নাইজেরিয়ায় মুসলিম জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের
বিরুদ্ধে সেনা বাহিনীকে ‘পুরোদস্তুর অভিযানে’ নামার নির্দেশ
দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন।
বৃহস্পতিবার নাইজেরিয়ার গণতন্ত্র দিবসের ভাষণে, অপহৃত
২১৯ স্কুলছাত্রীকে তাদের স্বজনদের
কাছে ফিরিয়ে দেয়া নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর
প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গুডলাক বলেন, বোকো হারাম জঙ্গিদের দমনে সব ধরনের
পন্থা ব্যবহারে তিনি সেনাবাহিনীকে বৈধতা দিয়েছেন।
“নাইজেরিয়ার গণতন্ত্র সুরক্ষার
বিষয়ে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সন্ত্রাসবাদের
বিরুদ্ধে পুরোদস্তুর যুদ্ধ চালানোর মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য ও
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সৃষ্টিতে আমি আশাবাদী,” বলেন
তিনি।
তবে উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় নাইজেরিয়ায় বোকো হারাম
বিরোধী অভিযান কোনো জরুরি অবস্থা কিংবা যুদ্ধাবস্থার
অংশ কিনা তা পরিষ্কার করা হয়নি।
মে মাসের মাঝামাঝি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত
প্রতিবেশী দেশ চাদের প্রেসিডেন্ট ইদরিস দবির
সঙ্গে বৈঠকে ইসলামি জঙ্গিবাদের
বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে কাজ করার ব্যাপারে মতৈক্যে পৌঁছেন
দু’ নেতা।
গুডলাক বলেন, “আমি আপনাদের নিশ্চিত করছি…এই দুষ্ট
চক্রকে (বোকো হারাম) আচিরেই বিতাড়িত করা হবে।
তবে এ কাজটি রাতারাতি হয়ে যাবে না। তবে আমরা সাধ্যমত
সব চেষ্টাই করব।”
গত ১৪ এপ্রিল নাইজেরিয়ার দুর্গম চিবুক অঞ্চল
থেকে ২৭৬ স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়
বোকো হারাম জঙ্গিরা। পশ্চিমা শিক্ষা গ্রহণ করার
অপরাধে তাদের অপহরণের পর
বজারে বিক্রি করা হবে বলে হুমকি দেন গোষ্ঠীটির নেতারা।
অপহৃতদের কয়েকজন পালাতে সক্ষম হলেও
বাকীরা এখনো আটক রয়েছে।
এছাড়া, গত কয়েক মাস ধরে নাইজেরিয়ার বিভিন্ন
লোকালয়ে বোকা হারাম জঙ্গিদের হামলায় শত শত মানুষ
মারা গেছে।
এসব ঘটনার পর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট, ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ
অন্যান্য দেশের সরকার প্রধানরা বোকো হারাম জঙ্গিদের
বিরুদ্ধে অভিযানে এগিয়ে আসে।
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment