Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Showing posts with label mobile. Show all posts
Showing posts with label mobile. Show all posts

Tuesday, August 12, 2014

নোকিয়ার ২ হাজার টাকার ফোনে ব্যাটারি চার্জ থাকবে ৩৬ দিন!

ডেস্ক ॥ খুব শিগগির
বাজারে আসছে মাইক্রোসফ্ট নোকিয়ার নতুন ফোন
নোকিয়া-১৩০। ফোনটির দাম পড়বে মাত্র ২
হাজার টাকা। এতে একবার চার্জ দিলেই
ফোনটি চলবে টানা ৩৬ দিন (স্ট্যান্ডবাই)
নোকিয়ার ওয়েবসাইটে সম্প্রতি এই মোবাইলের
বিষয়ে বিস্তারিত উম্মুক্ত করা হয়েছে।
সেখানে জানান হয়েছে, দীর্ঘ
ব্যাটারি লাইফেই এই মোবাইল ডাবল সিমের
এবং সাধারণ ব্যবহারকারীদের কথা মাথায়
রেখেই এর দাম কম রাখা হয়েছে। এই ডিভাইস
একই সাথে মাল্টিমিডিয়া এবং ২জি সাপোর্টেড।
নোকিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই
ফোনে ব্যবহারকারী যদি একটি সিম ব্যবহার
করেন তবে এটা দিয়ে এক টানা চার্জ থাকবে ৩৬
দিন এবং ডুয়েল সিম এক সাথে অন
রাখলে এটি ২৬ দিনের ব্যাটারি ব্যাক আপ
দিবে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই স্ট্যান্ডবাই টাইম।
যা যা থাকছে এই ফোনে-
বেসিক ফিচার্স- ১.৮ ইঞ্চ স্ক্রিণ ১৬০x১২০
পিক্সেল রেজোলিউশান ১০২০ mAh ব্যাটারি ৪৬
ঘণ্টার মিউজিক প্লেব্যাক টাইম ১৬ ঘণ্টার
ভিডিও প্লেব্যাক টাইম ১৩ ঘণ্টার ২
জি টকটাইম। এই ফোনে ইন-বিল্ট মিউজিক
এবং ভিডিও প্লেয়ার রয়েছে। এছাড়াও
ব্যবহারকারীদের জন্য এফএম রেডিওর সুবিধাও
রয়েছে।
এছাড়াও কানেক্টিভিটির জন্য রয়েছে,
ইউএসবি ২.০ এবং ৩.৫ এমএম-এ অডিও জ্যাক। ৩২
জিবি এক্সপ্যান্ডেবল মেমোরির জন্য
মাইক্রো এসডি কার্ড। ব্লু-টুথ ৩.০-র
মতো ফিচারও রয়েছে এ ফোনটিতে।
নোকিয়ার ফোনের প্রতি গ্রাহকদের আগ্রহের
কমতি নেই, তবে বর্তমানে স্মার্টফোনের
বাজারে এন্ড্রয়েড এবং আইফোনের
দাপটে নোকিয়ার উইন্ডজ ফোন অনেকটা মার
খেয়ে গেছে। ফলে নোকিয়া আবার ফিচার ফোন
এবং কম দামের ভালো সুবিধা সম্বলিত ফোন
বাজারে আনার চেষ্টা করছে।
সূত্র- সিনেট



posted from Bloggeroid

Tuesday, July 29, 2014

আবার চাহিদা বাড়ছে পুরনো মোবাইল সেটের: প্রযুক্তি মানুষকে পুরোপুরি বশ করতে পারেনি!

আবার চাহিদা বাড়ছে পুরনো মোবাইল সেটের:
প্রযুক্তি মানুষকে পুরোপুরি বশ
করতে পারেনিডেস্ক ॥ নোকিয়া ৩৩১০ ও
মটোরোলা স্টারটেক ১৩০-এর মতো ফোনসেটগুলোর
কথা মনে আছে? অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এইরকম সেটের
প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। যার
প্রেক্ষিতে অনেক মোবাইল সেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান
আবার এই ধাঁচের সেট বাজারজাত করার
পরিকল্পনা করছে।
একসময়ে মোবাইল সেট
নির্মাতা কোম্পানি সেটে গৎবাঁধা শুধুমাত্র কল করা আর
ম্যাসেজের পাশাপাশি টুকটাক অন্যান্য ফাংশন রাখত।
অ্যাপল আর স্যামসাং উন্নত স্মার্ট ফোন বাজারজাত
করার পর এই কোম্পানিগুলোর ব্যবসা লাটে উঠে।
একসময়ের মোবাইল ফোন ব্যবসার সবচেয়ে বড়
কোম্পানি ছিল ফিনল্যান্ডের নোকিয়া। কিন্তু
স্মার্টফোনের সাথে টিকতে না পেরে নোকিয়া তাদের
হ্যান্ডসেট বিভাগ মাইক্রোসফটের
কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। অন্যান্য মোবাইল ফোন
নির্মাতারা পুরনো মডেলের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে।
স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটের যাবতীয় কাজ সহ
অনেক ধরণের অ্যাপ ব্যবহার করা যায়।
এটা জীবনকে প্রযুক্তির সাথে যুক্ত করেছে। কিন্তু
বর্তমানে অনেকেই চাইছেন এইসব
যান্ত্রিকতা থেকে দূরে থাকতে। শুধুমাত্র যোগাযোগের
কাজে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে চাইছে তারা। স্মার্ট
ফোন অপারেট করা জটিল আর
তাড়াতাড়ি ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়াও কারণ বটে।
vintagemobile নামে একটি ওয়েবসাইট যেখানে ব্যবহৃত
ও পুরনো মোবাইল ফোন বিক্রি করা হয়। জাসেম হাদ্দাদ
২০০৯ সাল থেকে এটি চালাচ্ছেন। প্রথম
দিকে ব্যবসা ভালো না গেলেও গত বছর থেকে হঠাৎ
করেই বিক্রি বাড়তে শুরু করেছে। এই ওয়েবসাইটের
মাধ্যমে গত তিন বছরে প্রায় দশ হাজার হ্যান্ডসেট
বিক্রি হয়েছে যার অধিকাংশ ২০১৩ সালে বিক্রি হয়েছে।
ওয়েবসাইটে বিক্রির তালিকায় রয়েছে অনেক পুরনো এক
রংয়ের স্ক্রিণ আর প্লাস্টিকের
বোতামওয়ালা একটি নোকিয়া ৮২১০ সেট, যার দাম
ধরা হয়েছে ৫৯.৯৯ ইউরো। তাদের কাছে নাকি হাজার
ইউরোর সেটও রয়েছে!
ফরাসি অনলাইন শপ লেকি-র রয়েছে বেশ কিছু
পুরনো মডেলের মোবাইল ফোন, যার মধ্যে ১৯৯৮
সালে তৈরি একটি মটোরলা স্টারটেক ১৩০ ফোনের দাম
ধরা হয়েছে ১৮০ ইউরো। আর এরিকসন এ২৬২৮ মডেলের
আরেকটি ফোন তারা বিক্রি করছে ৮০ ইউরোতে।
লেকি-র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘‘বাজারের এত ধরণের
সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, গাদা গাদা ই-মেইল আর নানা ধরণর
অ্যাপ্লিকেশন মানুষকে প্রযুক্তির দাসে পরিণত করেছে৷
তার বদলে লেকি দিচ্ছে ‘বেসিক ফিচার’-এ ফিরে যাওয়ার
সুযোগ!”
দিনদিন স্মার্ট ফোনের আধুনিকায়ন আর প্রতিযোগিতার
মধ্যে মানুষের যোগাযোগের বেসিক ফিচারে ফিরে যাওয়ার
আকাঙ্ক্ষা সত্যিই অন্যরকম। প্রযুক্তি হয়ত
এখনও মানুষকে পুরোপুরি বশ করতে পারেনি!

posted from Bloggeroid

Thursday, July 24, 2014

স্মার্টফোন কেনার আগে আপনার যা জানা উচিৎ [গাইড]

ডেস্ক ॥ বর্তমান যুগে মোবাইল
বাজার এন্ড্রোয়েড ফোনের ব্যাপক ব্যবহার
বিস্তৃতি লাভ করেছে। এন্ড্রোয়েড
বা স্মার্টফোনে মুভি দেখা, হাই ডেফিনেশন
গেইমস খেলা, ভিডিও ও ইমেজ এডিটিং,
ক্যামেরা, মাইক্রোসফট অফিস – কি নেই! আসুন
দেখা নেয়া যাক এন্ড্রোয়েড ফোন কেনার
আগে আমাদের কোন কোন
বিষয়গুলো গুলো দেখে নেয়া দরকার।
প্রথমেই এন্ড্রোয়েড কেনার সিদ্ধান্ত নেবার
জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাতেই হয়।
শুভেচ্ছা কারন এন্ড্রোয়েড একটি চমৎকার
সিস্টেম এবং এটি পাওয়া যায় নিজের পছন্দের
দামে এবং নিজের পছন্দের চাহিদা অনুযায়ী।
তবে এটা মনে কাজ করতেই পারে, এতো ফোনের
ভিড়ে নিজের ফোনটি কোনটি। কেনার সময়
কি কি চিন্তা করা উচিত এবং নিজের জন্য সঠিক
পছন্দ কোনটি হবে ইত্যাদি নিয়ে নানা ধরণের
চিন্তা আমাদের মাঝে কাজ করতে পারে ।
তবে ভাবনার কিছু নেই, এতো অপারেটিং সিস্টেম
এবং ভেন্ডরের মধ্যে আপনার পছন্দের
সেটটি কিনতে চলুন কিছু টিপস
দেখে নেয়া যাক। তাহলে দেখে নিন
এবং হয়ে যান এক্সপার্ট নিজের সেটের
ক্রেতা হিসাবে।
১) নিজের কাজের চাহিদা বুঝে সেট নিন
যদিও সেট কেনার আগে অনেকেই
এটা চিন্তা করেন না, তবে এটাই
শুরুতে ভাবা উচিত, আমি এন্ড্রোয়েড
ফোনে কি কি কাজ করবো। শুধু কি ফোন, মেসেজ আর
মেইল পাঠানোর
সাথে সাথে ছায়াছবি দেখা এবং গেম খেলাতেই
নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে চান?
নাকি করতে চান রুট এবং প্রোগ্রামিং?
অথবা চালিয়ে যেতে চান অবিরাম ক্লিক ক্লিক
করে ছবি তোলা?
কেমন ধরণের সেট কিনতে চান,
বেশী দামী অথবা কমদামী সেট?
যদি ছায়াছবি দেখা এবং ওয়েবে সার্ফিংয়েই
কাটান তবে বড় ডিসপ্লে আপনার জন্য। তাতে বই
পড়তেও সুবিধা পাবেন।
জেনে নিনঃ এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনের
Lockscreen
নিরাপত্তা যেভাবে বাড়াবেন
[টিউটোরিয়াল]
যদি ছবি তোলার
নেশা থাকে তবে নিতে পারে ভালো ক্যামেরা সংযু
সেট। ভালো ইন্টারনেট ও নেটওয়ার্ক
চাইলে ৪জি এবং এলটিই সমর্থন করা সেট
বেছে নিন। তবে স্মার্টফোনের দাম বেশি হয়
বলে দেখে শুনে নিশ্চিত হয়ে কেনাই ভালো।
ইন্টারনেট-সুবিধার এ যুগে ইন্টারনেট
থেকে কাঙিক্ষত স্মার্টফোনটির তথ্য
জেনে নিয়ে তবেই বাজার
থেকে তা কিনতে পারেন। কি কি ফিচার আপনার
প্রয়োজন এবং আপনি কোন ধরণের পেশার
সাথে জড়িত সেটাও ভেবে নিয়ে সেট কেনাই
ভালো।
২) ব্যাটারি
স্মার্টফোন কেনার সময় খেয়াল রাখবেন
ব্যাটারির mAh যেনও বেশী হয় কারণ
ব্যাটারির যত mAh বেশী হবে ততই আপনার সেট
ভালো চলবে। তবে এতে সেটের ওজনও
বেড়ে যেতে পারে। তবুও স্মার্টফোন ব্যবহার
করেন কিন্তু ফোনের ব্যাটারি লাইফ
নিয়ে চিন্তা নেই এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে।
একদিকে যেমন উজ্জ্বল
পর্দা এবং শক্তিশালী প্রসেসরের
চাহিদা বাড়ছে অন্যদিকে ফোনের চার্জ দ্রুত
ফুরিয়ে আসছে।
জেনে নিনঃ Android এবং iPhone এর
ইন্টারনেট খরচ কমাতে কিছু টিপস
[টিউটোরিয়াল]
এদিকে ২০১৪ সালে স্মার্টফোনের
ব্যাটারি পরিস্থিতিতে কিছুটা পরিবর্তন আসবে।
২০১৪ সালে স্মার্টফোন কোন কোন ফিচার
নিয়ে আসবে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে অনেকদ
ধরে। ঘুরে ফিরে আলট্রা এইচডি ডিসপ্লে,
রেটিনা স্ক্যানার কিংবা নমনীয় পর্দা – এই
সকল ফিচারকেই ধরে নেয়া হচ্ছে আগামী দিনের
স্মার্টফোনের বৈশিষ্ট্য।
তবে স্যামসাং সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে সোলার
সেল যুক্ত স্মার্টফোন বাজারে আনার।
স্যামসাং এর এই সিদ্ধান্ত অমূলক নয়।। কিছুদিন
থেকে শোনা যাচ্ছে স্যামসাং এর প্রধান
প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপল সফল হয়েছে সোলার সেল
দিয়ে ভবিষ্যৎ স্মার্টফোন চার্জ করার সফল
প্রযুক্তি উদ্ভাবনে। স্যামসাংও তাই আর
দেরি না করে সচেষ্ট হয়েছে একই
পন্থা অবলম্বনে। যদিও স্যামসাং এখন অধিক
সময় ব্যয় করছে উন্নত প্রযুক্তির ডিসপ্লে নিয়ে,
এবার হয়ত তারা কিছুটা মনোযোগ দেবে এই
দিকে। আর অ্যাপল এবং স্যামসাং উভয়ই
যদি সোলার সেল সহ স্মার্টফোন
বাজারে নিয়ে আসে, হয়ত ভবিষ্যতে স্মার্টফোন
কেনার আগে র্যাম এবং প্রসেসর এর
সাথে দেখে নিতে হবে ফোনে সোলার সেল
আছে কিনা।
৩) শক্তিশালী কাঠামো
SAR value যেন কোন ভাবে ২ এর বেশী না হয়।
এর বেশী হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। সাউন্ড
সিস্টেম এর মান যেন ভালো হয়। ব্লুটুথ এর
ভার্সন কত, Wi-Fi গতি ইত্যাদি দেখে নিন।
দ্রুতগতির প্রসেসরযুক্ত স্মার্টফোন পছন্দ করুন,
যাতে আপনার পছন্দের অ্যাপ্লিকেশন
গুলো স্বচ্ছন্দে চালাতে পারেন।
স্মার্টফোন কেনার জন্য বাজেট বেশি হলে ডুয়াল
কোরের প্রসেসরযুক্ত স্মার্টফোন
বেছে নিতে পারেন। প্রসেসরের
পাশাপাশি বেশি ক্ষমতার র্যাম আছে কি না,
তা খেয়াল করে দেখতে পারেন। দেখে নিন তথ্য
ধারণের জন্য
স্মার্টফোনটিতে কতটা জায়গা রয়েছে বা অতিরিক্
কতটা মেমোরি সমর্থন করবে।
খেয়াল করুন ডিসপ্লে, রেজুলেশন। এ ছাড়াও
ক্যামেরা, সেন্সর, ব্লু-টুথ, ইউএসবি, জিপিইউ
ক্ষমতা দেখে নিন। আপনার পছন্দের
অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী কিনুন
স্মার্টফোনটি। কেনার সময় ব্যাটারিতে চার্জ
থাকে কতটা এবং স্মার্টফোনের সাউন্ড কেমন
সেটা যাচাই করুন।
আরও জানুনঃ আপনার আইফোন
কিংবা অ্যান্ড্রয়েডকে মাউস এবং কীবোর্ড
হিসেবে ব্যবহার করুন![টিউটোরিয়াল]
স্মার্টফোনের আরেকটি অপরিহার্য অংশ হল RAM
এর ক্ষমতা। RAM যত বেশী হবে কাজের
পারফমেন্স আর স্পীড দুইই বেশী হবে।
পাশাপাশি ফোন কেনার সময় সার্ভিস ও
ওয়ারেন্টির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নিন।
অনেকে ক্যামেরা বলতে মেগা পিক্সেলকে বুঝলেও
এটি ক্যামেরার প্রধান দিক নয়। মেগাপিক্সেল
ছাড়াও লেন্স এর এর সেন্সর, ছবির রেজু্লেসন,
অটোফোকাস, ফ্ল্যাশলাইট, geo-tagging, face
detection
ইত্যাদি আছে কিনা সে সম্পর্কে জেনে নিন।
এছাড়া ভিডিও কোয়ালিটি, Secondary
ক্যামেরা আছে কিনা জেনে নিন।
তবে ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেলের
নিচে কেনা উচিত না।
এছাড়া মোবাইল ফোন দৈনন্দিন ব্যবহারের
একটা অংশ। অনেক সময় অসাবধানতায় ফোন হাত
থেকে পড়ে যেতে পারে কিংবা বাসায় ফোন
বাচ্চা থাকলে তারা মোবাইলে গেমস খেলার
দিকে অনেক উৎসাহী হয়ে ওঠে।
সেক্ষেত্রে মোবাইলে যাতে স্ক্র্যাচ
না পড়ে বা পানি বা তরল জাতীয় কিছু
যাতে না লাগে তাই স্ক্রীনের উপরে গ্লাস
পেপার লাগানো উচিত। অনেক সেটেই এখন
গরিলা গ্লাস থাকে। এটি বেশ স্বচ্ছ এবং মজবুত।
৪) অ্যাপ্লিকেশান এবং এর আপডেট
অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট
ব্যবহারের অন্যতম সুবিধা হচ্ছে গুগল
প্লে স্টোরে থাকা হাজার হাজার
অ্যাপ্লিকেশনের বাহার। আপনিই জানবেনই
না এসব অ্যাপ্লিকেশনের কোনো কোনোটা আপনার
কতোটা কাজে আসবে যতক্ষণ পর্যন্ত
না আপনি সেটি ব্যবহার করছেন। এই বিশাল
অ্যাপ্লিকেশনের ভাণ্ডার থেকে কাজের
অ্যাপ্লিকেশনটি খুঁজে বের করা ব্যস্ত মানুষের
জন্য বেশ শক্ত কাজ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই
অ্যান্ড্রয়েড ৪.১ জেলিবিন এর সেট কেনা উচিত।
যদিও এন্ড্রোয়েড ২.৩ জিঞ্জারব্রেড অনেকেরই
মন জিতেছে,
তবে বর্তমানে আস্তে আস্তে তা পুরানো হয়ে যাচ্ছে।
আর অনেকেই গ্রাফিক্স প্রসেসর ইউনিট (GPU)
সম্পর্কে অবহিত নয় অথচ এটি ছাড়া আপনি হাই
গ্রাফিক্স এর কোন গেমস গেমস খেলতে পারবেন
না। অনেক সেট এ বিল্ট-ইন GPU থাকলেও তার
পারফরমেন্সে অত ভাল না।
৫) খরচ ও জনপ্রিয় সেট
দাম অনেকের কাছে একটা জরুরী বিষয়।
যারা জনপ্রিয় এবং সহজ সেট চালাতে চান,
যেমন আইফোন, তাদের কাছে দাম কোন বিষয়ই নয়
বরং তা সামাজিক সম্মানেরও বিষয়,
তবে অন্যদিকে সেটা বাজেট
ছাড়িয়ে যেতে পারে। যদি আপনি চান কাজের
পাশাপাশি হাতে দেখানোর মত একটি সেট,
তবে অবশ্যই আপনার বাজেট বাড়াতে হবে। আর
যদি আপনি সল্প বাজেটে নিতে চান
একটি স্মার্টফোন, তবে ভাবতে হবে উপরের
বিষয়গুলো এবং পাশাপাশি বাজার
ঘুরে বেছে নিতে হবে আপনার কাজের
চাহিদা অনুযায়ী ফোন। টাকা দেবেন,
সুতরাং জিজ্ঞাসা করুন বিক্রেতাকে মনে যত
প্রশ্ন আসে, পাশাপাশি নিজেও দেখে নিন।
বর্তমানে Android অপারেটিং সিস্টেম
সবচেয়ে জনপ্রিয় হলেও চেষ্টা করবেন এমন সেট
নিতে যাতে অন্তত যাতে সর্বশেষ
ভার্সনটি update করা যায়। আর কিনে নিন
আপনার প্রিয় স্মার্টফোনটি। বাজারে যেহেতু
নানা ধরণের এবং নানা দামের এন্ড্রোয়েড সেট
পাওয় যায় তাই একটু সময় নিয়ে কয়েক দোকান
ঘুরে ঘুরেই ফোন কেনা উচিত। এছাড়া আর কয়েক
বছরের মাঝেই হয়তো টু- জি সেট এর ব্যবহার
কমে যাবে তাই থ্রী জি নেটওয়ার্ক দেখেই
কেনা উচিত। এছাড়া মোবাইলের ওজন,
মোবাইলের স্ক্রীন সাইজ এসবও
দেখে নেয়া উচিত।
আপনাদের সুবিধার জন্য কিছু ফোনের মডেল
সাজেশন দেয়া হলো, - Galaxy S2 , HTC One ,
HTC One X , HTC Sensation, HTC Rezound,
HTC MyTouch 4G, and Motorola Droid
Razr Maxx, Sony Xperia Sola, HTC Cha
Cha, or Samsung Galaxy Mini 2 ইত্যাদি।
দুনিয়া স্মার্ট হচ্ছে, আপনি হচ্ছেন কবে?
তথ্য সূত্রঃ Androidpit


Posted via BN24Hour

Monday, June 9, 2014

বাজেটের পর মোবাইল- বাজারে অরাজকতা

ঢাকা: নতুন অর্থবছরের (২০১৪-১৫) প্রস্তাবিত
বাজেটে মোবাইল ফোন আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ
ভ্যাট বৃদ্ধির ঘোষণায় মোবাইল ফোন
হ্যান্ডসেটের বাজারে শুরু হয়ে গেছে অরাজকতা।
ব্রান্ডগুলোর বিক্রয়
প্রদর্শনী কেন্দ্রগুলোতে বর্ধিত
দামে বিক্রি না হলেও
খুচরা কিংবা পাইকারী বিক্রেতারা সব ধরণের
মোবাইল হ্যান্ডসেটই দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।
রোববার রাজধানীর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মোবাইল
ফোনের বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
তবে ব্র্যান্ড হ্যান্ডসেটগুলোর
মধ্যে নকিয়া থেকে খুব শিগগিরই প্রতিটি মডেলের
হ্যান্ডসেটের জন্য বর্ধিত মূল্যের
ঘোষণা আসতে পারে। চলতি সপ্তাহেই আনুষ্ঠানিক এ
ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বিক্রয়
প্রদর্শনীগুলোর বিক্রয়কর্মীরা।
তবে কোনো ব্র্যান্ডেই আনুষ্ঠানিকভাবে দাম
বৃদ্ধির ঘোষণা না দিলেও বাজেট ঘোষণার পর
রাতারাতি পাল্টে গেছে মোবাইল বাজারের চিত্র।
বিশেষ করে ব্যক্তি মালিকানাধীন
হ্যান্ডসেটগুলোর দোকানে দাম
নিয়ে চলছে অরাজকতা। বাজেটে ভ্যাট বাড়ানোর
ঘোষণার অযুহাতে ক্রেতা বুঝে ইচ্ছেমতো দাম
হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা।
অথচ বাজেটে যেখানে আমদানিকৃত সকল ব্র্যান্ডের
মোবাইল হ্যান্ডসেটের উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট
আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে মাত্র। নিয়ম
অনুযায়ী আগামী ২৯ জুন প্রস্তাবিত বাজেট পাস
হলেই কেবল ১৫ শতাংশ ভ্যাট সংযোজন করে বর্ধিত
দামে মোবাইল ফোন হ্যন্ডসেট বিক্রি করার কথা।
এদিকে দেশীয় পণ্য বলে দাবি করলেও
বাজারে থাকা ‘ওয়ালটন’র হ্যান্ডসেটগুলোর
মধ্যে এরই মধ্যে দুটি মডেলের হ্যান্ডসেটের দাম
আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। ওয়ালটনের
বিক্রয় প্রদর্শনীকেন্দ্র ছাড়াও
খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়িয়েই মোবাইল
সেটগুলো বিক্রি করছেন।
ওলাটনের মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটগুলোর
মধ্যে ‘প্রিমো জিএইচ২’ মডেলের হ্যান্ডসেটটির
বর্ধিত মূল নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৪৯০
টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটের আগে মূল্য ছিল ৯
হাজার ২৯০ টাকা। এছাড়া ‘প্রিমো এইচ৩’ মডেলের
হ্যান্ডসেটটির দাম তিনশ টাকা বাড়িয়ে বর্ধিত
মূল্য করা হয়েছে ১১ হাজার ৭৯০ টাকা।
ওয়ালটনের আঞ্চলিক বিক্রয় কর্মকর্তা রাজিব
মাহমুদ সৌরভ বাংলানিউজকে দুটি মডেলের
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের দাম বাড়ানোর
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বসুন্ধরা সিটি, ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালেব প্লাজা,
পুরানা পল্টনের বায়তুল ভিউ, বায়তুল মোকাররম
মোবাইল ফোন মার্কেটের
খুচরা এবং পাইকারি বিক্রেতাদের অভিযোগ,
নামিদামি ব্র্যান্ডসহ বাজারের চাইনিজ
ব্র্যান্ডগুলো হ্যান্ডসেট সরবরাহ বন্ধ
করে দিয়েছে। আর এ সুযোগে গায়ের দামের
চেয়ে এক-দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত বেশি নিচ্ছেন
খুচরা বিক্রেতারা।
সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে বিক্রেতাদের
বেশি অভিযোগ ‘সিম্ফোনি’ ব্র্যান্ডের উপর। বাজেট
ঘোষণার পরপরই সব ধরনের হ্যান্ডসেট সরবরাহ
বন্ধ রেখেছে জনপ্রিয় এই মোবাইল হ্যান্ডসেট
কোম্পানি। ক্রেতারা তাই
বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন এদের
হ্যান্ডসেট।
পুরানা পল্টনের বায়তুল ভিউ মোবাইল
মার্কেটে অল্প সময়ের মধ্যে আরিফ, সজল নামে দুজন
ক্রেতাকে নির্ধারিত মূল্যের
চেয়ে বেশি দামে সিম্ফোনির মোবাইল ফোনসেট
কিনতে দেখা গেছে।
‘গ্লোবাল ভিউ টেলিকম’ নামের দোকান থেকে আরিফ
সিম্ফোনির ‘এক্সপ্লোরার ডব্লিউ২’ মডেলের
হ্যান্ডসেটটি কিনেছেন চারশ টাকারও
বেশি দিয়ে। এই হ্যান্ডসেটটির নির্ধারিত মূল্য ৩
হাজার ৮৯০ টাকা।
‘এক্সপ্লোরাল ডব্লিউ১২৮’ মডেলের
হ্যান্ডসেটটি কিনতে এসে বাড়তি পাঁচশ দশ
টাকা বেশি গুনতে হয়েছে সজলকে। নির্ধারিত মূল্য
১০ হাজার ৯৯০ টাকা হলেও জেএম মোবাইল হাউজ
থেকে তিনি কিনেছেন ১১ হাজার ৫০০
টাকা দিয়ে।
এদিকে রোববার বিকেলে স্যামসাং-এর কাস্টমার
রিলেশন্স অফিসার এমডি হাফিজুর রহমানের
সাথে ফোনে যোগাযোগ
করা হলে বাংলানিউজকে তিনি জানান, দাম
বাড়ানোর আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
বরং বাজারে থাকা স্যামসাংয়ের প্রায় সব
হ্যান্ডসেটের মূল্য সম্প্রতি কমানো হয়েছে।
তবে প্রস্তাবিত বাজেট পাস হওয়ার পর দাম
বাড়ানো হতে পারে।
দামি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে সনি ব্র্যান্ডের
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটগুলোর
চাহিদা রয়েছে উচ্চবিত্ত বা উচ্চ মধ্যবিত্ত
ক্রেতাদের মাঝে। বাংলাদেশে সনি ব্র্যান্ডের
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট পরিবেশক র্যাংগস
ইলেক্ট্রনিকস-এর সেলস মার্কেটিং অফিসার ওমর
ফারুখ জানিয়েছেন, “ফুটবল বিশ্বকাপ পর্যন্ত
বাজারে থাকা তাদের হ্যান্ডসেটগুলোর দাম
বাড়ানোর কোনো সম্ভাবনা নেই।”
বাংলাদেশে নকিয়ার সব ধরনের মোবাইল ফোন
হ্যান্ডসেট পরিবেশক প্রতিষ্ঠান ‘ন্যাশনাল
ডিস্ট্রিবিউটর অব নকিয়া ইন বাংলাদেশ-
সিএমপিএল’ এবং ‘এ্যাক্সেল টেলিকম।’
এ দুটি প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যক্তিদের
সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও
মন্তব্যের জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে নাম
প্রকাশ না করার শর্তে উভয় প্রতিষ্ঠান
থেকে জানানো হয়েছে চলতি সপ্তাহেই
নকিয়া মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের দাম
বাড়ানো হতে পারে। ইস্টার্ন প্লাজা, মোতালিব
প্লাজা, তোপখানা রোডের নকিয়ার বিক্রয়
প্রদর্শনীকেন্দ্রের বিক্রয়কর্মীরাও এমনটাই
জানিয়েছেন।
নতুন অর্থবছরের (২০১৪-১৫) প্রস্তাবিত
বাজেটে মোবাইল ফোন আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ
ভ্যাট বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল
মাল আবদুল মুহিত। পাশাপাশি মোবাইল সিমকার্ড
হারিয়ে গেলে তা প্রতিস্থাপনের উপর ১০০
টাকা করের প্রস্তাব দিয়েছেন মন্ত্রী। আগামী ২৯
জুন থেকে এ বাজেট কার্যকর করা হবে।
দেশীয় কোম্পানিগুলোর বিকাশের পথে অসম
প্রতিযোগিতা দূর করতেই আমদানিকৃত মোবাইল
ফোনের উপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর আরোপের
প্রস্তাব করা হয়েছে বলে বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন
অর্থমন্ত্রী।
বক্তৃতায় তিনি উল্লেখ করেন, দেশের বেশ কিছু
কোম্পানি উন্নত মানের মোবাইল ফোন উৎপাদন
পর্যায়ে ১৫ শতাংশ মূসক দিচ্ছে। আর
আমদানি পর্যায়ে মোবাইল ফোনের উপর শুধু ১০
শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য ছিল এতদিন।
অর্থমন্ত্রীর এই প্রস্তাব ডিজিটাল বাংলাদেশ
গড়ার ক্ষেত্রে ‘অন্তরায়’ বলে মনে করছে মোবাইল
অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল
টেলিকম অপারেটরস ইন বাংলাদেশ (অ্যামটব)।
মোবাইল ফোন আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট
কার্যকরের বিরোধিতা করে এই প্রতিষ্ঠানের
মহাসচিব টি আই নুরুল কবির বলেন, “মোবাইল ফোন
এখন শুধুমাত্র একটি কথা বলার যন্ত্র নয়।
যোগাযোগ থেকে শুরু বিভিন্ন সেবা তৃনমূল
পর্যায়ে পৌছেঁ দেয়া হচ্ছে মোবাইল ফোনের
মাধ্যমে।
কিন্তু কর আরোপ করায় স্বল্প ও নিম্ন আয়ের
মানুষকে মোবাইল ফোন
ব্যবহারে অনাগ্রহী করে তুলবে। যা সরকারের
ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং টেলিডেনসিটি বৃদ্ধির
পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে অন্তরায়।”
নুরুল কবির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকার এ
খাতে কোনো প্রণোদনা এখন পর্যন্ত দেয়নি।
সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার
বিষয়টি বিবেচনা না করে উল্টো ভ্যাট আরোপ
করেছে।”
মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটে আমদানি পর্যায়ে ১৫
শতাংশ কর থ্রিজি বিকাশের সময়ে বড় বাধার
সৃষ্টি করবে বলেও মনে করেন তিনি: “উপযুক্ত
হ্যান্ডসেট ব্যবহার ছাড়া থ্রিজি সুবিধা গ্রাহক
পাবেন না। এ কারণে থ্রিজি উপযুক্ত হ্যান্ডসেটের
মূল্য যেন আররো কমে তার ব্যবস্থা করা উচিত ছিল।
অথচ কর বাড়িয়ে এর বিপরীতে অবস্থান
নেওয়া হয়েছে।”
নুরুল কবির সিমকার্ড প্রতিস্থাপনের জন্য ধার্য
১০০ টাকা কর প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।
বিটিআরসির সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত এপ্রিল
মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের
সংখ্যা ছিল ১১কোটির বেশি।

posted from Bloggeroid