কৌশলী অবস্থানে চলার নীতিগত সিদ্ধান্ত
নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের
দ্বিতীয় প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামী।
নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর
বিরুদ্ধে আমৃত্যু কারাদণ্ডের প্রতিবাদে হরতাল
কর্মসূচি পালনেও কৌশলী অবস্থান নেয় দলটি।
ইতিমধ্যে নীতিনির্ধারক থেকে তৃণমূল নেতা-
কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- রায়কে কেন্দ্র
করে যেন কোনো সহিংসতা সৃষ্টি করা না হয়। এমন
পরিস্থিতি তৈরি করা না হয় যাতে নতুন করে নেতা-
কর্মীদের ওপর পুলিশি অ্যাকশন নেমে আসে।
এ ছাড়া কোনোভাবেই যেন সর্বসাধারণের
ভোগান্তি না হয়, সে বিষয়টিও খেয়াল রাখার
নির্দেশনা দেওয়া হয়। সার্বিক দিক বিবেচনায়
আপাতত ধীরে চলার নীতি গ্রহণ করেছে দলটি।
এদিকে মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের
পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়কে প্রাথমিক
‘বিজয়’ বলেই মনে করছেন জামায়াত নেতারা। রায়ের
প্রতিবাদে হরতাল দিলেও গতকাল তেমন
কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি। আগামী রবিবারের
হরতালেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আগামীকাল শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচিও
শান্তিপূর্ণভাবে করার কথা বলা হয়েছে।
তবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে কি না, মাঠ
পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মনে এমন প্রশ্ন
যাতে না ওঠে সে জন্য রায়-পরবর্তী গতানুগতিক
হরতাল কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত
আমির মকবুল আহমাদ এবং ভারপ্রাপ্ত
সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান
সাঈদী ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক
এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে ঘোষিত কর্মসূচি পালনের
আহ্বান জানিয়েছেন নেতা-কর্মীদের প্রতি।
ফলে আন্দোলনেও এবার কৌশল
পাল্টাচ্ছে জামায়াত।গত বছরের ২৮
ফেব্র“য়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার
সঙ্গে সঙ্গে দেশব্যাপী সহিংসতা চালায় জামায়াত-
শিবির। সংসদে দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, রায়-
পরবর্তী পাঁচ দিনে জামায়াত-পুলিশ
সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছয়
সদস্যসহ ৮৮ জন নিহত হন। অথচ আমৃত্যু
কারাদণ্ডের প্রতিবাদে জামায়াতের ঘোষিত হরতালের
প্রথম দিন গতকাল সারা দেশে ঢিলেঢালাভাবে পালিত
হয়েছে। কারণ হিসেবে মাঠের নেতা-কর্মীরা বলেন,
দলের ভারপ্রাপ্ত আমির ও ভারপ্রাপ্ত
সেক্রেটারি জেনারেল সারা দেশে নেতা-কর্মীদের
নির্দেশ দিয়েছেন শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন
করতে। তাই বড় ধরনের প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য
করা যায়নি সাঈদীর এ রায়কে ঘিরে। এর
আগে ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর
সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয় বগুড়া, গাইবান্ধা,
কক্সবাজার, দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বৃহত্তর নোয়াখালী ও
দক্ষিণবঙ্গে। এবার
সেখানে সহিংসভাবে কর্মসূচি পালন না করার জন্য
নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।জানা যায়,
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কারাদণ্ডের
প্রতিবাদে ঢিলেঢালাভাবে হরতাল ও বিক্ষোভ
কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিভিন্ন
সময়ে পাঁচ নেতার রায়ের দিন হরতাল ডেকেছিল
জামায়াত। কিন্তু এবার হয়েছে তার ব্যতিক্রম।
রায়ের দিন হরতাল না দিয়ে পরদিন হরতালের
কর্মসূচি দেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে-
জামায়াতের সঙ্গে কি সরকারের সমঝোতা হয়েছে?
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জামায়াতের সাংগঠনিক
শক্তি এখন আর আগের মতো নেই। দলের
কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলার অধিকাংশ
নেতা কারাগারে। নতুন করে সহিংসতা হলে ফের
ধরপাকড় শুরু হতে পারে। ঢাকা মহানগরী পর্যায়ের
এক নেতা জানান, মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের
পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ড সরকারের
সঙ্গে সমঝোতা, নাকি লন্ডনে অবস্থানরত
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার
আবদুর রাজ্জাকের আন্তর্জাতিক লবিং- তা সময়ই
বলে দেবে।(বাংলাদেশ-প্রতিদিন)
নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের
দ্বিতীয় প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামী।
নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর
বিরুদ্ধে আমৃত্যু কারাদণ্ডের প্রতিবাদে হরতাল
কর্মসূচি পালনেও কৌশলী অবস্থান নেয় দলটি।
ইতিমধ্যে নীতিনির্ধারক থেকে তৃণমূল নেতা-
কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে- রায়কে কেন্দ্র
করে যেন কোনো সহিংসতা সৃষ্টি করা না হয়। এমন
পরিস্থিতি তৈরি করা না হয় যাতে নতুন করে নেতা-
কর্মীদের ওপর পুলিশি অ্যাকশন নেমে আসে।
এ ছাড়া কোনোভাবেই যেন সর্বসাধারণের
ভোগান্তি না হয়, সে বিষয়টিও খেয়াল রাখার
নির্দেশনা দেওয়া হয়। সার্বিক দিক বিবেচনায়
আপাতত ধীরে চলার নীতি গ্রহণ করেছে দলটি।
এদিকে মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের
পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়কে প্রাথমিক
‘বিজয়’ বলেই মনে করছেন জামায়াত নেতারা। রায়ের
প্রতিবাদে হরতাল দিলেও গতকাল তেমন
কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি। আগামী রবিবারের
হরতালেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আগামীকাল শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচিও
শান্তিপূর্ণভাবে করার কথা বলা হয়েছে।
তবে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে কি না, মাঠ
পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মনে এমন প্রশ্ন
যাতে না ওঠে সে জন্য রায়-পরবর্তী গতানুগতিক
হরতাল কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত
আমির মকবুল আহমাদ এবং ভারপ্রাপ্ত
সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান
সাঈদী ইস্যুতে শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক
এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে ঘোষিত কর্মসূচি পালনের
আহ্বান জানিয়েছেন নেতা-কর্মীদের প্রতি।
ফলে আন্দোলনেও এবার কৌশল
পাল্টাচ্ছে জামায়াত।গত বছরের ২৮
ফেব্র“য়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ
ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার
সঙ্গে সঙ্গে দেশব্যাপী সহিংসতা চালায় জামায়াত-
শিবির। সংসদে দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, রায়-
পরবর্তী পাঁচ দিনে জামায়াত-পুলিশ
সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছয়
সদস্যসহ ৮৮ জন নিহত হন। অথচ আমৃত্যু
কারাদণ্ডের প্রতিবাদে জামায়াতের ঘোষিত হরতালের
প্রথম দিন গতকাল সারা দেশে ঢিলেঢালাভাবে পালিত
হয়েছে। কারণ হিসেবে মাঠের নেতা-কর্মীরা বলেন,
দলের ভারপ্রাপ্ত আমির ও ভারপ্রাপ্ত
সেক্রেটারি জেনারেল সারা দেশে নেতা-কর্মীদের
নির্দেশ দিয়েছেন শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন
করতে। তাই বড় ধরনের প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য
করা যায়নি সাঈদীর এ রায়কে ঘিরে। এর
আগে ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর
সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয় বগুড়া, গাইবান্ধা,
কক্সবাজার, দক্ষিণ চট্টগ্রাম, বৃহত্তর নোয়াখালী ও
দক্ষিণবঙ্গে। এবার
সেখানে সহিংসভাবে কর্মসূচি পালন না করার জন্য
নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।জানা যায়,
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কারাদণ্ডের
প্রতিবাদে ঢিলেঢালাভাবে হরতাল ও বিক্ষোভ
কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিভিন্ন
সময়ে পাঁচ নেতার রায়ের দিন হরতাল ডেকেছিল
জামায়াত। কিন্তু এবার হয়েছে তার ব্যতিক্রম।
রায়ের দিন হরতাল না দিয়ে পরদিন হরতালের
কর্মসূচি দেওয়ায় রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে-
জামায়াতের সঙ্গে কি সরকারের সমঝোতা হয়েছে?
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জামায়াতের সাংগঠনিক
শক্তি এখন আর আগের মতো নেই। দলের
কেন্দ্রীয়, মহানগর ও জেলার অধিকাংশ
নেতা কারাগারে। নতুন করে সহিংসতা হলে ফের
ধরপাকড় শুরু হতে পারে। ঢাকা মহানগরী পর্যায়ের
এক নেতা জানান, মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডের
পরিবর্তে আমৃত্যু কারাদণ্ড সরকারের
সঙ্গে সমঝোতা, নাকি লন্ডনে অবস্থানরত
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার
আবদুর রাজ্জাকের আন্তর্জাতিক লবিং- তা সময়ই
বলে দেবে।(বাংলাদেশ-প্রতিদিন)
posted from Bloggeroid
No comments:
Post a Comment