গল্পটি অনুপ্রেরণার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের নতুন
প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ভারতীয়
জনতা পার্টির (বিজেপি) নরেন্দ্র মোদি।
এটা নিয়ে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই।
ভারতজুড়ে এখন বিজেপির জয়-জয়কার।
মোদিকে কেন্দ্র করে চলছে মিষ্টি বিতরণ
পর্ব। নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে জানা-
অজানা ১৫টি তথ্য তাই সময়ের কণ্ঠস্বর এর
পাঠকদের জন্য , মোদির
গল্পটি হতে পারে অনেকের জন্যই
অনুপ্রেরণার ।
১) ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নরেন্দ্র
দামোদরদাস মোদির জন্ম। তার পিতার নাম
দামোদরদাস মুলচান্দ ও মায়ের নাম
হীরাবেন। ৬ সন্তানের মধ্যে মোদি ছিলেন
তৃতীয়। মুদি ব্যবসায়ীদের পরিবারেই মোদির
জন্ম। শৈশব থেকেই মোদি চায়ের স্টলে তার
পিতাকে সাহায্য করতেন।
২) বিয়ের ব্যাপারে ২০১৪ সালের
লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনদিন মুখ
খোলেননি মোদি। এর আগে ৪ বার
নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেও আবেদন
ফর্মে স্ত্রীর কলামটি বরাবরই
ফাঁকা রেখেছিলেন। পরিবারের ঐতিহ্য
মেনে ১৩ বছর
বয়সে যশোদাবেনকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
ব্যাচেলর বা কুমার জীবন কাটানোর
প্রতি তীব্র ঝোঁক থাকায় যশোদাবেনের
সঙ্গে বিয়ে কখনও মেনে নেননি মোদি।
একইভাবে যশোদাবেনও একাকী থাকার
সিদ্ধান্ত নেন।
৩) ১৫ বছর বয়স থেকেই দেশপ্রেমিক
মোদি। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান
যুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের স্বেচ্ছায়
সহযোগিতা করেছিলেন তিনি। সন্ন্যাস
জীবনের প্রতি ঝোঁক থাকায়
তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে সাধুদের
সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত
হিমালয়ে গিয়ে ২ বছর সন্ন্যাস জীবন
কাটান।
৪) আহমেদাবাদে স্টেট ট্র্যান্সপোর্ট
অফিসে নরেন্দ্র মোদি তার ভাইয়ের
সঙ্গে চা বিক্রি করতেন। তখন থেকেই
কঠোর সংগ্রাম এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞায়
সত্যিকার অর্থ অনুধাবন করেছিলেন।
৫) গুজরাটের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়
মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ২ হাজার
৬৩ দিন ক্ষমতায় ছিলেন তিনি।
গুজরাটে টানা চতুর্থবারের
মতো মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এখনও
দায়িত্ব পালন করছেন।
৬) সন্ন্যাস জীবন কাটানোর সময় নরেন্দ্র
মোদির মাত্র দুটি পোশাক ছিল।
ইস্ত্রি করা পরিপাটি পোশাক পরতে পছন্দ
করেন তিনি। অন্য রাজনীতিবিদদের
চেয়ে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন ও
মোদি ব্র্যান্ডটাকে রূপ দেয়ার ব্যাপারে বেশ
সচেতন।
৭) ২০০৫ সাল থেকে নরেন্দ্র
মোদি যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের ভিসা না পেলেও
যুক্তরাষ্ট্রে তিনি পাবলিক রিলেশন্স ও
ইমেইজ ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ৩ মাসের
একটি সংক্ষিপ্ত কোর্স সম্পন্ন করেন।
বিজেপির জয়ের জন্য এবারের
লোকসভা নির্বাচনে মোদির স্বতঃস্ফূর্ত ও
বুদ্ধিদীপ্ত নির্বাচনী প্রচারণা ভীষণ
প্রয়োজন ছিল।
৮) নরেন্দ্র মোদির রসিকতাও সাধারণ নয়।
বিরোধী দল মোদির এ গুণটিকে প্রশ্নবিদ্ধ
করলেও এক-বাক্যের রসনাগুলোর
মধ্যে তীক্ষè মেধা ও বুদ্ধির
ছটা লক্ষ্যণীয়।
৯) নরেন্দ্র মোদিকে বেশ রক্ষণশীল
বলে মনে হলেও
প্রযুক্তিকে দূরে ঠেলেননি তিনি। প্রতিদিনই
ইন্টারনেটে নিজের খবরগুলো দেখে নেন। তার
ঘড়ির সংগ্রহটাও মন্দ নয়।
১০) রাতে ৪ ঘণ্টা ঘুমান মোদি। এ
নেতা অফিসে ঢোকেন সকাল ৭টায় এবং রাত
১০টা বা আরও রাত পর্যন্ত সেখানে কাজ
করেন।
১১) ভারতীয় রাজনীতিবিদদের
মধ্যে শশী ঠারুরের পর নরেন্দ্র মোদিই
নারীদের কাছে বেশি জনপ্রিয়। সেটার
বিশেষত তার তাকানোর ভঙ্গির কারণেই।
১২) নরেন্দ্র মোদির শখের
মধ্যে ছবি তোলা ও কবিতা পড়া। লিখতেও
ভালোবাসেন তিনি।
সমাবেশে যে বক্তৃতা দেন, তার একটি বড়
অংশ তার নিজেরই লেখা। নিজের তোলা ছবির
প্রদর্শনীও করেছেন তিনি।
১৩) নিরামিষাশী মোদি নিঃসঙ্গ
থাকতে ভালোবাসেন ও অন্তর্মুখী স্বভাবের।
কোন ‘বেস্ট ফ্রেন্ড’ নেই তার।
১৪) টাইম ম্যাগাজিনের এশিয়া এডিশনের
প্রচ্ছদে নরেন্দ্র মোদিকে স্থান
দেয়া হয়েছিল। টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের
১০০ শীর্ষ প্রভাবশালীর তালিকায় স্থান
করে নিয়েছিলেন তিনি।
১৫) মোদি স্বামী বিবেকানন্দ ও
ইন্দিরা গান্ধীকে নিজের আদর্শ মনে করেন।
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment