চট্টগ্রাম : সিরিজ জয় হয়ে গেল। হয়ে গেল
ধবলধোলাইয়ও। জিম্বাবুয়েকে ৩-০
ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারেরমত তিন টেস্টের
সিরিজে কোন দলকে হোয়াইটওয়াশ করার
কীর্তি দেখালো মুশফিকুর রহিমরা। বাংলাদেশের
ক্রিকেটে অবশ্যই এটা একটা ঐতিহাসিক দিন।
আর এই ঐতিহাসিক দিনেই নিজেদের দৃঢ়তা আর
সামর্থ্যের কথা উঁচু কণ্ঠে বলতে পারলেন
বাংলাদেশ অধিনায়ক, মুশফিকুর রহিম। বললেন, তিন
টেস্টের কোনদিনই, কখনওই মনে হয়নি যে,
আমরা হারব। একই সঙ্গে সঙ্গী-সতীর্থদের
অভিনন্দন জানালেন ঐতিহাসিক এই বিজয়ের জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে বলা মুশফিকের
কথাগুলো তুলে ধরা হল সময়ের কণ্ঠস্বরের
পাঠকদের জন্য।
প্রশ্ন: যেভাবে সিরিজ জিতলেন এটা কি মাথায় ছিল?
মুশফিক: সিরিজ জয় অবশ্যই ভাবনায় ছিল। আমাদের
পরিকল্পনাগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ
করতে পারলে ফল এমন আসবে এটাই ছিল
আমাদের চিন্তা। সেদিক থেকে বলব যে, এই
ফল আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য কিছু না। এটা স্বাভাবিক
আমাদের জন্য। হোম কন্ডিশনে আমাদের
স্পিনাদের বিপক্ষে ওদের খেলাটা অনেক কঠিন।
সেদিক থেকে বলবো, পুরো কৃতিত্ব
বোলারদের। আমি বার বার বলেছি,
স্কোরবোর্ডে যে রানটা দরকার ছিল
সেটা করে দিয়েছে ব্যাটসম্যানরা। সিরিজ
জয়ে তাদেরও অনেক বড় অবদান রয়েছে।
সেদিক থেকে বলব আমরা জানতাম যে,
আমাদের পরিকল্পনা অনযায়ী মূল
খেলোয়াড়রা যদি পারফর্ম করতে পারে, ইনশাল্লাহ
সিরিজটা আমরাই জিতব। ৩-০ আসলে সম্ভব ফলাফলই
ছিল।
প্রশ্ন: টেস্টে অধিনায়কত্ব করলেন,
ওয়ানডেতে মাশরাফি থাকবে বিষটাকে আপনি কিভাবে নিচ্ছেন?
মুশফিক: মাশরাফি ভাই ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্ব
দেবে। ইনশাল্লাহ অনেক নতুন খেলোয়াড়ও
যোগ হচ্ছে এই সিরিজে। আশা তো করব
টেস্টের মতো ফলাফল
করতে এবং সবগুলো ম্যাচেই জিততে।
আমরা যেন জয়ের একটা ধারা বজায়
রেখে বিশ্বকাপে খেলতে যেতে পারি।’
প্রশ্ন: আজ কি পরিকল্পানা ছিলো?
মুশফিক: মাথায় তো কোন না কোন
পরিকল্পনা অবশ্যই থাকে। ভিন্ন
কন্ডিশনে কে কেমন বল করতে পারে, এ
গুলোই বেশি চিন্তায় ছিল। তাছাড়া এমন টার্গেট
সামনে রেখে ওরা কিভাবে আক্রমণাত্মক হবে,
এগুলোও মাথায় ছিল। আমরা জানতাম যে দিনের
প্রথম সেশনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওদের দুজন
সেরা ব্যাটসম্যানই উইকেটে ছিল। আধ ঘন্টার
মধ্যে ওদের ১-২টা উইকেট যদি পেয়ে যাই
তাহলে এরপর ওদের যত ভাল খেলোয়াড়ই থাক
না কেন, আমরা জিতবো। এই ইনিংসে ওরা তেমন
পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। রান
করতে পারেননি। আমরা জানতাম, দ্রুত উইকেট
নিতে পারলে ওরা চাপে থাকবে এবং এটাই
হয়েছে। আমি খুশি এতো সহজে আমরা ৩টা ম্যাচ
জিততে পেরেছি।
প্রশ্ন: আপনি তো বাংলাদেশের
সবচেয়ে বেশি টেস্ট নেতৃত্ব
দিয়ে বেশি জয় এনে দিয়েছে,
এটাকে কিভাবে দেখছেন?
মুশফিক: আমার এখানে খুব একটা যে বেশি কৃতিত্ব
নেওয়ার আছে এখানে, তা কিন্তু নয়। আল্লাহর
রহমতে আমাদের যে দল
আছে তাতে যে কেউ অধিনায়ক হলে এভাবেই
জিতত। এটা আমাদের জন্য ভাল দিক। আর এ বছর
অনেক ম্যাচ ছিল, যেগুলো অনেক
কাছে গিয়েও হেরে গেছি। এই
সিরিজে দুইটা টেস্ট অন্তত পাঁচ দিনে গিয়ে শেষ
হয়েছে। আমাদের দৃঢ়তা কতটুকু এটা তা প্রমান
করে। সেদিক থেকে বলব আমি খুশি। এই
ধারাবাহিকতা থাকে।’
প্রশ্ন: সাকিবকে বল করানোর কি পরিকল্পা ছিলো?
মুশফিক: আমার কাছে তো অনেক বোলিং অপশন
থাকে। সে আক্রমণাত্মক বোলার। আমার যখন
মনে হয়েছে উইকেট দরকার তখন
আমি সাকিবকে বোলিংয়ে এনেছি।
আমি চেষ্টা করেছি সবাইকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বোলিং করানোর।
প্রশ্ন: জুবায়েরের পারফরম্যান্স
কিভাবে দেখবেন?
মুশফিক: আমি মনে করি একজন লেগস্পিনার
যে কোনো দলের জন্য অনেক বড় সম্পদ।
বিশেষ করে বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে। ওর
সামনে অনেক উজ্জ্বল ভবিষ্যত
অপেক্ষা করছে। তবে এখনও ওর উন্নতির
অনেক জায়গা আছে। আমি বলছি না দুর্বল দল
দেখে অনেক উইকেট পেয়েছে, অবশ্যই
ভালো বল করেছে। তবে ও যদি ধারাবাহিক
ভালো বোলিং করতে চায়, অনেক দিন বাংলাদেশ
দলে খেলতে চায়,
তাহলে উন্নতি করতে হবে।
আমি মনে করি সে ক্ষমতা ও সামর্থ্য জুবায়েরের
আছে। আমি এবং কোচ
চেষ্টা করি ওকে মনে করিয়ে দেওয়ার, যেন
কঠোর পরিশ্রম করে। বাংলাদেশ দলে লেগ
স্পিনারের অভাবটা যেন পূরণ করতে পারে সে।’
প্রশ্ন: সিরিজে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের
পারফরম্যান্স নিয়ে কি বলবেন?
মুশফিক: তা তো অবশ্যই, এটা আমরা সিরিজ শুরুর
আগেই টার্গেট করি এবং চেয়েছি অন্তত
আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়রা যেন
পুরো সিরিজে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়।
অবশ্যই বিশেষ ধন্যবাদ তাদের জন্য। যে রকম
রিয়াদ ভাই, সাকিব-তামিম আরও অনেক ভাল
খেলেছে। আর তাদের সঙ্গে জুনিয়রদেরও
আমরা সিনিয়ররা সুযোগ তৈরী করে দেওয়ার
চেস্টা করেছি। তারা যেন খেলা উপভোগ
করে এবং নিজেদের ওপর কোন চাপ না নেয়।
ওরা সে কাজটাই করেছে। লিখন, তাইজুল-
এরা অবশ্যই ভাল। এটা খুব ভাল দলীয় প্রচেষ্টা।
বিশেষ ধন্যবাদ মেনেজমেন্টকেও। তারা খুব
ভাল পরিকল্পনা সাজিয়ে দিয়েছে আমাদের
সামনে।
প্রশ্ন: কখনও কি মনে হয়েছে টেস্ট হারবেন?
মুশফিক: কখনই মনে হয়নি ওরা এগিয়ে। এভাবেই
প্রভাব বিস্তার করে খেলা উচিত নিজেদের হোম
কন্ডিশনে। এমন যদি নাও হয় অন্তত আমরা যেন
পাঁচদিন ধারাবাহিক ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি।
তা যত বড় দলের বিপক্ষেই হোক না কেন।
পরের টেস্ট সিরিজেও সুযোগ আছে।
আমরা তার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’
ধবলধোলাইয়ও। জিম্বাবুয়েকে ৩-০
ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারেরমত তিন টেস্টের
সিরিজে কোন দলকে হোয়াইটওয়াশ করার
কীর্তি দেখালো মুশফিকুর রহিমরা। বাংলাদেশের
ক্রিকেটে অবশ্যই এটা একটা ঐতিহাসিক দিন।
আর এই ঐতিহাসিক দিনেই নিজেদের দৃঢ়তা আর
সামর্থ্যের কথা উঁচু কণ্ঠে বলতে পারলেন
বাংলাদেশ অধিনায়ক, মুশফিকুর রহিম। বললেন, তিন
টেস্টের কোনদিনই, কখনওই মনে হয়নি যে,
আমরা হারব। একই সঙ্গে সঙ্গী-সতীর্থদের
অভিনন্দন জানালেন ঐতিহাসিক এই বিজয়ের জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে বলা মুশফিকের
কথাগুলো তুলে ধরা হল সময়ের কণ্ঠস্বরের
পাঠকদের জন্য।
প্রশ্ন: যেভাবে সিরিজ জিতলেন এটা কি মাথায় ছিল?
মুশফিক: সিরিজ জয় অবশ্যই ভাবনায় ছিল। আমাদের
পরিকল্পনাগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ
করতে পারলে ফল এমন আসবে এটাই ছিল
আমাদের চিন্তা। সেদিক থেকে বলব যে, এই
ফল আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য কিছু না। এটা স্বাভাবিক
আমাদের জন্য। হোম কন্ডিশনে আমাদের
স্পিনাদের বিপক্ষে ওদের খেলাটা অনেক কঠিন।
সেদিক থেকে বলবো, পুরো কৃতিত্ব
বোলারদের। আমি বার বার বলেছি,
স্কোরবোর্ডে যে রানটা দরকার ছিল
সেটা করে দিয়েছে ব্যাটসম্যানরা। সিরিজ
জয়ে তাদেরও অনেক বড় অবদান রয়েছে।
সেদিক থেকে বলব আমরা জানতাম যে,
আমাদের পরিকল্পনা অনযায়ী মূল
খেলোয়াড়রা যদি পারফর্ম করতে পারে, ইনশাল্লাহ
সিরিজটা আমরাই জিতব। ৩-০ আসলে সম্ভব ফলাফলই
ছিল।
প্রশ্ন: টেস্টে অধিনায়কত্ব করলেন,
ওয়ানডেতে মাশরাফি থাকবে বিষটাকে আপনি কিভাবে নিচ্ছেন?
মুশফিক: মাশরাফি ভাই ওয়ানডে সিরিজে নেতৃত্ব
দেবে। ইনশাল্লাহ অনেক নতুন খেলোয়াড়ও
যোগ হচ্ছে এই সিরিজে। আশা তো করব
টেস্টের মতো ফলাফল
করতে এবং সবগুলো ম্যাচেই জিততে।
আমরা যেন জয়ের একটা ধারা বজায়
রেখে বিশ্বকাপে খেলতে যেতে পারি।’
প্রশ্ন: আজ কি পরিকল্পানা ছিলো?
মুশফিক: মাথায় তো কোন না কোন
পরিকল্পনা অবশ্যই থাকে। ভিন্ন
কন্ডিশনে কে কেমন বল করতে পারে, এ
গুলোই বেশি চিন্তায় ছিল। তাছাড়া এমন টার্গেট
সামনে রেখে ওরা কিভাবে আক্রমণাত্মক হবে,
এগুলোও মাথায় ছিল। আমরা জানতাম যে দিনের
প্রথম সেশনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওদের দুজন
সেরা ব্যাটসম্যানই উইকেটে ছিল। আধ ঘন্টার
মধ্যে ওদের ১-২টা উইকেট যদি পেয়ে যাই
তাহলে এরপর ওদের যত ভাল খেলোয়াড়ই থাক
না কেন, আমরা জিতবো। এই ইনিংসে ওরা তেমন
পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। রান
করতে পারেননি। আমরা জানতাম, দ্রুত উইকেট
নিতে পারলে ওরা চাপে থাকবে এবং এটাই
হয়েছে। আমি খুশি এতো সহজে আমরা ৩টা ম্যাচ
জিততে পেরেছি।
প্রশ্ন: আপনি তো বাংলাদেশের
সবচেয়ে বেশি টেস্ট নেতৃত্ব
দিয়ে বেশি জয় এনে দিয়েছে,
এটাকে কিভাবে দেখছেন?
মুশফিক: আমার এখানে খুব একটা যে বেশি কৃতিত্ব
নেওয়ার আছে এখানে, তা কিন্তু নয়। আল্লাহর
রহমতে আমাদের যে দল
আছে তাতে যে কেউ অধিনায়ক হলে এভাবেই
জিতত। এটা আমাদের জন্য ভাল দিক। আর এ বছর
অনেক ম্যাচ ছিল, যেগুলো অনেক
কাছে গিয়েও হেরে গেছি। এই
সিরিজে দুইটা টেস্ট অন্তত পাঁচ দিনে গিয়ে শেষ
হয়েছে। আমাদের দৃঢ়তা কতটুকু এটা তা প্রমান
করে। সেদিক থেকে বলব আমি খুশি। এই
ধারাবাহিকতা থাকে।’
প্রশ্ন: সাকিবকে বল করানোর কি পরিকল্পা ছিলো?
মুশফিক: আমার কাছে তো অনেক বোলিং অপশন
থাকে। সে আক্রমণাত্মক বোলার। আমার যখন
মনে হয়েছে উইকেট দরকার তখন
আমি সাকিবকে বোলিংয়ে এনেছি।
আমি চেষ্টা করেছি সবাইকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বোলিং করানোর।
প্রশ্ন: জুবায়েরের পারফরম্যান্স
কিভাবে দেখবেন?
মুশফিক: আমি মনে করি একজন লেগস্পিনার
যে কোনো দলের জন্য অনেক বড় সম্পদ।
বিশেষ করে বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে। ওর
সামনে অনেক উজ্জ্বল ভবিষ্যত
অপেক্ষা করছে। তবে এখনও ওর উন্নতির
অনেক জায়গা আছে। আমি বলছি না দুর্বল দল
দেখে অনেক উইকেট পেয়েছে, অবশ্যই
ভালো বল করেছে। তবে ও যদি ধারাবাহিক
ভালো বোলিং করতে চায়, অনেক দিন বাংলাদেশ
দলে খেলতে চায়,
তাহলে উন্নতি করতে হবে।
আমি মনে করি সে ক্ষমতা ও সামর্থ্য জুবায়েরের
আছে। আমি এবং কোচ
চেষ্টা করি ওকে মনে করিয়ে দেওয়ার, যেন
কঠোর পরিশ্রম করে। বাংলাদেশ দলে লেগ
স্পিনারের অভাবটা যেন পূরণ করতে পারে সে।’
প্রশ্ন: সিরিজে ব্যাটসম্যান ও বোলারদের
পারফরম্যান্স নিয়ে কি বলবেন?
মুশফিক: তা তো অবশ্যই, এটা আমরা সিরিজ শুরুর
আগেই টার্গেট করি এবং চেয়েছি অন্তত
আমাদের সিনিয়র খেলোয়াড়রা যেন
পুরো সিরিজে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়।
অবশ্যই বিশেষ ধন্যবাদ তাদের জন্য। যে রকম
রিয়াদ ভাই, সাকিব-তামিম আরও অনেক ভাল
খেলেছে। আর তাদের সঙ্গে জুনিয়রদেরও
আমরা সিনিয়ররা সুযোগ তৈরী করে দেওয়ার
চেস্টা করেছি। তারা যেন খেলা উপভোগ
করে এবং নিজেদের ওপর কোন চাপ না নেয়।
ওরা সে কাজটাই করেছে। লিখন, তাইজুল-
এরা অবশ্যই ভাল। এটা খুব ভাল দলীয় প্রচেষ্টা।
বিশেষ ধন্যবাদ মেনেজমেন্টকেও। তারা খুব
ভাল পরিকল্পনা সাজিয়ে দিয়েছে আমাদের
সামনে।
প্রশ্ন: কখনও কি মনে হয়েছে টেস্ট হারবেন?
মুশফিক: কখনই মনে হয়নি ওরা এগিয়ে। এভাবেই
প্রভাব বিস্তার করে খেলা উচিত নিজেদের হোম
কন্ডিশনে। এমন যদি নাও হয় অন্তত আমরা যেন
পাঁচদিন ধারাবাহিক ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি।
তা যত বড় দলের বিপক্ষেই হোক না কেন।
পরের টেস্ট সিরিজেও সুযোগ আছে।
আমরা তার চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।’
No comments:
Post a Comment