দৌলতদিয়া থেকে: ‘বাবা আমার
পাখি জামা লাগবে না, তুমি আস। আমি আর
কোনোদিন তোমার কাছে কিছু চাইবো না। তবুও
তুমি আমাদের রেখে চলে যেও না।’
রোববার রাতে দৌলতদিয়া-
পাটুরিয়া নৌরুটে দুর্ঘনায় নিহত আব্দুল হামিদের
মেয়ে মীম (১৪)
বাবাকে হারিয়ে এভাবে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছেন।
মীম বাবাকে দুইদিন আগে মোবাইল
ফোনে বলেছে বাবা আমার ও শিমুর জন্য এবার
পাখি জামা আনতে হবে। না হলে কিন্তু
বাড়ি আসতে দিব না।
বাবা হামিদ মেয়েদের জন্য পাখি জামা কিনলেও
বাড়িতে আর যাওয়া হলো না।
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা বড়াইল গ্রামের মোহাম্মদ
আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ ঢাকায় নিজের মামার
একটি কোম্পানিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলেন।
ঈদে পরিবারের সকলের চাহিদা মতো সকল কিছু
কিনে দুপুরে বাড়ির পথে রওয়ানা দেন।
আসার পথে পরিবারের সকলের সঙ্গে মোবাইল
ফোনে একাধিকবার কথা বলেছে। শেষ
কথা বলেছে মেয়ে মীম। মেয়েকে তখন বলেছিলেন,
মা তোমাদের জন্য পাখি জামা এনেছি।
তোমরা কিন্তু ভালভাবে লেখাপড়া করবে।
মেয়ে ও পরিবারের অন্য
কারো কথা রাখতে পারলেন না আব্দুল হামিদ। তার
আগেই বেপরোয়া লঞ্চ চালকদের
কারণে অকালে জীবন দিতে হলো তাকে।
নিহত আব্দুল হামিদের বাবা মোহাম্মদ আলী ছেলের
লাশ নিতে এসে কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, আমার
একি দুর্ভাগ্য ছেলের লাশ
নিয়ে আমাকে বাড়ি ফিরতে হবে। আমার ছেলের
সঙ্গে আমি দুপুরে কথা বলেছি।
তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, বাবা তোমার
সঙ্গে আমার এমন তো কথা ছিল না।
তাহলে তুমি কেন আমাদের
সকলকে ছেড়ে চলে গেলে।
নিহতের ছোট ভাই আনিস আহমেদ বলেন, যে ভাই
আমার বাবার মতো তার লাশ আমি কীভাবে নিব?
ভাই, তুমি আমাদের কার কাছে রেখে গেলে?
আমরা এখন কার কাছে থাকবো?
বাড়ি এসে কে আমাদের শাসন করবে?
লঞ্চঘাটের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন মিলন
বাংলানিউজকে জানান,
রাতে এমভি রুনা পাটুরিয়া ঘাট
থেকে যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়ার পথে ছেড়ে আসে।
দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে আসার পর
অপরপাশ থেকে এমভি পর্বত
সামনে দিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই হামিদ
নিহত হন এবং ১০/১২ জন আহত হয়।
আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের নির্দেশ থাকলেও
বিআইডব্লিউটিএ এর কোনো কর্মকর্তা-
কর্মচারী দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে উপস্থিত ছিলেন
না।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা ঘাটের পোর্ট অফিসার মো.
কবির মোবাইলে দুর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার
করে বলেন, ঘাটের দায়িত্বে লোক ছিল।
আমি সংবাদ পাওয়ামাত্র রওয়ানা হয়েছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৌলতদিয়া লঞ্চ
ঘাটের এক কর্মচারী জানান, এমভি পর্বত লঞ্চের
মালিক মিজান নেশা করে নিজেই লঞ্চ
চালাচ্ছিলো। যে কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।
মিজান মাঝেমধ্যে চালকদের
চালাতে না দিয়ে নিজেই লঞ্চ চালায়।
লঞ্চ মালিক মিজানের মোবাইল ফোনে কল
করলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর
তা কেটে দেন।
পাখি জামা লাগবে না, তুমি আস। আমি আর
কোনোদিন তোমার কাছে কিছু চাইবো না। তবুও
তুমি আমাদের রেখে চলে যেও না।’
রোববার রাতে দৌলতদিয়া-
পাটুরিয়া নৌরুটে দুর্ঘনায় নিহত আব্দুল হামিদের
মেয়ে মীম (১৪)
বাবাকে হারিয়ে এভাবে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছেন।
মীম বাবাকে দুইদিন আগে মোবাইল
ফোনে বলেছে বাবা আমার ও শিমুর জন্য এবার
পাখি জামা আনতে হবে। না হলে কিন্তু
বাড়ি আসতে দিব না।
বাবা হামিদ মেয়েদের জন্য পাখি জামা কিনলেও
বাড়িতে আর যাওয়া হলো না।
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা বড়াইল গ্রামের মোহাম্মদ
আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ ঢাকায় নিজের মামার
একটি কোম্পানিতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত ছিলেন।
ঈদে পরিবারের সকলের চাহিদা মতো সকল কিছু
কিনে দুপুরে বাড়ির পথে রওয়ানা দেন।
আসার পথে পরিবারের সকলের সঙ্গে মোবাইল
ফোনে একাধিকবার কথা বলেছে। শেষ
কথা বলেছে মেয়ে মীম। মেয়েকে তখন বলেছিলেন,
মা তোমাদের জন্য পাখি জামা এনেছি।
তোমরা কিন্তু ভালভাবে লেখাপড়া করবে।
মেয়ে ও পরিবারের অন্য
কারো কথা রাখতে পারলেন না আব্দুল হামিদ। তার
আগেই বেপরোয়া লঞ্চ চালকদের
কারণে অকালে জীবন দিতে হলো তাকে।
নিহত আব্দুল হামিদের বাবা মোহাম্মদ আলী ছেলের
লাশ নিতে এসে কাঁদতে কাঁদতে বলছেন, আমার
একি দুর্ভাগ্য ছেলের লাশ
নিয়ে আমাকে বাড়ি ফিরতে হবে। আমার ছেলের
সঙ্গে আমি দুপুরে কথা বলেছি।
তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, বাবা তোমার
সঙ্গে আমার এমন তো কথা ছিল না।
তাহলে তুমি কেন আমাদের
সকলকে ছেড়ে চলে গেলে।
নিহতের ছোট ভাই আনিস আহমেদ বলেন, যে ভাই
আমার বাবার মতো তার লাশ আমি কীভাবে নিব?
ভাই, তুমি আমাদের কার কাছে রেখে গেলে?
আমরা এখন কার কাছে থাকবো?
বাড়ি এসে কে আমাদের শাসন করবে?
লঞ্চঘাটের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন মিলন
বাংলানিউজকে জানান,
রাতে এমভি রুনা পাটুরিয়া ঘাট
থেকে যাত্রী নিয়ে দৌলতদিয়ার পথে ছেড়ে আসে।
দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাটের কাছে আসার পর
অপরপাশ থেকে এমভি পর্বত
সামনে দিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই হামিদ
নিহত হন এবং ১০/১২ জন আহত হয়।
আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়।
নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের নির্দেশ থাকলেও
বিআইডব্লিউটিএ এর কোনো কর্মকর্তা-
কর্মচারী দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে উপস্থিত ছিলেন
না।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা ঘাটের পোর্ট অফিসার মো.
কবির মোবাইলে দুর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার
করে বলেন, ঘাটের দায়িত্বে লোক ছিল।
আমি সংবাদ পাওয়ামাত্র রওয়ানা হয়েছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৌলতদিয়া লঞ্চ
ঘাটের এক কর্মচারী জানান, এমভি পর্বত লঞ্চের
মালিক মিজান নেশা করে নিজেই লঞ্চ
চালাচ্ছিলো। যে কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।
মিজান মাঝেমধ্যে চালকদের
চালাতে না দিয়ে নিজেই লঞ্চ চালায়।
লঞ্চ মালিক মিজানের মোবাইল ফোনে কল
করলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর
তা কেটে দেন।
posted from Bloggeroid
No comments:
Post a Comment