ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সেদেশের
ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের
পরাজয়ে নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার
পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয়
সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, যে কংগ্রেস
থেকে ভারতের স্বাধীনতা এসেছে, তারাই
আজ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। কারণ
তাদের সাথে জনগণের সম্পর্ক
ভালো নেই। তাই আমাদেরও এ
বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
পাশাপাশি জনগণের সাথেও সম্পর্ক
রাখতে হবে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন
মিলনায়তনে ‘শেখ হাসিনার ৩৩তম স্বদেশ
প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে মহানগর
আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক
আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ভারতের নির্বাচন
থেকে আমাদের শিা নিতে হবে।
যে কংগ্রেস ভারতের স্বাধীনতা এনেছে,
আজ তাদের কি অবস্থা।
এটা গণতন্ত্রের শিক্ষা।
যারা জনগণকে প্রতারিত করেন জনগণই
তাদেরকে উচিত শিক্ষা দেবেন। ভারতেও
সেটা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যারা বলছে ভারতের
ক্ষমতার পালা বদলের প্রভাব
বাংলাদেশে পড়বে,
তারা বুদ্ধিজীবি নামে আহাম্মকের দল।
ভারতের সাথে আমাদের আগে থেকে যেমন
সু-সম্পর্ক রয়েছে আগামীতেও
তা অব্যাহত থাকবে। কংগ্রেস ক্ষমতায়
না থাকলেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়
থাকবে।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ভারতে নির্বাচন
নিয়ে বাংলাদেশে কথা উঠেছে। যারা এ
নিয়ে টকশোতে লাফালাফি করেছে তাদের
গণতন্ত্র সম্পর্কে বিন্দুমাত্র
কোনো জ্ঞান নেই। থাকলে তারা এ
ধরণের কথা বলতো না। বঙ্গবন্ধুর
আদর্শের দল আওয়ামী লীগের
সাথে সারাদেশের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
ইউরোপের যেসব দেশের সাথে আমাদের
গভীর সম্পর্ক রয়েছে, তাদের
সাথে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়নের কাজ
চলছে। প্রধানমন্ত্রী কিছু দিনের
মধ্যে জাপান ও চীন যাবেন। এতে দেশের
সাথে অন্যদেশের সম্পর্ক আরো গভীর
হবে।
মন্ত্রী বলেন, ভারত গণতান্ত্রিক দেশ।
তাই সরকারের পরিবর্তন হলেও তাদের
সাথে কোনো সমস্যা হবে না। ন্যায়নীতির
মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবি আদায়
করে নেবো।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন,
কারো দয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার মানুষ
দেশকে স্বাধীন করেছেন। মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র কেন, কোন দেশের
কাছে আমাদের স্বাধীনতা বন্ধক দেয়নি।
তাই ভারতের সাথে আমাদের সু-সম্পর্ক
অব্যাহত থাকবে। যারা ভারতের নিঃশেষ
চায় তারা আজ নরেন্দ্র
মোদীকে অভিন্দন জানিয়েছেন। ভারত
ভালো করে জানে কারা গণতন্ত্রের
বন্ধু। এ সময় তিনি ভারতের নতুন
সরকারকে অভিনন্দন জানান।
একইসাথে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সৈয়দ
আশরাফ বলেন, ক্ষমতার লোভ-
লালসা বন্ধ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর
সৈনিকদের এমন কোনো হীন কাজের
সাথে জড়িত হওয়া উচিত নয়,
যা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ুণœ করে।
দলের
মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষা করে দলকে সুসংগঠিত
করে গড়ে তুলতে হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, শেখ
হাসিনা যে দিন এ দেশে ফিরে এসেছেন
সে দিন থেকেই ভাত ও ভোটের
আন্দোলন শুরু হয়েছে। মানুষ চির জীবন
বেঁচে থাকে না কিন্তু যতদিন শেখ
হাসিনা বেঁচে থাকবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ
হয়ে তার হাতকে শক্তিশালী রাখতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত
সভাপতি এম এ আজিজ এর
সভাপতিত্বে আলোচনা সভায়
আরো বক্তব্য দেন, দলের
উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ,
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল
করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী,
সাহারা খাতুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক
মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর
কবির নানক, মহানগর আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন
চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক
অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক
সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment