বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বুদ্ধিমত্তার
দিকে থেকে এখন পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষ।
একুশ শতকে মানুষের বুদ্ধিমত্তার
উৎকর্ষতা চরমে পৌঁছেছে। কম্পিউটারে এক মুহূর্তের
মধ্যে লাখ লাখ হিসাব কষছে, মঙ্গলে যাচ্ছে, অন্য
কোনো গ্যালাক্সিতে অন্য
কোনো গ্রহে বসতি স্থাপনের
পরিকল্পনা করছে মানুষ। এর চেয়ে বড়
উৎকর্ষতা কী আর হতে পারে।
কিন্তু দুঃসংবাদ হচ্ছে, এই বুদ্ধিমান প্রাণীটি খুব
কম সময়ের মধ্যেই নির্বোধতম প্রাণীতে পরিণত
হতে চলেছে। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, আর
কয়েক বছর পরে মানুষের
মতো বোকা প্রাণী পৃথিবীতে আর থাকবে না।
কয়েকজন বিজ্ঞানী এমনই দাবি করেছেন।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের
মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা চালান একদল বিজ্ঞানী।
সেই গবেষণার ফল বলছে, মানুষের মেধা ও
বুদ্ধিমত্তা (IQ) সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গেছে। আর
বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং এবার
তা নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে।
এবং একটা সময় মেধা একেবারেই লোপ পাবে।
মস্তিষ্ক ফের আদিম গুহাবাসী মানুষের মতোই
হয়ে যাবে।
এশিয়া থেকে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র সব মহাদেশেই
এই প্রবণতা দ্রুত শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের
মানুষের বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধির হার সব
থেকে বেশি হয়েছিল ১৯৫০ থেকে ১৯৮০ সাল
পর্যন্ত। দুঃখের বিষয় আশি সালের পর
থেকে প্রত্যেক দশকে মানুষের বুদ্ধিমত্তা ৩ পয়েন্ট
করে কমেছে।
সংগৃহীত উপাত্ত বলছে, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক
এবং অস্ট্রেলিয়ার মানুষদের আইকিউ গত এক
দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
ডেনমার্কে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার
যোগ্যতা যাচাইয়ের এক আইকিউ
টেস্টে দেখা গেছে, ১৯৯৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত
মানুষের আইকিউ ১.৫ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাজ্য ও
অস্ট্রেলিয়াতেও একই ফলাফল পাওয়া গেছে।
নিউ সায়েন্টিস্ট পত্রিকায় এ
বিষয়ে একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন লিখেছেন
সাংবাদিক বব হোমস।
যুদ্ধপরবর্তী জাপান ও ডেনমার্কে আইকিউ
বেড়েছিল। এই বৃদ্ধি প্রব্ণতাকে ‘ফ্লিন প্রভাব’
বলে। ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমন
ফ্লিন বলেছিলেন, খবাবের পুষ্টিমান
বাড়া এবং জীবনযাত্রার উন্নতি ও শিক্ষার
সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার উন্নতি সম্পর্কিত। এ থেকেই ওই
প্রবণতাকে ‘ফ্লিন প্রভাব’ বলে।
তবে একুশ শতকে এসে ফ্লিন প্রভাবের
উল্টোটা ঘটছে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
যদিও ফ্লিনসহ কিছু বিজ্ঞানী দাবি করছেন,
শিক্ষার উন্নতির সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য
বুদ্ধিমত্তার এই অবনতি ঘটতে পারে।
তবে এটা খুবই সাময়িক। অবশ্য অন্য
বিজ্ঞানীরা তাদের মতো মোটেই আশাবাদী নন।
অনেকে মনে করেন, ফ্লিন প্রভাব
অনেকটা বংশগতির ব্যাপার। উচ্চশিক্ষিত
মানুষেরা কম সন্তান নেন। একারণে ক্রমেই
বিশ্বে বুদ্ধিমান মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
আলস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্ববিদ রিচার্ড
লিন মানুষের জিনের সক্ষমতা কমে যাওয়ার হার
হিসাব করে দেখিয়েছেন। তিনি দেখেছেন, ১৯৫০
এবং ২০০০ সালের মধ্যে মানুষের
বুদ্ধিমত্তা (আইকিউ) কমেছে এক পয়েন্ট।
লিন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এই প্রবণতা অব্যহত
থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে মানুষ আরো ১.৩ পয়েন্ট
আইকিউ হারাবে।
বেলজিয়ামের ফ্রি ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলসের
অধ্যাপক মাইকেল উডলি দাবি করেন, ভিক্টোরীয়
যুগের চেয়ে মানুষের প্রতিক্রিয়া অনেক ধীর
গতির। কারণ, মানুষের জিনগত সক্ষমতা কমে গেছে।
আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্বের
অধ্যাপক জ্যাঁ তি নিজেনহিস বলেন,
পশ্চিমারা ভিক্টোরীয় যুগের পর থেকে এ পর্যন্ত
গড়ে ১৪ পয়েন্ট আইকিউ হারিয়েছে।
তিনিও বিশ্বাস করেন, শিক্ষিত
বুদ্ধিমতি নারীরা কম সন্তান নেয়ার কারণেই
এটি ঘটছে।
মানুষের বুদ্ধিমত্তা কমার জন্য আধুনিক জীবন-
যাপনের বদঅভ্যাসকেও দুষছেন অনেক বিজ্ঞানী।
তাদের মতে, বর্তমান বিশ্ব এতটাই
প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গেছে যে, মানুষ চিন্তা-
ভাবনা করা প্রায় ছেড়েই দিয়েছে। এর
সঙ্গে দোসর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। এর জেরে,
মানুষের বুদ্ধির বিকাশ কমছে।
দিকে থেকে এখন পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ প্রাণী মানুষ।
একুশ শতকে মানুষের বুদ্ধিমত্তার
উৎকর্ষতা চরমে পৌঁছেছে। কম্পিউটারে এক মুহূর্তের
মধ্যে লাখ লাখ হিসাব কষছে, মঙ্গলে যাচ্ছে, অন্য
কোনো গ্যালাক্সিতে অন্য
কোনো গ্রহে বসতি স্থাপনের
পরিকল্পনা করছে মানুষ। এর চেয়ে বড়
উৎকর্ষতা কী আর হতে পারে।
কিন্তু দুঃসংবাদ হচ্ছে, এই বুদ্ধিমান প্রাণীটি খুব
কম সময়ের মধ্যেই নির্বোধতম প্রাণীতে পরিণত
হতে চলেছে। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, আর
কয়েক বছর পরে মানুষের
মতো বোকা প্রাণী পৃথিবীতে আর থাকবে না।
কয়েকজন বিজ্ঞানী এমনই দাবি করেছেন।
সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের
মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা চালান একদল বিজ্ঞানী।
সেই গবেষণার ফল বলছে, মানুষের মেধা ও
বুদ্ধিমত্তা (IQ) সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গেছে। আর
বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং এবার
তা নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে।
এবং একটা সময় মেধা একেবারেই লোপ পাবে।
মস্তিষ্ক ফের আদিম গুহাবাসী মানুষের মতোই
হয়ে যাবে।
এশিয়া থেকে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র সব মহাদেশেই
এই প্রবণতা দ্রুত শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের
মানুষের বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধির হার সব
থেকে বেশি হয়েছিল ১৯৫০ থেকে ১৯৮০ সাল
পর্যন্ত। দুঃখের বিষয় আশি সালের পর
থেকে প্রত্যেক দশকে মানুষের বুদ্ধিমত্তা ৩ পয়েন্ট
করে কমেছে।
সংগৃহীত উপাত্ত বলছে, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক
এবং অস্ট্রেলিয়ার মানুষদের আইকিউ গত এক
দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
ডেনমার্কে সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার
যোগ্যতা যাচাইয়ের এক আইকিউ
টেস্টে দেখা গেছে, ১৯৯৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত
মানুষের আইকিউ ১.৫ শতাংশ কমেছে। যুক্তরাজ্য ও
অস্ট্রেলিয়াতেও একই ফলাফল পাওয়া গেছে।
নিউ সায়েন্টিস্ট পত্রিকায় এ
বিষয়ে একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন লিখেছেন
সাংবাদিক বব হোমস।
যুদ্ধপরবর্তী জাপান ও ডেনমার্কে আইকিউ
বেড়েছিল। এই বৃদ্ধি প্রব্ণতাকে ‘ফ্লিন প্রভাব’
বলে। ওটাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমন
ফ্লিন বলেছিলেন, খবাবের পুষ্টিমান
বাড়া এবং জীবনযাত্রার উন্নতি ও শিক্ষার
সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার উন্নতি সম্পর্কিত। এ থেকেই ওই
প্রবণতাকে ‘ফ্লিন প্রভাব’ বলে।
তবে একুশ শতকে এসে ফ্লিন প্রভাবের
উল্টোটা ঘটছে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।
যদিও ফ্লিনসহ কিছু বিজ্ঞানী দাবি করছেন,
শিক্ষার উন্নতির সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য
বুদ্ধিমত্তার এই অবনতি ঘটতে পারে।
তবে এটা খুবই সাময়িক। অবশ্য অন্য
বিজ্ঞানীরা তাদের মতো মোটেই আশাবাদী নন।
অনেকে মনে করেন, ফ্লিন প্রভাব
অনেকটা বংশগতির ব্যাপার। উচ্চশিক্ষিত
মানুষেরা কম সন্তান নেন। একারণে ক্রমেই
বিশ্বে বুদ্ধিমান মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
আলস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্ববিদ রিচার্ড
লিন মানুষের জিনের সক্ষমতা কমে যাওয়ার হার
হিসাব করে দেখিয়েছেন। তিনি দেখেছেন, ১৯৫০
এবং ২০০০ সালের মধ্যে মানুষের
বুদ্ধিমত্তা (আইকিউ) কমেছে এক পয়েন্ট।
লিন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এই প্রবণতা অব্যহত
থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে মানুষ আরো ১.৩ পয়েন্ট
আইকিউ হারাবে।
বেলজিয়ামের ফ্রি ইউনিভার্সিটি অব ব্রাসেলসের
অধ্যাপক মাইকেল উডলি দাবি করেন, ভিক্টোরীয়
যুগের চেয়ে মানুষের প্রতিক্রিয়া অনেক ধীর
গতির। কারণ, মানুষের জিনগত সক্ষমতা কমে গেছে।
আমস্টারডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্বের
অধ্যাপক জ্যাঁ তি নিজেনহিস বলেন,
পশ্চিমারা ভিক্টোরীয় যুগের পর থেকে এ পর্যন্ত
গড়ে ১৪ পয়েন্ট আইকিউ হারিয়েছে।
তিনিও বিশ্বাস করেন, শিক্ষিত
বুদ্ধিমতি নারীরা কম সন্তান নেয়ার কারণেই
এটি ঘটছে।
মানুষের বুদ্ধিমত্তা কমার জন্য আধুনিক জীবন-
যাপনের বদঅভ্যাসকেও দুষছেন অনেক বিজ্ঞানী।
তাদের মতে, বর্তমান বিশ্ব এতটাই
প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে গেছে যে, মানুষ চিন্তা-
ভাবনা করা প্রায় ছেড়েই দিয়েছে। এর
সঙ্গে দোসর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। এর জেরে,
মানুষের বুদ্ধির বিকাশ কমছে।
No comments:
Post a Comment