Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Thursday, October 16, 2014

ভ্রাম্যমাণ যৌনকর্মীরাই ভয়ঙ্কর বোরকা পার্টি

রাজধানীর ব্যস্ততম
এলাকা ফার্মগেটে কয়েকশ’ লোক ঠায়
দাঁড়িয়ে আছে। সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানোয়
অনেক যাত্রী হয়তো ভাববেন এটা মানব
বন্ধন। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে বাসের জন্য
অপেক্ষা। আর এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে ওই
এলাকার চিহ্নিত একটি নারী চক্র।
এরা প্রত্যেকেই বোরকা পরা। টার্গেট
উঠতি বয়সী যুবক ও তরুণ।
অফিসফেরত এক
যুবককে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে বোরকা পর
নারী। কিছুদূর এগোনোর পর তাদের
সঙ্গে যোগ হলো আরও কজন।
সকলে মিলে এবার ওই যুবককে নাস্তানাবুদ
করার পাঁয়তারা। পথচারিদের কেউ কেউ
এগিয়ে গেলেও নারীদের
সঙ্গে কথা না বলে দূরে দাড়িয়ে দৃশ্য
দেখছেন। ওই নারীদের অভিযোগ,
যুবকটি নাকি তাদের একজনের সঙ্গে অশোভন
আচরণ করেছেন। শুধু তাই নয়, এক
নারীকে কুপ্রস্তাবও দিয়েছেন কথিত
অভিযুক্ত যুবকটি। এ খবর চিৎকার করেই
সকলকে জানাচ্ছে এক নারী। এ সময় চিৎকার
করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করতে থাকেন
অসহায় যুবকটি। কিন্তু কে শোনে কার কথা।
কৌশলী আচরণে ঘটনাপ্রবাহকে ততক্ষণে নিজে
অনুকূলে নিয়ে ফেলেছে ধূর্ত ওই চক্রটি।
নারীর সম্মান বলে কথা! আর এ কারণেই কেউ
কিছু না বুঝে সেদিনের সৃষ্ট
জটলা থেকে ‘ধর-মার-সাইজ কর’ আওয়াজ
উঠতে থাকে।
মানুষের জটলা দেখে এগিয়ে যান তেজগাঁও
থানার একজন সাব ইন্সপেক্টর।
তিনি ঘটনা শুনে ওই যুবকটিকে রক্ষা করেন
মারের হাত থেকে। তবে তার শার্টের কলার
ধরাই ছিল এক নারীর। ধূর্ত ওই
নারী ভেবেছিল এবার পুলিশ তাদের
ফাঁদে পা দেবে। আর
বাড়তি কামাইতো হবেই। তবে সে গুড়ে বালি!
ওই দারোগা এক নারীকে দাঁড়াতে বললেন।
পাশাপাশি নারী পুলিশের জন্য খবর দেন
থানায়। অবস্থা বেগতিক দেখে ওই
নারী নিজেকে মানবাধিকারকর্মী হিসেবে প
দেন। পরে আরেক
নারী তাকে বাঁচাতে নিজেকে সাংবাদিক
পরিচয় দেন। এবার দারোগা পড়েন বিপাকে।
কাকে ধরবেন আর কাকে ছাড়বেন।
আসলে ঘটনাটি কি ঘটেছে তা জানা যাচ্ছে ন
এক পর্যায়ে বিভিন্ন স্থানে ফোন দেয়ার
ভান করেন
মানবাধিকারকর্মী পরিচয়দানকারী ওই
নারী প্রতারক। আসলে কাউকেই তিনি ফোন
করেননি। বিষয়টি টের পেয়ে দারোগা এবার
লাঠি হাতে তেড়ে উঠলেই
বেরিয়ে আসে প্রকৃত রহস্য। ওই
নারীরা সকলেই ভ্রাম্যমাণ যৌনকর্মী।
বোরকা পরে উঠতি বয়সী তরুন ও যুবকদের
টার্গেট করে বিপদে ফেলে এরা।
কখনো রিকশায় লিফট নেয়ার
কথা বলে পরে আটকে টাকা পয়সা আদায়
করে থাকে। এ অবস্থা চলছে দীর্ঘদিন
ধরেই। ফার্মগেটে এমন অন্তত ২৫ নারীর
একটি চক্র রযেছে। পুলিশের সামনে পড়ায়
ওই যুবকটি বেঁচে গেছেন। কিন্তু প্রতিদিনই
এমন অবস্থার শিকার হচ্ছেন অসংখ্য যুবক।
পুলিশ মাঝে মধ্যে এসব নারীদের ধরপাকড়
চালালেও ঘুরেফিরে আবারও জড়ো হয় এরা।
প্রতিদিন অফিস ফেরত অসংখ্য নারী-পুরুষ
তাদের এ জটলা ও আচরণ দেখে হতবাক হন।
বাসায় ফেরার তাগিদে কেউ
হয়তো পুলিশে খবর দেন না। তাছাড়া কতিপয়
পুলিশ সদস্য এ প্রতারণার খবর জানলেও
অজ্ঞাত কারণে ওই নারীদের
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। তাছাড়া স্থানীয়
পাতি নেতাদের সঙ্গে সখ্য থাকায় প্রতারক
নারী চক্রটি প্রতিনিয়তই অপ্রতিরোধ্য
হয়ে উঠছে।
সূত্র : আমাদের সময়.কম

No comments: