নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে বিএনপির
প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর
রহমানের ৩৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।
দিনটি উপলক্ষে আজ (শুক্রবার) বেলা সাড়ে ১১টার
দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জিয়ার
মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ নেন তিনি। এসময়
তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির
সদস্য নজরুল ইসলাম খান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল
(অব.) মাহবুবুর রহমান, নজরুল ইসলাম খান,
মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের
উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান, এনাম আহমেদ
চৌধুরী, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন,
ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব
বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট রুহুল কবির
রিজভী আহমেদ, আমানউল্লাহ আমান,
শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন,
যুবলদল সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও ১৯
দলের শরিক জাগপা’র প্রধান শফিউল আলম
প্রধান প্রমুখ।
জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর রাজধানীর
মানিক মিয়া অ্যাভিনউর রাজধানী স্কুল
প্রাঙ্গণে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ
করতে রওনা হন খালেদা। বেলা ১১টা ৫০
মিনিটে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন
টিএন্ডটি মোড়ে স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত গরীব
ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ
কর্মসূচি উদ্বোধন করেন তিনি। টানা তিনদিনের
এ খাবার বিতরণ কর্মসূচি রাজধানীর প্রায়
২৫টি স্থানে চলবে।
এর আগে, গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল
থেকেই জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপির
নেতাকর্মীদের ঢল নামে। বেলা ১১টার
দিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার
মাজারে এসেছি এ জুলমবাজ, ফ্যাসিস্ট ও অবৈধ
সরকারের বিরুদ্ধে চলমান
আন্দোলনকে আরো বেগবান করার শপথ নিতে।
এখান থেকে আন্দোলনকে আরো গতিশীল করার
শপথ হবে।
ফখরুল বলেন, ১৯৭১ সালে জিয়ার নেতৃত্ব এদেশের
মানুষ যুদ্ধে নেমেছিল। তারপরে জিয়াউর রহমানই
তলাবিহীন দেশকে পূর্ণ দেশে রূপান্তরিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, আজ দেশে গণতন্ত্র বিলুপ্ত।
মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে। স্বাভাবিক
মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। তাই এখন সময়
এসেছে জিয়ার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে এসরকারের
বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার।
জিয়াউর রহমানের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১৯
জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার
বাগবাড়ি গ্রামে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে একদল
বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে চট্টগ্রামের
সার্কিট হাউজে নিহত হন তিনি। তাঁর
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া বাণীতে বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর তাঁকে ‘বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি’
বলে অভিহিত করেন।#
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment