মুন্সিগঞ্জ, মাওয়া ঘাট থেকে: ছয় দিন আগে প্রায় আড়াইশ’
যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ‘পিনাক-৬’ নামের লঞ্চটি নদীর
তলদেশে খাদের মধ্যে আটকে আছে। কখনও কখনও প্রবল
স্রোতের কারণে ভাটির দিকে গড়িয়ে যাচ্ছে।
এতে লঞ্চটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
তিন দিন আগে একটি ‘ধাতব স্ট্রাকচার’র অবস্থান
ধরা পড়লেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার অবস্থান
জানাতে দেরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর
কর্তৃপক্ষের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার মনজুর।
লঞ্চডুবির ৬ষ্ঠ দিন শনিবার দুপুরে ‘কাণ্ডারি-২’ এ
অবস্থানকালে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গত পরশু রাত
৮টার দিকে মাওয়া ঘাটের কাছে দু’টি ধাতব স্ট্রাকচারের
ইমেজ ধরা পড়ে।
বিষয়টি আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ‘জরিপ-১০’ এর
সহায়তা নেওয়া হয়। এরপর কাণ্ডারি-২ এবং জরিপ-১০ এর
তথ্য বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া যায় এদের একটি প্রাইম
অবজেক্ট, এবং এটি লঞ্চের স্ট্রাকচার।
কমান্ডার মনজুর বলেন, মাওয়া ঘাটের এক কিলোমিটার
এবং প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় ডুবে যাওয়া এলাকার
৫০০-৭০০ মিটারের মধ্যে ২০-২৫ মিটার পানির
নিচে ওই স্ট্রাকচারটি ধরা পড়ে।
মনজুর বলেন, যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ের
মধ্যে কোনো লঞ্চ বা এ ধরনের কোনো যান ডুবে যায়নি,
তাই ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি লঞ্চ। আর
সেটি পিনাক-৬’র হতে পারে।
সাইড স্ক্যান সোনারের মাধ্যমে ওই ধাতব স্ট্রাকচারের
অবস্থান জানা গেছে বলে জানিয়েছেন কমান্ডার মনজুর।
কান্ডারি-২’তে একটি ল্যাপটপের ইমেজ
দেখিয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, একটি খাদের মধ্যে ধাতব
স্ট্রাকচারটির ইমেজ ধরা পড়ে।
বেলা আড়াইটার দিকে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এখন ওই
ইমেজকে ধরে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৪২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আর ওই স্ট্রাকচারটি যদি পিনাক-৬ এর
হয়ে থাকে তাহলে স্রোতের কারণে গড়িয়ে চলায়
দু’একটি করে লাশ বের হচ্ছে। আর দুর্বল কাঠামোর
কারণে সেটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে জানান
কমান্ডার মনজুর।
শনিবার সর্বশেষ নোয়াখালীর হাতিয়ায়
মেঘনা নদী থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রমত্তা পদ্মায় প্রবল ঢেউ ও স্রোতের
কারণে পিনাক-৬ এর সন্ধানে ব্যাঘাত ঘটছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ওই কর্মকর্তা বলেন,
নদীতে বর্তমানে ৫/৬ নট গতিতে স্রোত চলছে। বেশি গভীর
হওয়ায় পৃথিবীর কোনো নদীতে এমন স্রোত নেই
বলে দাবি করেন তিনি।
বর্তমানে গ্রাফিক্যাল ও কনভেনশনালি লঞ্চটির সঠিক
অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি চলছে ইমেজের
পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
কান্ডারি-২ এর কর্মকর্তারা বলেন, লঞ্চটি পাওয়া গেলেও
তা উদ্ধারে বেগ পেতে হবে। বেশি স্রোতের কারণে লঞ্চটির
সঠিক অবস্থান জানানো খুব কঠিন।
এদিকে ওই ইমেজকে ধরে উদ্ধার
তৎপরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিআইডাব্লিটিএ বলছে,
সেটি লঞ্চ কি না- সেটি আগে জানাতে হবে।
সংস্থাটির পরিচালক মো. হোসেন মোবাইল
ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, তারা আগে কনফার্ম করুক, তার
পরই উদ্ধার অভিযান।
ষষ্ঠ দিনেও নিখোঁজদের জন্য পদ্মাপাড়ে অপেক্ষা করছেন
স্বজনরা। ওই ইমেজই যেন ডুবে যাওয়া পিনাক-৬’র হয়,
কায়মনোবাক্যে সেটাই চাইছেন স্বজনরা।

যাত্রী নিয়ে ডুবে যাওয়া ‘পিনাক-৬’ নামের লঞ্চটি নদীর
তলদেশে খাদের মধ্যে আটকে আছে। কখনও কখনও প্রবল
স্রোতের কারণে ভাটির দিকে গড়িয়ে যাচ্ছে।
এতে লঞ্চটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
তিন দিন আগে একটি ‘ধাতব স্ট্রাকচার’র অবস্থান
ধরা পড়লেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার অবস্থান
জানাতে দেরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর
কর্তৃপক্ষের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার মনজুর।
লঞ্চডুবির ৬ষ্ঠ দিন শনিবার দুপুরে ‘কাণ্ডারি-২’ এ
অবস্থানকালে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, গত পরশু রাত
৮টার দিকে মাওয়া ঘাটের কাছে দু’টি ধাতব স্ট্রাকচারের
ইমেজ ধরা পড়ে।
বিষয়টি আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ‘জরিপ-১০’ এর
সহায়তা নেওয়া হয়। এরপর কাণ্ডারি-২ এবং জরিপ-১০ এর
তথ্য বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া যায় এদের একটি প্রাইম
অবজেক্ট, এবং এটি লঞ্চের স্ট্রাকচার।
কমান্ডার মনজুর বলেন, মাওয়া ঘাটের এক কিলোমিটার
এবং প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় ডুবে যাওয়া এলাকার
৫০০-৭০০ মিটারের মধ্যে ২০-২৫ মিটার পানির
নিচে ওই স্ট্রাকচারটি ধরা পড়ে।
মনজুর বলেন, যেহেতু সাম্প্রতিক সময়ের
মধ্যে কোনো লঞ্চ বা এ ধরনের কোনো যান ডুবে যায়নি,
তাই ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি লঞ্চ। আর
সেটি পিনাক-৬’র হতে পারে।
সাইড স্ক্যান সোনারের মাধ্যমে ওই ধাতব স্ট্রাকচারের
অবস্থান জানা গেছে বলে জানিয়েছেন কমান্ডার মনজুর।
কান্ডারি-২’তে একটি ল্যাপটপের ইমেজ
দেখিয়ে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, একটি খাদের মধ্যে ধাতব
স্ট্রাকচারটির ইমেজ ধরা পড়ে।
বেলা আড়াইটার দিকে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এখন ওই
ইমেজকে ধরে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ৪২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আর ওই স্ট্রাকচারটি যদি পিনাক-৬ এর
হয়ে থাকে তাহলে স্রোতের কারণে গড়িয়ে চলায়
দু’একটি করে লাশ বের হচ্ছে। আর দুর্বল কাঠামোর
কারণে সেটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে থাকতে পারে বলে জানান
কমান্ডার মনজুর।
শনিবার সর্বশেষ নোয়াখালীর হাতিয়ায়
মেঘনা নদী থেকে একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
অন্যদিকে প্রমত্তা পদ্মায় প্রবল ঢেউ ও স্রোতের
কারণে পিনাক-৬ এর সন্ধানে ব্যাঘাত ঘটছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ওই কর্মকর্তা বলেন,
নদীতে বর্তমানে ৫/৬ নট গতিতে স্রোত চলছে। বেশি গভীর
হওয়ায় পৃথিবীর কোনো নদীতে এমন স্রোত নেই
বলে দাবি করেন তিনি।
বর্তমানে গ্রাফিক্যাল ও কনভেনশনালি লঞ্চটির সঠিক
অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি চলছে ইমেজের
পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
কান্ডারি-২ এর কর্মকর্তারা বলেন, লঞ্চটি পাওয়া গেলেও
তা উদ্ধারে বেগ পেতে হবে। বেশি স্রোতের কারণে লঞ্চটির
সঠিক অবস্থান জানানো খুব কঠিন।
এদিকে ওই ইমেজকে ধরে উদ্ধার
তৎপরতা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিআইডাব্লিটিএ বলছে,
সেটি লঞ্চ কি না- সেটি আগে জানাতে হবে।
সংস্থাটির পরিচালক মো. হোসেন মোবাইল
ফোনে বাংলানিউজকে বলেন, তারা আগে কনফার্ম করুক, তার
পরই উদ্ধার অভিযান।
ষষ্ঠ দিনেও নিখোঁজদের জন্য পদ্মাপাড়ে অপেক্ষা করছেন
স্বজনরা। ওই ইমেজই যেন ডুবে যাওয়া পিনাক-৬’র হয়,
কায়মনোবাক্যে সেটাই চাইছেন স্বজনরা।

posted from Bloggeroid
No comments:
Post a Comment