তীরে উঠার আগেই ফঁসকে গেল ২ শিশু পুত্র
ফরিদপুরের শালথা এলাকার সৈয়দ শফি (৩৫)।
স্ত্রী শেফালী বেগম (২৫), ২ ছেলে আরাফ (২) ও এনাম
(৪)-কে নিয়ে ছিলেন দুর্ঘটনা কবলিত পিনাক-৬ লঞ্চের
ছাদে। লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার সময় ২ ছেলেকে ২
হাতে ধরে মাওয়ার পদ্মা পাড়ে উঠার চেষ্ঠা করছিলেন।
পাড়ের কাছাকাছি এলে তীব্র স্্েরাতে ২ ছেলে ফঁসকে পদ্মায়
তলিয়ে যায়। স্ত্রী-সন্তানদের সন্ধানে মাওয়া পাড়ে পাগল
হয়ে ছুটছেন এদিক-সেদিক।
মা বেঁচে গেলেও নিখোঁজ তিন সন্তান
মাদারীপুরের শিবচরের কাওড়াকান্দির আব্দুর রহিম।
গুলশান-২ নম্বরে এক ব্যবসায়ীর গাড়ি চালান। তিন
ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকেন রাজধানীর ভাটারায়। তার
স্ত্রী হাসি বেগম ঈদের ছুটি শেষে বড়
মেয়ে আদিবা সুলতানা, মেরাজ ও ছোট
ছেলে মাহিকে নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন। লঞ্চ
ডুবিতে হাসি বেগম উদ্ধার হলেও তার ছেলে মেয়েদের
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হাসি বেগম উদ্ধার হওয়ার পর
স্বামী রহিমকে ফোন করলে পাগলের মতো ছুটে আসেন
রহিম। রহিম ও তার স্ত্রী’র আহাজারি-
আর্তনাদে ভারি মাওয়ার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠছে। তিন
ছেলে মেয়েকে হারিয়ে তারা এখন পাগল প্রায়। শোকার্ত
রহিম জানান, তার বড় মেয়ে আদিবা সুলতানা ৮ম শ্রেণির
ছাত্রী, মেরাজ পড়ে কিন্ডার গার্টেন স্কুলে। আর ছোট
মেয়ে মাহির বয়স দেড় বছর। হাসি বেগম বলেন, আমি ওদের
বাঁচাতে পারিনি। আমার ছোট ছেলে মাহির হাত ধরে ছিলাম
আমি। কিন্তু আমার ছেলে গেল কোথায়।
জান্নাতুল নাঈমা। চীনের একটি প্রদেশে চিকিৎসাবিদ্যায়
পড়াশুনা করেন। বাড়ি শরীয়তপুরে। পিনাক-৬
লঞ্চে করে নাঈমা তার বাবা আব্দুল জব্বারের সঙ্গে ঢাকায়
আসছিলেন খালাতো বোনের সঙ্গে দেখা করতে। লঞ্চ
ডুবিতে বাবা বেঁচে গেলেও নাঈমার সন্ধান মেলেনি। আব্দুল
জব্বার মেয়েকে পাগলের মতো খুঁজে ফিরছেন। শুধু জব্বারই
না, প্রায় দেড় শতাধিক নিখোঁজ যাত্রীর সন্ধানে চাতকের
মতো তাকিয়ে আছেন স্বজনেরা। সোমবার মুন্সিগঞ্জের
মাওয়া ঘাটের কাছে পদ্মায় পিনাক-৬ নামের
একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ
দুর্ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ জনের লাশ
উদ্ধার করা হয়েছে। বৈরি আবহওয়ার জন্য উদ্ধার
তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। কবে জীবিত উদ্ধার
করা হয়েছে প্রায় ১১০ জনকে। এখনো নিঁেখাজ প্রায় দেড়
শতাধিক। রাত সোয়া ৯টায় পর্যন্ত দুর্ঘটনা কবলিত
লঞ্চটি সনাক্ত করা যায়নি।
স্ত্রী ও
২
মেয়েকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ
আলী জব্বার
শরীয়তপুরের
কৃঞ্চনগরের
আলী জব্বার।
থাকেন
নারায়নগঞ্জের
কাশীপুর
এলাকায়।
ঈদের
পর
পরিবার
পরিজন
নিয়ে আত্মীয়ের
বিয়ের
অনুষ্ঠানে অংশ নিতে শরীয়তপুরের কৃষ্ণনগরে গিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে স্ত্রী জাহানারা বেগম, মেয়ে হালিমা,
তানিজমা আক্তার ও ভাই আনোয়ার হোসেন
অপুকে নিয়ে কাওড়াকান্দি থেকে পিনাক-৬
লঞ্চে করে মাওয়া হয়ে নারায়ণগঞ্জের
উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভাগ্যক্রমে আলী জব্বার ও তার
ভাই অপু বেঁচে গেলেও তার স্ত্রী ও ২ মেয়ে পদ্মায়
তলিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে বড়
মেয়ে হালিমা আক্তার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
আগামী ১৩ই আগস্ট পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার কথা।
কিন্তু পরীক্ষার ফল জানা হলো আর হালিমার।
মাওয়ার পাড়ে বাকরুদ্ধ আলী জব্বার মিয়া জানান,
মেয়ে হালিমার এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। এরপর
কলেজে ভর্তি হবে। কিন্তু তা আর হলো না। মেয়ের কারণেই
তড়িঘড়ি করে শরীয়তপুর থেকে নারায়নগঞ্জ
বাড়িতে যাচ্ছিলেন তারা।
ফরিদপুরের শালথা এলাকার সৈয়দ শফি (৩৫)।
স্ত্রী শেফালী বেগম (২৫), ২ ছেলে আরাফ (২) ও এনাম
(৪)-কে নিয়ে ছিলেন দুর্ঘটনা কবলিত পিনাক-৬ লঞ্চের
ছাদে। লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার সময় ২ ছেলেকে ২
হাতে ধরে মাওয়ার পদ্মা পাড়ে উঠার চেষ্ঠা করছিলেন।
পাড়ের কাছাকাছি এলে তীব্র স্্েরাতে ২ ছেলে ফঁসকে পদ্মায়
তলিয়ে যায়। স্ত্রী-সন্তানদের সন্ধানে মাওয়া পাড়ে পাগল
হয়ে ছুটছেন এদিক-সেদিক।
মা বেঁচে গেলেও নিখোঁজ তিন সন্তান
মাদারীপুরের শিবচরের কাওড়াকান্দির আব্দুর রহিম।
গুলশান-২ নম্বরে এক ব্যবসায়ীর গাড়ি চালান। তিন
ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকেন রাজধানীর ভাটারায়। তার
স্ত্রী হাসি বেগম ঈদের ছুটি শেষে বড়
মেয়ে আদিবা সুলতানা, মেরাজ ও ছোট
ছেলে মাহিকে নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন। লঞ্চ
ডুবিতে হাসি বেগম উদ্ধার হলেও তার ছেলে মেয়েদের
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হাসি বেগম উদ্ধার হওয়ার পর
স্বামী রহিমকে ফোন করলে পাগলের মতো ছুটে আসেন
রহিম। রহিম ও তার স্ত্রী’র আহাজারি-
আর্তনাদে ভারি মাওয়ার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠছে। তিন
ছেলে মেয়েকে হারিয়ে তারা এখন পাগল প্রায়। শোকার্ত
রহিম জানান, তার বড় মেয়ে আদিবা সুলতানা ৮ম শ্রেণির
ছাত্রী, মেরাজ পড়ে কিন্ডার গার্টেন স্কুলে। আর ছোট
মেয়ে মাহির বয়স দেড় বছর। হাসি বেগম বলেন, আমি ওদের
বাঁচাতে পারিনি। আমার ছোট ছেলে মাহির হাত ধরে ছিলাম
আমি। কিন্তু আমার ছেলে গেল কোথায়।
জান্নাতুল নাঈমা। চীনের একটি প্রদেশে চিকিৎসাবিদ্যায়
পড়াশুনা করেন। বাড়ি শরীয়তপুরে। পিনাক-৬
লঞ্চে করে নাঈমা তার বাবা আব্দুল জব্বারের সঙ্গে ঢাকায়
আসছিলেন খালাতো বোনের সঙ্গে দেখা করতে। লঞ্চ
ডুবিতে বাবা বেঁচে গেলেও নাঈমার সন্ধান মেলেনি। আব্দুল
জব্বার মেয়েকে পাগলের মতো খুঁজে ফিরছেন। শুধু জব্বারই
না, প্রায় দেড় শতাধিক নিখোঁজ যাত্রীর সন্ধানে চাতকের
মতো তাকিয়ে আছেন স্বজনেরা। সোমবার মুন্সিগঞ্জের
মাওয়া ঘাটের কাছে পদ্মায় পিনাক-৬ নামের
একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ
দুর্ঘটনা ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৬ জনের লাশ
উদ্ধার করা হয়েছে। বৈরি আবহওয়ার জন্য উদ্ধার
তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। কবে জীবিত উদ্ধার
করা হয়েছে প্রায় ১১০ জনকে। এখনো নিঁেখাজ প্রায় দেড়
শতাধিক। রাত সোয়া ৯টায় পর্যন্ত দুর্ঘটনা কবলিত
লঞ্চটি সনাক্ত করা যায়নি।
স্ত্রী ও
২
মেয়েকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ
আলী জব্বার
শরীয়তপুরের
কৃঞ্চনগরের
আলী জব্বার।
থাকেন
নারায়নগঞ্জের
কাশীপুর
এলাকায়।
ঈদের
পর
পরিবার
পরিজন
নিয়ে আত্মীয়ের
বিয়ের
অনুষ্ঠানে অংশ নিতে শরীয়তপুরের কৃষ্ণনগরে গিয়েছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে স্ত্রী জাহানারা বেগম, মেয়ে হালিমা,
তানিজমা আক্তার ও ভাই আনোয়ার হোসেন
অপুকে নিয়ে কাওড়াকান্দি থেকে পিনাক-৬
লঞ্চে করে মাওয়া হয়ে নারায়ণগঞ্জের
উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ভাগ্যক্রমে আলী জব্বার ও তার
ভাই অপু বেঁচে গেলেও তার স্ত্রী ও ২ মেয়ে পদ্মায়
তলিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে বড়
মেয়ে হালিমা আক্তার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
আগামী ১৩ই আগস্ট পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার কথা।
কিন্তু পরীক্ষার ফল জানা হলো আর হালিমার।
মাওয়ার পাড়ে বাকরুদ্ধ আলী জব্বার মিয়া জানান,
মেয়ে হালিমার এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। এরপর
কলেজে ভর্তি হবে। কিন্তু তা আর হলো না। মেয়ের কারণেই
তড়িঘড়ি করে শরীয়তপুর থেকে নারায়নগঞ্জ
বাড়িতে যাচ্ছিলেন তারা।
posted from Bloggeroid
No comments:
Post a Comment