বাড়িতে ফিলিস্তিনি কিশোরী ফারাহ বাকের।
ইসরায়েলি হামলার পুরো সময়টায় টুইটারে যুদ্ধের
খবরাখবর আর ছবি ও অডিও-ভিডিও আপডেট
দিয়েছে ফারাহ। কখনো কাঁদতে কাঁদতে,
কখনো বোমা বা বিমান হামলার
ভয়ে কুঁকড়ে গিয়ে লুকিয়ে থাকার সময়ও টুইট
করেছে ওই মেয়ে। ১৬ বছরের ওই
ফিলিস্তিনি কিশোরী তবু নিজেকে বুঝিয়েছে—
এখানে যা হচ্ছে তা সবাইকে জানানোর, দেখানোর
চেষ্টা করেই গাজাকে সাহায্য করতে পারে সে।
এক প্রতিবেদনে এ খবর
জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার নিয়মিত আপডেট টুইট
করে রাতারাতি সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে জনপ্রিয় ও আলোচিত হয়ে ওঠা এই
কিশোরীর নাম ফারাহ বাকের। পরিবারের
সঙ্গে গাজা সিটির শিফা হাসপাতালের কাছের
একটা বাড়িতে থাকে ফারাহ। তার বাবা ওই
হাসপাতালের শল্য চিকিত্সক।
গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকেই নিয়মিত
টুইটারে যুদ্ধের ভয়াবহতার খবর দিত ফারাহ।
যুদ্ধের ভেতরে বসে থেকে ভয়ে গা শিউরে ওঠার
অনুভূতি, বাড়ির কাছেই বোমা বিস্ফোরণের
শব্দে কানে তালা লেগে যাওয়ার অবস্থা, একের
পর এক হামলায় ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে গাজার আকাশ
ছেয়ে যাওয়া, অ্যাম্বুলেন্স আর সাইরেনের শব্দ—
এই সবকিছুই উঠে আসত ফারাহর টুইটে।
টুইটারে ফারাহর আপডেটগুলোতে মিশে থাকত
কিশোরী মনের আবেগ আর প্রত্যক্ষদর্শীর
জবানবন্দির অনুভূতি। সম্ভবত এটাই হাজার হাজার
মানুষকে ফারাহর টুইটার বার্তার
অনুরাগী করে তোলে। যুদ্ধের টুইট শুরুর
আগে স্কুলপড়ুয়া ফারাহর গড়পড়তায় ৮০০
অনুসারী থাকলেও রাতারাতিই তা বেড়ে পৌঁছে যায়
১ লাখ ৬৬ হাজারে।
টুইটারে এই
ফিলিস্তিনি কিশোরীর
ভক্তে পরিণত
হন
অনেকেই।
ফারাহর
টুইটার
বার্তা নিজেরা ‘রি-
টুইট’
করতে শুরু
করেন
ওর
অনুসারীরা।
পাশাপাশি ওকে নিয়ে আলোচনাও
শুরু
হয়
টুইটারে।
ফারাহ বার্তার পাশাপাশি বেশকিছু ভিডিও
এবং অডিও ক্লিপও আপলোড করে নিজের অ্যাকাউন্ট
থেকে।
‘আমি যেখানে বাস
করি সেখানে কী হচ্ছে এবং আমার কেমন লাগছে,
সেসব বিশ্বকে বলার চেষ্টা করেছি আমি।’ গাজার
বাড়িতে বসে রয়টার্সের কাছে নিজের
কথা তুলে ধরার সময় ফারাহ আরও জানায়,
‘আমি চেষ্টা করছিলাম অন্য মানুষেরাও
বিষয়টা উপলব্ধি করুক, তাদেরও মনে হোক
যে তারাও এই যুদ্ধের অভিজ্ঞতা পাচ্ছে।’
এই যুদ্ধের মধ্যে থেকে টুইট করাটা সব সময় সহজ
ছিল না। ফারাহ জানায়, ‘কখনো কাঁদতে কাঁদতে,
কখনো বোমা বা বিমান হামলার
ভয়ে কুঁকড়ে গিয়ে লুকিয়ে থাকার সময়ও টুইট
করেছি আমি। তবু আমি নিজেকে বুঝিয়েছি,
এখানে যা হচ্ছে, তা সবাইকে জানানোর, দেখানোর
চেষ্টা করেই গাজাকে সাহায্য করতে পারি আমি।’
গাজা, ২০১৪। টুইটারে ফারাহর
আপডেটগুলোতে মিশে থাকত কিশোরী মনের আবেগ আর
প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দির অনুভূতি। সম্ভবত এটাই
হাজার হাজার মানুষকে ফারাহর টুইটার বার্তার
অনুরাগী করে তোলে। ছবি: রয়টার্স
ফারাহ বাকের বড় হয়ে আইনজীবী হতে চায়
এবং নিজের পেশায় থেকেই জনাকীর্ণ আর
দারিদ্র্যপীড়িত এই জনপদকে সাহায্য করতে চায়।
posted from Bloggeroid


No comments:
Post a Comment