বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের পাইনছড়ি ৫২
নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় বর্ডার গার্ড
বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড
পুলিশের (বিজিপি) মধ্যে গুলিবিনিময় চলছে।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দুই পক্ষের
গুলিবিনিময় শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত
গুলিবিনিময় চলছিল। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করে বিজিবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন,
‘মিয়ানমারের বিজিপি প্রথমে গুলিবর্ষণ শুরু।
পরে বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়।’ বান্দরবানের
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি সীমান্তের ৫২
নং পিলারের কাছে বিজিবির টহল দলকে লক্ষ্য
করে গুলিবর্ষণ করেছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড
পুলিশ বিজিপি। বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টায়
সীমান্তের ৫২ নং পিলার এলাকায় বিজিবির
একটি টহল দল নিয়মিত টহল দেয়ার সময়
মিয়ানমারের বিজিপি হঠাৎ গুলিবর্ষণ করে। এ
ঘটনার পর ৫ বিজিবিসহ ৬ জন নিখোঁজ
রয়েছে বলে সূত্র দাবি করেন।
স্থানীয় সূত্র গুলো জানান, নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১
বিজিবি ব্যটালিয়ানঅধিন নব-গঠিত
পাইনছড়ি বিওপির জোয়ানরা সকালে নিয়মিত
টহলে বের হয়। তারা পাইনছড়ি ক্যাম্প থেকে বের
হয়ে দৌছড়ি ও তেছড়ি খালের আগা এলাকায়
পৌঁছলে হঠাৎ মিয়ানমারের ওপার
থেকে বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে।
হঠাৎ গুলির আওয়াজ
পেয়ে বিজিবি জুয়ানরা হতচকিত হয়ে আত্মরক্ষার
চেষ্ঠা করে। মিয়ানমার বাহিনী বিজিপির দফায় দফায়
গুলি বর্ষণের ফলে স্বল্পসংখ্যক
বিজিবি সদস্যরা দ্বিতীয়বার আত্মরক্ষার
চেষ্টা করলেও শেষ রক্ষা হয়নি কয়েক জনের।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, এ সময় টহল দলের
হাবিলদার নায়েক মোহাম্মদ মিজান ও স্থানীয়
বাসিন্দা ছৈয়দ আলম কেরানিসহ আরো ৪
বিজিবি সদস্য নিখোঁজ হয়ে যায়। এ প্রতিবেদন
লেখা পর্যন্ত (বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা) নিখোঁজ
ব্যক্তিদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। সূত্র
গুলো দাবি করেন, নিখোঁজ হওয়া ৬ জন সম্ভবত
বেচে নেই। খবর পেয়ে ৩০ কিলোমিটার দূরের
ব্যাটালিয়ন সদর নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে অধিনায়কের
নির্দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি জেয়ানদের
পাঠানোর পর মিয়ানমার বাহিনী তাদের গুলিবর্ষণ
বন্ধ করে। বিজিবি এ ঘটনার পর পুরো সীমান্ত
জুড়ে তাদের টহল জোরদার করে।
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment