অবশেষে ধরা খেলেন
অসংখ্য
ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল
করা ‘শিক্ষক’ সিরিয়াল
ধর্ষক রাসেল
সময় : 9:57 pm । প্রকাশের তারিখ :
26/04/2014
চট্টগ্রাম: ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল
অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক পরিমল জয়ধর
ও কুষ্টিয়ার শিক্ষক হেলাল উদ্দিন
পান্নার পর চট্টগ্রামের
রাউজানে ধরা পড়লেন রাসেল কবির
(৪০) নামে আরেক স্কুল শিক্ষক।
অসংখ্য ছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইল
করে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক
স্থাপনে বাধ্য করেছেন তিনি।
অন্তরঙ্গদৃশ্যের ভিডিও ধারণ
করে ব্ল্যাকমেইল করতেন তিনি।
অনেক দিন থেকেই এসব কুকর্ম
করে আসছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত
ধরা খেলেন। শনিবার
এলাকাবাসী মাথা ন্যাড়া করে জুতার
মালা পরিয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়
এলাকা ঘুরিয়ে থানায় সোপর্দ
করেছে তাকে।
তার কাছ থেকে অসংখ্য নগ্নদৃশ্যের
ভিডিওসহ একটি ল্যাপটপ জব্দ
করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল কবির
ঝালিকাঠি জেলার
বৈশাখীয়া গ্রামের হদুয়ার আবদুর
রবের ছেলে। তার বাবা চট্টগ্রাম
তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উপ বিভাগীয়
প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ
সুযোগে রাসেল ২০০৯ সালে তাপ
বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ
বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ
দেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রাউজান
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
প্রদীপ কুমার দাশ বলেন,
‘স্কুলে শিক্ষকতার সুযোগে রাসেল
বিভিন্ন বয়সের একাধিক ছাত্রীর
সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন
করে গোপনে ভিডিও করে রাখতো।
পরে এসবের ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের
ব্ল্যাকমেইল করে নিয়মিত যৌন কর্ম
চালিয়ে যায়। শনিবার
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর
জনতা তাকে ধরে মাথা ন্যাড়া করে জুতার
মালা পরিয়ে বিদ্যালয় প্রদক্ষিণ
করে থানায় সোপর্দ করে।’
ওসি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে তথ্য
প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়েরের
প্রস্তুতি চলছে। এছাড়াও তার
বিরুদ্ধে উত্থাপিত
অভিযোগগুলো যাচাই বাছাই
করে নির্যাতিত ছাত্রীদের পক্ষ
থেকেও মামলা দায়ের করা হবে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,
উপজেলার রাউজান তাপবিদ্যুৎ
কেন্দ্রে অবস্থিত মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত রাসেল কবির
দীর্ঘ চার বছর ধরে বাণিজ্য শাখার
শিক্ষক হিসেবে কমর্রত। সেই
সুবাদে তিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের
পাশেই একটি কোয়ার্টারে থাকেন।
ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর
নামে বিভিন্ন সময় যৌন
মিলনে বাধ্য
করে দৃশ্যগুলো ল্যাপটপের
ওয়েবক্যামে ভিডিও ধারণ
করে রাখতেন। পরে ধারণকৃত এসব
ভিডিও এলাকার বিভিন্ন ব্যক্তির
মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেয়া হতো।
এসব ঘটনার শিকার একাধিক ছাত্রীর
কাছ থেকে অভিযোগের
ভিত্তিতে স্থানীয়রা শনিবার
বিকেলে তার ল্যাপটপটি জব্দ করার
পর এর প্রমাণ পেলে তাকে আটক
করা হয়।
এ সময় রাসেল জনতার কাছে তিন
ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ শারীরিক
সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।
তার ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে বিভিন্ন
ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক
করার প্রমাণও পাওয়া যায়।
ঘটনার পর পরই রাউজান তাপবিদ্যুৎ
কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী স্বপন
কান্তি চক্রবর্তী ওই বিদ্যালয়
থেকে রাসেলকে সাময়িক বরখাস্ত
করেছেন।
রাউজান উপজেলা মাধ্যমিক
শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম
বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত
করে অভিযুক্ত শিক্ষকের
বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে।’
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment