এই জাতীয় সংবাদগুলো খুব ছোট আকারেই
অথবা অবহেলায় হয়ত ছাপে কিছু প্রচারমাধ্যম । অনেকের
কাছে গুরুত্বও পায়না এমন খবর ! এ আর এমন কি?
এমনটা ভেবে অযত্নে আর অবহেলায় প্রতিনিয়ত এড়িয়ে যাই
আমরা অনেকেই ।যান্ত্রিক নগরীতে অথবা নাগরিক জীবনের
ক্লান্তিতে হয়ত ছোট্ট খবরটির পেছনের লালিত স্বপ্ন,
স্বদিচ্ছা আর আন্তরিকতা তেমন একটা স্পর্শও
করেনা আমাদের। কিন্তু মন থেকে উপলব্ধি করে একবার
হলেও যদি সামর্থ্যবানেরা একটু একটু করে নিজ নিজ
পরিধি থেকে এগিয়ে আসে তাহলে ভবিষ্যতের পথ চলায়
অনেক সম্ভাবনার পথ সুগম হবে সন্দেহ নেই ।
আমরা সবাই জানি , সমাজের বিভিন্ন স্তরে সবার ক্ষুদ্র
ক্ষুদ্র একক অথবা সম্মিলিত
প্রচেষ্টা হাসি ফোটাতে পারে অনেক অসহায়ের মুখে। নানান
সীমাবদ্ধতায় থাকা অনেক অদম্যপ্রাণ দরিদ্র
মেধাবী শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ তৈরিতে কিছুটা হলেও সাহায্য
করতে পারে সামর্থ্যবানদের নিজ নিজ অবস্থান
থেকে এগিয়ে আসার মানসিকতা । নিজেদের সাধ্য আর
সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সমাজের তথাকথিত
বিত্তবানেরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
যেখানে পিছিয়ে থাকে অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের
সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে দেবার মত উদারতা থেকে,
সেখানে উঠতি বয়সের এক তরুণের (ক্ষুদ্র করে হলেও )
সুবিধাবঞ্চিত এমন শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়াবার অদম্য
ইচ্ছেকে সম্মান জানাতেই হয়। একটু করে হলেও স্বপ্নও
দেখায়।
বলছিলাম, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ফিচারড তালিকায়
সারা বিশ্বে শীর্ষ ৫ম এ স্থান পাওয়া বাংলাদেশের সেই তরুন
এস এম সাঈফ রহমানের কথা। শুধুমাত্র সামাজিক
দায়বদ্ধতা আর অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়ানোর
নির্মল ইচ্ছেটাই রাত-দিন পরিশ্রম
করে ফ্রি ল্যান্সিং থেকে অনেক কষ্টে উপার্জনের
একটা অংশ তিনি নিয়মিত তুলে দিচ্ছেন / দিতে চান দরিদ্র
অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে ।
চায়ের আড্ডায় কথা বলার এক ফাকে সেই সাঈফের সরল
স্বীকারোক্তিতে জানা গেল,শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার
এমন মানসিক প্রস্তুতি ছিল অনেক আগে থেকেই। সেই
লক্ষে প্রতিদিনই নিজের খরচের টাকা থেকে একটু একটু
করে সঞ্চয় করেছেন।সস্তা প্রচার-
প্রচারনা অথবা ভবিষ্যতে রাজনীতি করে জনপ্রতিনিধি হবার
কোন শখ অথবা দুরভিসন্ধি থেকে এসব করছেননা তিনি।
এমনকি এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার সময়েও সাঈফ
রহমান বার বার নিষেধ করছিলেন যেন এসব না জানানো হয়
কাউকে । বরাবরই সমাজের একটা বড়
অংশকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত আর লোক দেখানো সাহায্য করার
চিত্র দেখতে অভ্যস্ত পাঠকের কেও যদি একবারও
ভুলে ভেবে বসেন সাঈফের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাও ‘লোক
দেখানো’ তাহলে সত্যিই ‘অনেক কষ্ট পাবো’ জানালেন এই
তরুন ।
সাঈফ রহমানের ‘অনুরোধ’ থাকলেও সময়ের কণ্ঠস্বরের
পাঠকদের জন্য ক্ষুদ্র হলেও একটি অনুপ্রেরণার গল্প
হিসেবে উপস্থাপনে কার্পণ্য নেই সময়ের কণ্ঠস্বরের । এই
ছোট অনুপ্রেরণার গল্পটি কারো হৃদয়ে দাগ
কেটে যদি সমাজের প্রতি সঠিক দায়বদ্ধতা উপলব্ধি করায়
আর সেই থেকে যদি একজন মেধাবী অসহায় শিক্ষার্থীরও
সাহায্যে সেটা আসে তাহলেই তো আমাদের সার্থকতা।
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বৃহস্পতিবার পৌরসভাধীন
মুরারীকাটি হাইস্কুলের হলরুমে ‘অনাড়ম্বর’
এমনি একটি অনুষ্ঠানে সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের
মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয় সাঈফের প্রতিষ্ঠান
ডি ফাইভ ক্রিয়েশানের পক্ষ থেকে। ‘লায়লা খাতুন
শিক্ষা সহায়তা ও সামছুর-মনোয়ারা শিক্ষা বৃত্তি’ প্রকল্পের
আওতায় বেশ কিছু দরিদ্র ও মেধাবীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির
টাকা ও শিক্ষা উপকরণ ও উচ্চশিক্ষায়
প্রেরণাদানে মহামুল্যবান বই প্রদান করা হয়।
ডি-ফাইভ ক্রিয়েশনের অর্থায়নে ও কলারোয়া স্টুডেন্ট
ওয়েলফেয়ার’র ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ‘অনাড়ম্বর’ ওই
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ
আহম্মেদ স্বপন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমানুল্যাহ
আমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস
চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত
ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, ডি-ফাইভ
ক্রিয়েশানের সি ই ও সফটওয়্যার উদ্ভাবক এসএম সাইফ
রহমানের বাবা সামছুর রহমান সহ এলাকার অনেক গন্যমান্য
সচেতন মানুষ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা সবাই এমন প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান,
একাধিক আলোচক এসময় নিজ নিজ পরিধি থেকে এমন
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার উপরে গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, তাদের জন্য
এই ‘বৃত্তি শুধু সাহায্য নয় অনেক বেশি প্রেরণারও’ ।
অনুষ্ঠানে মুরারীকাটি ইউনাইটেড হাইস্কুল,
বেত্রবতী হাইস্কুল ও লাঙ্গলঝাড়া সম্মিলিত হাইস্কুলের
সুবিধাবঞ্চিত বেশকিছু মেধাবী শিক্ষার্থীদের
শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন
মাস্টার আ. ওহাব মামুন ও উজ্জ্বল কুমার।
অথবা অবহেলায় হয়ত ছাপে কিছু প্রচারমাধ্যম । অনেকের
কাছে গুরুত্বও পায়না এমন খবর ! এ আর এমন কি?
এমনটা ভেবে অযত্নে আর অবহেলায় প্রতিনিয়ত এড়িয়ে যাই
আমরা অনেকেই ।যান্ত্রিক নগরীতে অথবা নাগরিক জীবনের
ক্লান্তিতে হয়ত ছোট্ট খবরটির পেছনের লালিত স্বপ্ন,
স্বদিচ্ছা আর আন্তরিকতা তেমন একটা স্পর্শও
করেনা আমাদের। কিন্তু মন থেকে উপলব্ধি করে একবার
হলেও যদি সামর্থ্যবানেরা একটু একটু করে নিজ নিজ
পরিধি থেকে এগিয়ে আসে তাহলে ভবিষ্যতের পথ চলায়
অনেক সম্ভাবনার পথ সুগম হবে সন্দেহ নেই ।
আমরা সবাই জানি , সমাজের বিভিন্ন স্তরে সবার ক্ষুদ্র
ক্ষুদ্র একক অথবা সম্মিলিত
প্রচেষ্টা হাসি ফোটাতে পারে অনেক অসহায়ের মুখে। নানান
সীমাবদ্ধতায় থাকা অনেক অদম্যপ্রাণ দরিদ্র
মেধাবী শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ তৈরিতে কিছুটা হলেও সাহায্য
করতে পারে সামর্থ্যবানদের নিজ নিজ অবস্থান
থেকে এগিয়ে আসার মানসিকতা । নিজেদের সাধ্য আর
সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও সমাজের তথাকথিত
বিত্তবানেরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
যেখানে পিছিয়ে থাকে অসহায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের
সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে দেবার মত উদারতা থেকে,
সেখানে উঠতি বয়সের এক তরুণের (ক্ষুদ্র করে হলেও )
সুবিধাবঞ্চিত এমন শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়াবার অদম্য
ইচ্ছেকে সম্মান জানাতেই হয়। একটু করে হলেও স্বপ্নও
দেখায়।
বলছিলাম, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ফিচারড তালিকায়
সারা বিশ্বে শীর্ষ ৫ম এ স্থান পাওয়া বাংলাদেশের সেই তরুন
এস এম সাঈফ রহমানের কথা। শুধুমাত্র সামাজিক
দায়বদ্ধতা আর অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাড়ানোর
নির্মল ইচ্ছেটাই রাত-দিন পরিশ্রম
করে ফ্রি ল্যান্সিং থেকে অনেক কষ্টে উপার্জনের
একটা অংশ তিনি নিয়মিত তুলে দিচ্ছেন / দিতে চান দরিদ্র
অসহায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে ।
চায়ের আড্ডায় কথা বলার এক ফাকে সেই সাঈফের সরল
স্বীকারোক্তিতে জানা গেল,শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার
এমন মানসিক প্রস্তুতি ছিল অনেক আগে থেকেই। সেই
লক্ষে প্রতিদিনই নিজের খরচের টাকা থেকে একটু একটু
করে সঞ্চয় করেছেন।সস্তা প্রচার-
প্রচারনা অথবা ভবিষ্যতে রাজনীতি করে জনপ্রতিনিধি হবার
কোন শখ অথবা দুরভিসন্ধি থেকে এসব করছেননা তিনি।
এমনকি এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলার সময়েও সাঈফ
রহমান বার বার নিষেধ করছিলেন যেন এসব না জানানো হয়
কাউকে । বরাবরই সমাজের একটা বড়
অংশকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত আর লোক দেখানো সাহায্য করার
চিত্র দেখতে অভ্যস্ত পাঠকের কেও যদি একবারও
ভুলে ভেবে বসেন সাঈফের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাও ‘লোক
দেখানো’ তাহলে সত্যিই ‘অনেক কষ্ট পাবো’ জানালেন এই
তরুন ।
সাঈফ রহমানের ‘অনুরোধ’ থাকলেও সময়ের কণ্ঠস্বরের
পাঠকদের জন্য ক্ষুদ্র হলেও একটি অনুপ্রেরণার গল্প
হিসেবে উপস্থাপনে কার্পণ্য নেই সময়ের কণ্ঠস্বরের । এই
ছোট অনুপ্রেরণার গল্পটি কারো হৃদয়ে দাগ
কেটে যদি সমাজের প্রতি সঠিক দায়বদ্ধতা উপলব্ধি করায়
আর সেই থেকে যদি একজন মেধাবী অসহায় শিক্ষার্থীরও
সাহায্যে সেটা আসে তাহলেই তো আমাদের সার্থকতা।
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বৃহস্পতিবার পৌরসভাধীন
মুরারীকাটি হাইস্কুলের হলরুমে ‘অনাড়ম্বর’
এমনি একটি অনুষ্ঠানে সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের
মাঝে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয় সাঈফের প্রতিষ্ঠান
ডি ফাইভ ক্রিয়েশানের পক্ষ থেকে। ‘লায়লা খাতুন
শিক্ষা সহায়তা ও সামছুর-মনোয়ারা শিক্ষা বৃত্তি’ প্রকল্পের
আওতায় বেশ কিছু দরিদ্র ও মেধাবীদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির
টাকা ও শিক্ষা উপকরণ ও উচ্চশিক্ষায়
প্রেরণাদানে মহামুল্যবান বই প্রদান করা হয়।
ডি-ফাইভ ক্রিয়েশনের অর্থায়নে ও কলারোয়া স্টুডেন্ট
ওয়েলফেয়ার’র ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ‘অনাড়ম্বর’ ওই
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ
আহম্মেদ স্বপন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমানুল্যাহ
আমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস
চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত
ছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন, ডি-ফাইভ
ক্রিয়েশানের সি ই ও সফটওয়্যার উদ্ভাবক এসএম সাইফ
রহমানের বাবা সামছুর রহমান সহ এলাকার অনেক গন্যমান্য
সচেতন মানুষ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা সবাই এমন প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান,
একাধিক আলোচক এসময় নিজ নিজ পরিধি থেকে এমন
সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ার উপরে গুরুত্ব আরোপ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, তাদের জন্য
এই ‘বৃত্তি শুধু সাহায্য নয় অনেক বেশি প্রেরণারও’ ।
অনুষ্ঠানে মুরারীকাটি ইউনাইটেড হাইস্কুল,
বেত্রবতী হাইস্কুল ও লাঙ্গলঝাড়া সম্মিলিত হাইস্কুলের
সুবিধাবঞ্চিত বেশকিছু মেধাবী শিক্ষার্থীদের
শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন
মাস্টার আ. ওহাব মামুন ও উজ্জ্বল কুমার।
No comments:
Post a Comment