বান্দরবান: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের পানছড়ি ৫২
নম্বর পিলার এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর
(বর্ডার গার্ড পুলিশ) সঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের
(বিজিবি) সদস্যদের গুলিবিনিময় চলছে।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে এ গুলিবিনিময় শুরু হয়। বিকেল
৫টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত একই অবস্থা বিরাজ
করছিলো।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্টাচার্য
বাংলানিউজকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ওই সীমান্ত এলাকা দুর্গম হওয়ায়
এখনো বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
জানা যায়, দোছড়ি ইউনিয়নের ক্যাম্পের নিখোঁজ
থাকা বিজিবির নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের লাশ
হস্তান্তর নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার জেরে বিজিপি ও বিজিবির
মধ্যে এ গুলিবিনিময়ের সূত্রপাত হয়।
শুক্রবার দুপুরে ওই সীমান্তে লাশ হস্তান্তরের
কথা থাকলেও বিজিপি ও বিজিবি’র
মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় বিজিপি প্রথম
গুলি ছোড়ে এবং বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়।
দু’দিন আগে বিজিপি-বিজিবি গুলিবিনিময়ের সময় নিখোঁজ হন
মিজান।
বুধবার মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বর্ডার গার্ড পুলিশ)
সদস্যরা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি টহল
দলের ওপর গুলিবর্ষণ করার পর তিনি নিখোঁজ হন।
নিখোঁজ মিজানুর রহমান কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার
মোহনপুর ইউনিয়নের ভেলানগর গ্রামের বাসিন্দা।
বিজিবি জানায়, বুধবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার
সীমান্তের ৫২ নম্বর পিলারের কাছে ৩১ বিজিবির একটি টহল
দলকে লক্ষ করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর
সদস্যরা গুলিবর্ষণ করে। এ ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ
রয়েছেন মিজানুর রহমান।
বিজিবি জানায়, ঘটনার পর থেকে বিজিবি সদস্য নায়েক
মিজানের ব্যবহৃত এলএমজি রাইফেল ও ১২০ রাউন্ড গুলিও
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
তাকে মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি বিজিবির।
এ ঘটনার পর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একটি সাধারণ
ডাইরি করা হয়েছে।
গত দুই মাস ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে উভয়
দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত ২১ মে সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবি ও মিয়ানমার
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উভয়
দেশের সীমান্তে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার
ব্যাপারে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হলেও এক সপ্তাহ পরই
সীমান্তে গুলিবর্ষণ ও বিজিবি সদস্য নিখোঁজের ঘটনা ঘটল।
** নাইক্ষ্যংছড়িতে নিখোঁজ বিজিবি সদস্যের
সন্ধান মেলেনি
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৪
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment