Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Friday, May 30, 2014

সুখের সংসার ভাঙার কারণ নারীর ১১টি ভুল

বিয়ের পর সবকিছুই কেমন যেন বদলে যায়।
সমস্যা সামলাতে একজন নারী নিজ
উদ্যোগে কতো কিছু্ই না করেন। কিন্তু সেই
কাজগুলোই কীভাবে যেনো হিতে বিপরীত
হয়ে দেখা দেয়। এসব নানা টানাপড়েন
বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা ১১টি পয়েন্ট তুলে ধরেছেন
যা একটি সুখের সংসার ভেঙে দেয়।
১. স্বামী না বলা পর্যন্ত তার
ইচ্ছা পূরণে এগিয়ে আসেন না
পুরুষরা শক্ত হয়ে চায়, কিন্তু দুর্ভেদ্য নয়।
তারা সব প্রয়োজনের কথা খুলে বলেন না। কিন্তু
স্ত্রীর সঙ্গে নানা প্রয়োজনে বিশেষ
করে যৌনতার ক্ষেত্রে তারা যদি অনুভব করেন
যে আপনি বেশি ব্যস্ত এবং তার ইচ্ছের
কথা জানার কোনো আগ্রহ আপনার নেই,
তাহলে আপনার স্বামী মূর্তি হয়ে থাকবে।
কাজেই তার ইচ্ছের কথা জানতে চাইতে হবে।
২. স্বামীর ভালো বিষয়গুলো তুলে ধরেন না
আপনার সঙ্গী অপদার্থ হলেও তার অন্য
ভালো দিকগুলো তুলে ধরুন। অথবা তার মতোই
করিৎকর্মা আপনি হলেও তাকে তার অবদানের
জন্য ধন্যবাদ দিন। যদি তিনিও
আপনাকে প্রেরণা না দেন তবে তা খুলে বলুন।
৩. ভালোবাসলেও আপনার অভিযোগ 'তুমি আমায়
ভালোবাসো না
আপনার স্বামী আপনাকে যতোই ভালোবাসুন,
তা পুরুষরা সাধারণত মুখ ফুটে বলতে চান না।
কিন্তু তাদের ভালোবাসা প্রকাশ পায়।
এটি পাওয়ার পরও যদি মনে হয়
তিনি আপনাকে ভালোবাসেন না,
তবে সে ক্ষেত্রে আপনার উপলব্ধির
বিষয়টি বিবেচনায় আনতে হবে।
৪. যৌনকামনার অভাব প্রকাশ করা
স্বামী আপনাকে আদর করতে চান। কিন্তু মোটেও
পাত্তা দিলেন না তাকে। এর অর্থ তার
ভালোবাসা পাওয়া পথ নিজেই বন্ধ করে দিলেন।
যদি আপনার ভেতরে যৌন তাড়না কম থাকে,
তবে নিজ দায়িত্বে তার সমাধানে মন
দিতে হবে। এ জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞের
সঙ্গে কথা বলুন।
৫. অবচেতনভাবে পুরনো প্রেমিকের প্রতি আসক্তি
অন্তরঙ্গ মুহূর্ত
বাযেকোনোপরিস্থিতিতেঅবচেতনভাবেপুরনোপ্রেমিক
মনের ভেতর লুকিয়ে থাকলে আপনার সর্বনাশ
হতে বাধ্য। স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে এ
বিষয়টি বিরাট এক বাধা। স্বামীর যোগ্যতার
সঙ্গে পুরনোর তুলনা না করে নিজের মানুষটির
ভালো দিকগুলো নিয়ে ভাবুন।
৬. পুরুষদের সম্পর্কে বাজে ধারণা
পুরনো প্রেমিক প্রতারণা করেছে, এ জন্য সব
পুরুষকে প্রতারক বলে মনে করাটা ঠিক নয়। এই
ক্ষতকে জিইয়ে রাখলে আপনি কারো সঙ্গেই
জুটি গড়তে পারবেন না। কাজেই এই
মানুষটিকে চেনার চেষ্টা করুন; সবাই এক নন।
৭. আপনি একতরফা ভালোবাসেন মনে করা
সংসার জীবন সুখী হয় দুই তরফের ইচ্ছা থেকে।
স্বামীকে ভুল বুঝে নিজে একতরফা এই
সংসারকে টিকিয়ে রেখেছেন তা বোঝার
আগে নিজের কোনো ভুল হচ্ছে কিনা তা জানার
চেষ্টা করুন।
৮. স্বামী কী ভাবছেন তা কল্পনা করে নেওয়া
যদি মনে করেন আপনার স্বামী কী বলবেন
বা কী করবেন তা আপনি আগেই বুঝে ফেলেন,
তবে ভুল করছেন। এই বেশি বোঝার মনোভাব
সম্পর্কে ক্ষত তৈরি করে।
সবকিছুতে ধারণা করে নেওয়াটা মোটেও
ভালো নয় এবং সেখানে ভুল হওয়ার
সম্ভাবনা বেশি থাকে।
৯. বিতর্কের সময় স্বামীর দৃষ্টিভঙ্গিকে কটাক্ষ
করা
অনেক বিষয় নিয়েই মতবিরোধ হতে পারে,
চলতে থাকবে তর্ক-বিতর্ক। যার যার নিজস্ব
চিন্তাধারা রয়েছে। আপনি সে ধারার
না হলে তা উপেক্ষা করতে পারেন না। অন্যের
চিন্তা-চেতনাকে পাত্তা না দিলে সেখানেই
বিরোধ সৃষ্টি হবে।
১০. ভুল উপায়ে যোগাযোগ স্থাপন
বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্বামীর
সঙ্গে যেকোনো বিষয়ে নিজের বক্তব্য
ভুলভাবে উপস্থাপন করলে সেখানে ভুল
বোঝাবুঝির সুযোগ বিস্তর। ঘুরিয়ে-
পেঁচিয়ে কথা না বলে সোজাসুজি বলুন। উদাহরণ
হিসেবে বলা যায়, তা জিমে কেমন সময়
কাটানো হচ্ছে?
প্রশ্নটি এভাবে না করে 'ব্যায়াম করে উপকার
পাচ্ছো তো?'- এভাবে করা যায়।
১১. স্বামীর সঙ্গে প্রতিদিন একান্ত সময়
না কাটানো
দুজন যতোই ব্যস্ত থাকুন, প্রতিটি দিন কিন্তু
আপনারা দুজন একই ছাদের নিচে বাস করছেন।
কাজেই তিনিই আপনার সবচেয়ে কাছের মানুষ।
তাই প্রতিদিন প্রতিনিয়ত তার
সঙ্গে জুড়ে রয়েছেন আপনি।
এটি মোবাইলে কথা বলে হোক
বা বাড়িতে ফেরার পর ব্যক্তিগত সময়
অতিবাহিত করার মধ্য দিয়ে হোক। বাহ্যিক
বা মানসিক আন্তযোগাযোগ না থাকলে দুজন দুই
প্রান্তের মানুষ হয়ে যাবেন।


Posted via Blogaway

No comments: