদিপুন্ডি-চেন্নাই লোকাল
ট্রেন রাত আটটা ৪৫ মিনিট নাগাদ
স্টেশনে এসে দাঁড়ায়।
সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে স্টেশনে নেমে পড়ে বাস-
সহ অন্যান্য গণপরিবহণ ধরার জন্য ছুট লাগান।
অনেকে ওভারব্রিজের তোয়াক্কা না করে রেললাইন
পেরিয়েই বড়রাস্তায় পৌঁছানোর জন্য যাত্রা শুরু
করেন।
ভারী বৃষ্টির জন্য স্টেশন চত্বর সেই সময়
পানিতে থইথই করছিল। জায়গায় জায়গায়
খানাখন্দে পানি জমে গেছে। স্টেশন
থেকে বড়রাস্তায় যাওয়ার পথে এরকমই
একটি খন্দে বিদ্যুতের তার পড়ে তড়িদাহত
হয়েছিল। হাই ভোল্টেজের তার পড়ে থাকা সেই
খন্দে পা রাখলে মৃত্যু অবধারিত। কিন্তু অতশত
জানবে কে? সকলেই সেই খন্দ পেরিয়ে যাওয়ার
জন্য ছুট লাগাচ্ছিলেন। এমন সময় পথ রুখে দাঁড়ায়
একটি কুকুর। কাউকে সে সেই খন্দ
পেরিয়ে যেতে দেবে না। ক্রমাগত ডেকেই চলেছে।
কেউ এগিয়ে আসলেই তাঁকে কামড়ানোর ভয়
দেখাতে থাকে। ভয়ে যাত্রীরা পিছিয়ে যান।
কিন্তু ছয়জনের একটি দল কুকুরের ভয়ে গন্তব্য
পৌঁছতে দেরি করতে চাইছিলেন না। কুকুরের প্রায়
গায়ের উপর দিয়েই জলভরা খানাখন্দ
পেরিয়ে যেতে চাইছিলেন বড় রাস্তায়। বেগতিক
বুঝতে পেরে আর অপেক্ষা করেনি কুকুরটি।
দলটিকে সতর্ক করতে নিজেই ঝাঁপ দেয় ওই
তড়িদাহিত খন্দে। চোখের পলক পড়ার আগেই
ঝলসে মারা যায় সে। স্তব্ধ হয়ে যান যাত্রীরা।
সকলে বুঝতে পারেন, কেন কুকুরটি শর্টকাট
আগলে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত ডেকে যাচ্ছিল।
সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীরা খবর দেন স্টেশন
কর্তৃপক্ষকে। তারা এসে কুকুরটিকে উদ্ধার করে।
কিন্তু সে দেহে আর প্রাণ ছিল না। স্টেশনেরই
অপর প্রান্তে তখন গলা ছেড়ে ডাকছে তার
সদ্যোজাত দশ দিনের সন্তান। রক্ষাকর্তার
সন্তানকে অসহায়
হয়ে পড়ে থাকতে দেননি যাত্রীরা।
তাকে তুলে দেওয়া হয়েছে ব্লু ক্রসের হাতে।
স্থানীয়দের বক্তব্য, মানুষের এতটাই বন্ধু
হতে পারে এক সারমেয়? ‘হাচিকো’ বলে সিনেমায়
এরকমই এক প্রভুভক্ত কুকুরের কাহিনীকে চিত্রায়িত
করা হয়েছিল। যে তার প্রভুর জন্য দিনের পর দিন
সমস্ত প্রতিকূলতা হেলায় উপেক্ষা করে আমৃত্যু
অপেক্ষা করছিল।
সুত্র- কোলকাতা ২৪/৭
posted from Bloggeroid
No comments:
Post a Comment