কলকাতা প্রতিনিধি :
আজ ৩৫ বছর পূর্ণ করে ৩৬-এ পা দিলেন ওপার
বাংলার সুপারস্টার জিৎ ৷ সুপারস্টার জিৎ তার অভিনয়
দিয়ে বাংলাদেশের লাখো দর্শকেরও হৃদয়
কেড়েছেন । বাংলাদেশেও তার
রয়েছে গুনমুগ্ধ ভক্ত । জন্মদিনটা তিনি বরাবরই
একান্তভাবে পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই পছন্দ
করেন ৷
ব্যক্তিজীবনে জিৎ ২৪শে জানুয়ারি ২০১১
সালে স্কুলশিক্ষিকা মোহনা রতলানীকে বিয়ে করেন।
এরপর ১২ই ডিসেম্বর, ২০১২ সালে তাদের ঘর
আলো করে আসে নবন্যা।
জন্মদিন উপলক্ষে জিৎ বলেন, যদিও এরকম
একটি পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে সবসময়
নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সব কিছু করার সুযোগ
পাওয়া যায় না ৷ এছাড়াও যদি জন্মদিনের
আগে পরে কাছাকাছি সময়ে ছবি মুক্তি থাকে তাহলে তো বেজায়
চাপ ৷ তবে এ বছরে সেসব চিন্তা নেই ৷
মেয়ে হওয়ার পর বাবা হিসেবে এটাই তাঁর জন্মদিন
যেখানে তিনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর
সুযোগ পাবেন ৷
এদিন সকাল থেকেই জিতের টুইটার এবং ফেসবুক
পেজে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছাবার্তায়
ভেসে যায়৷অভিনেতা জিৎও অনুরাগীদের
ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা অত্যন্ত আপ্লুত৷
একনজরে জিতেন্দ্র
মদনানী (জিৎ)
তিনি প্রথমে সেন্ট জোসেফ এন্ড মারি স্কুল,
নিউ আলিপুর ও পরে ন্যাশনাল হাই
স্কুলে পড়াশোনা করেন।
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-কতৃক পরিচালিত ভবানীপুর
এডুকেশন সোসাইটি কলেজ হতে গ্রাজুয়েট
হন। পরে তিনি তার পরিবারের ব্যবসায় যোগদান
করেন। তবে সৃজনশীল কাজের প্রতি তার
বরাবরই উৎসাহ ছিল। মাঝেমধ্যে তিনি বিখ্যাত
অভিনেতাদের অভিনয় অনুকরন করার
চেষ্টা করতেন। তার বন্ধু রাজেশ
চৌধুরী সৃজনশীল দুনিয়ায় তার ভাগ্য
পরীক্ষা করতে বলেন।
এরপর তিনি বিভিন্ন কাজে যোগদান করেন। এরপর
তিনি বিভিন্ন সিরিয়ালে যেমনঃ বিষবৃক্ষ-এ তারাচরণ
চরিত্রে, জননী-এ অনিল চরিত্রে সহ
আরো কিছু সিরিয়ালে অভিনয় করেন। এরপর
তিনি মুম্বাই যান এবং তার উদ্দেশ্যে কোন প্রকার
বাঁধা ছাড়াই পাঁচ বছর সেখানে থাকেন।
ছুটিতে কলকাতায় আসার পর তিনি বিভিন্ন পরিচালক ও
প্রযোজকদের সাথে দেখা করেন। এরপর
তিনি প্রসেনিয়াম আর্ট সেন্টার নামক এক
প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হন। এই
প্রতিষ্ঠানে তিনি বিভিন্ন ইংরেজি নাটকে অভিনয়
করেন যেমনঃ আর্মস অ্যান্ড দ্য ম্যান, ম্যান অ্যাট
দ্য ফ্লোর। তারপর তিনি আবার মুম্বাই যান এবং এক
তেলেগু ছবিতে অভিনয় করেন। ২০০১
সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির নাম ছিল চাঁদু এবং পরিচালক
ছিল দক্ষিণ ভারতীয়। এই ছবিটি তেমন কোন
পরিচয় তাকে এনে দিতে পারল না,
যা তিনি আশা করেছিলেন।
২০০১ সালের অক্টোবরে তিনি আবার কলকাতায়
আসেন এবং পরিচালক হারানাথ চক্রবর্তীর কাছ
থেকে দেখা করার প্রস্তাব পান এন.টি.ওয়ান.
স্টুডিওতে। তার কাছ থেকে তিনি ২০০২
সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সাথী ছবিতে অভিনয়ের
প্রস্তাব পান এবং এই ছবির দৃশ্যায়ন শুরু হয় ১৫ জানুয়ারি,
২০০২ থেকে। এই ছবি জিৎকে বাংলা ছবির
জগতে এক বিশেষ স্থান করে দেয়। তার স্বাভাবিক
কিন্তু ভাষাসমৃদ্ধ অভিনয় দ্রুতই
তাকে বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয়ে স্থান
করে দেয়। যদিও তিনি রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয়
শুরু করেন, ক্রমশ তিনি একজন অ্যাকশন
হিরো হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৫
সালে থামস্ আপ-এর এক বিজ্ঞাপনে অভিনয়
করে তিনি আরো সুপরিচিত হন।
২০১২ সালে তিনি একজন সফল প্রযোজক
হিসেবে সমাদৃত হন, তার অভিনীত ১০০% লাভ
ছবিতে প্রযোজনার মাধ্যমে। তার পরের
ছবি আওয়ারা আগের অনেক রেকর্ড
ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড করে। তার নতুন
ছবি আসছে ২০১৩ সালে। এর মধ্যে শ্রাবন্তীর
বিপরীতে অভিনীত
দিওয়ানা এবং শুভশ্রী গাঙ্গুলীর
বিপরীতে অভিনীত বস ছবি বেশ
উল্লেখযোগ্য। বস ছবিটি ২০১২
সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মহেশ বাবুর পরিচালিত ব্লকবাস্টার
তেলেগু ছবি বিজন্যাসম্যান ছবির পুনর্নির্মান। এই
ছবিটি বাবা যাদব- এর পরিচালনা ও রিলায়েন্স
এন্টারটেইনমেন্ট- এর প্রযোজনায় মুক্তি পায়।
চলচ্চিত্র
তিনি ২০০২ সালে প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদীর
বিপরীতে সাথী ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তার
অভিনয় জীবন শুরু করেন।
আজ ৩৫ বছর পূর্ণ করে ৩৬-এ পা দিলেন ওপার
বাংলার সুপারস্টার জিৎ ৷ সুপারস্টার জিৎ তার অভিনয়
দিয়ে বাংলাদেশের লাখো দর্শকেরও হৃদয়
কেড়েছেন । বাংলাদেশেও তার
রয়েছে গুনমুগ্ধ ভক্ত । জন্মদিনটা তিনি বরাবরই
একান্তভাবে পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই পছন্দ
করেন ৷
ব্যক্তিজীবনে জিৎ ২৪শে জানুয়ারি ২০১১
সালে স্কুলশিক্ষিকা মোহনা রতলানীকে বিয়ে করেন।
এরপর ১২ই ডিসেম্বর, ২০১২ সালে তাদের ঘর
আলো করে আসে নবন্যা।
জন্মদিন উপলক্ষে জিৎ বলেন, যদিও এরকম
একটি পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে সবসময়
নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সব কিছু করার সুযোগ
পাওয়া যায় না ৷ এছাড়াও যদি জন্মদিনের
আগে পরে কাছাকাছি সময়ে ছবি মুক্তি থাকে তাহলে তো বেজায়
চাপ ৷ তবে এ বছরে সেসব চিন্তা নেই ৷
মেয়ে হওয়ার পর বাবা হিসেবে এটাই তাঁর জন্মদিন
যেখানে তিনি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর
সুযোগ পাবেন ৷
এদিন সকাল থেকেই জিতের টুইটার এবং ফেসবুক
পেজে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছাবার্তায়
ভেসে যায়৷অভিনেতা জিৎও অনুরাগীদের
ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা অত্যন্ত আপ্লুত৷
একনজরে জিতেন্দ্র
মদনানী (জিৎ)
তিনি প্রথমে সেন্ট জোসেফ এন্ড মারি স্কুল,
নিউ আলিপুর ও পরে ন্যাশনাল হাই
স্কুলে পড়াশোনা করেন।
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-কতৃক পরিচালিত ভবানীপুর
এডুকেশন সোসাইটি কলেজ হতে গ্রাজুয়েট
হন। পরে তিনি তার পরিবারের ব্যবসায় যোগদান
করেন। তবে সৃজনশীল কাজের প্রতি তার
বরাবরই উৎসাহ ছিল। মাঝেমধ্যে তিনি বিখ্যাত
অভিনেতাদের অভিনয় অনুকরন করার
চেষ্টা করতেন। তার বন্ধু রাজেশ
চৌধুরী সৃজনশীল দুনিয়ায় তার ভাগ্য
পরীক্ষা করতে বলেন।
এরপর তিনি বিভিন্ন কাজে যোগদান করেন। এরপর
তিনি বিভিন্ন সিরিয়ালে যেমনঃ বিষবৃক্ষ-এ তারাচরণ
চরিত্রে, জননী-এ অনিল চরিত্রে সহ
আরো কিছু সিরিয়ালে অভিনয় করেন। এরপর
তিনি মুম্বাই যান এবং তার উদ্দেশ্যে কোন প্রকার
বাঁধা ছাড়াই পাঁচ বছর সেখানে থাকেন।
ছুটিতে কলকাতায় আসার পর তিনি বিভিন্ন পরিচালক ও
প্রযোজকদের সাথে দেখা করেন। এরপর
তিনি প্রসেনিয়াম আর্ট সেন্টার নামক এক
প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হন। এই
প্রতিষ্ঠানে তিনি বিভিন্ন ইংরেজি নাটকে অভিনয়
করেন যেমনঃ আর্মস অ্যান্ড দ্য ম্যান, ম্যান অ্যাট
দ্য ফ্লোর। তারপর তিনি আবার মুম্বাই যান এবং এক
তেলেগু ছবিতে অভিনয় করেন। ২০০১
সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবির নাম ছিল চাঁদু এবং পরিচালক
ছিল দক্ষিণ ভারতীয়। এই ছবিটি তেমন কোন
পরিচয় তাকে এনে দিতে পারল না,
যা তিনি আশা করেছিলেন।
২০০১ সালের অক্টোবরে তিনি আবার কলকাতায়
আসেন এবং পরিচালক হারানাথ চক্রবর্তীর কাছ
থেকে দেখা করার প্রস্তাব পান এন.টি.ওয়ান.
স্টুডিওতে। তার কাছ থেকে তিনি ২০০২
সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সাথী ছবিতে অভিনয়ের
প্রস্তাব পান এবং এই ছবির দৃশ্যায়ন শুরু হয় ১৫ জানুয়ারি,
২০০২ থেকে। এই ছবি জিৎকে বাংলা ছবির
জগতে এক বিশেষ স্থান করে দেয়। তার স্বাভাবিক
কিন্তু ভাষাসমৃদ্ধ অভিনয় দ্রুতই
তাকে বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের হৃদয়ে স্থান
করে দেয়। যদিও তিনি রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয়
শুরু করেন, ক্রমশ তিনি একজন অ্যাকশন
হিরো হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৫
সালে থামস্ আপ-এর এক বিজ্ঞাপনে অভিনয়
করে তিনি আরো সুপরিচিত হন।
২০১২ সালে তিনি একজন সফল প্রযোজক
হিসেবে সমাদৃত হন, তার অভিনীত ১০০% লাভ
ছবিতে প্রযোজনার মাধ্যমে। তার পরের
ছবি আওয়ারা আগের অনেক রেকর্ড
ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড করে। তার নতুন
ছবি আসছে ২০১৩ সালে। এর মধ্যে শ্রাবন্তীর
বিপরীতে অভিনীত
দিওয়ানা এবং শুভশ্রী গাঙ্গুলীর
বিপরীতে অভিনীত বস ছবি বেশ
উল্লেখযোগ্য। বস ছবিটি ২০১২
সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মহেশ বাবুর পরিচালিত ব্লকবাস্টার
তেলেগু ছবি বিজন্যাসম্যান ছবির পুনর্নির্মান। এই
ছবিটি বাবা যাদব- এর পরিচালনা ও রিলায়েন্স
এন্টারটেইনমেন্ট- এর প্রযোজনায় মুক্তি পায়।
চলচ্চিত্র
তিনি ২০০২ সালে প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদীর
বিপরীতে সাথী ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তার
অভিনয় জীবন শুরু করেন।
No comments:
Post a Comment