সরকারবিরোধীদের
নৈরাজ্য-
সহিংসতা দমনে কঠোর
হার্ডলাইনে যাচ্ছে ১৪
দলের
নেতৃত্বাধীন
ক্ষমতাসীন
আওয়ামী লীগ
সরকার।
আগামী ৫
বছরের
আগে ক্ষমতা ছাড়বে না বলেও
জানিয়ে দিয়েছে দলটির শীর্ষ নেতারা।
ইতোমধ্যেই তৃণমূলের নেতাদের আগামী ৫
বছর মাঠ দখলের দিক-নির্দেশনা দিয়ে মাঠ
চাঙ্গা করার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে ১৪দল।
এর আগে একাধিকবার সব দলের
অংশগ্রহণে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আহ্বান
জানান দেশের সচেতন রাজনীতিক মহল
এবং কুটনৈতিকরা।
সূত্রমতে, আগামী ৫ বছরের
আগে রাজনীতিতে নমনীয়তা কিংবা আপোষের
কোনো লক্ষই নেই সরকারের মধ্যে।
বরং সরকারবিরোধী যে কোনো আন্দোলন
বানচাল
করে দিতে প্রয়োজনে মাঠে থাকবে ক্ষমতাসীন
১৪ দল। রাজনীতির মাঠ
দখলে রাখতে ইতোমধ্যে তাদের দিক-
নির্দেশনাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তৃণমুলে।
নির্দেশনা পেয়ে জেলা-উপজেলায়
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ও
নির্বাচিত আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য
ও উপজেলায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানরা মাঠ
দখলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সরকারি দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র
জানিয়েছে, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৯দলীয়
জোটকে তারা মাঠেই নামতে দেবে না। এ
নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল
ইসলাম বলেছেন, “অহেতুক কর্মসূচি পালনের
নামে রাজপথে কিংবা জেলা-উপজেলায়
কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টির
পাঁয়তারা চললে সরকার তা কঠোরহস্তে দমন
করবে। এছাড়া ১৯ দলের
সরকারবিরোধী যেকোনো আন্দোলন
মোকাবিলায় দলের সিনিয়র নেতাদের
মাঠে থাকার পরামর্শ দিয়েছে ক্ষমতাসীন
দলটির হাইকমান্ড। দলটির সিনিয়র
নেতারা মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের
মোখিকভাবে নির্দেশ দিয়েছেন
প্রয়োজনে অবস্থা বুঝে নিজেরাই
ব্যবস্থা নিবেন।”
জানা গেছে, বিএনপির আন্দোলনের
হুমকি রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার জন্য
কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে নানা দিক-
নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে তৃণমূলের নেতাদের।
এই নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে,
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট
যাতে দেশের কোথাও কোনো ধরনের সরকার
বিরোধী আন্দোলন করতে না পারে সেজন্য
রাজধানী থেকে জেলা পর্যায়ে সজাগদৃষ্টি রাখা।
কি দাবি নিয়ে আগামী দিনগুলোতে বিএনপি আন্দোলন
করতে পারে, এ বিষয়টিও সরকারি দলের
শীর্ষস্থানীয় নেতারা পর্যবেক্ষন করছেন
বলে জানা গেছে। তাছাড়া বিএনপির
ইস্যুবিহীন কোনো আন্দোলন করার
চেষ্টা করলে তা কঠোরহস্তেই দমন
করবে সরকার।
সরকারের একাধিক সিনিয়র মন্ত্রীর
সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এই
মুহূর্তে সহিংসতা-নৈরাজ্যকারিদের
বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এদের
ব্যাপারে কোনো ধরনের আপস করার
লেশমাত্রও নেই।
তাদের মতে, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্য
দিয়ে দেশে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে বিএনপি ও
তাদের জোট অংশগ্রহণ না করে এখন
পুনরায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের
কথা বলা হচ্ছে।
দাবি করা হচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
আওয়ামী লীগ হাইকমান্ডের
নেতারা মনে করছেন বিএনপির এ
দাবি মানা সম্ভব হবে না। বিএনপি যদি এ
দাবি নিয়ে আন্দোলন করার
চেষ্টা করে তাহলে আওয়ামী লীগও ছাড়
দেবে না।
রাজনৈতিকভাবে তা মোকাবিলা করবে। আর
আন্দোলনের নামে দেশে যদি আবারো হামলা-
ভাঙচুর হত্যা-নৈরাজ্য ও অগ্নিসংযোগের
মাধ্যমে মানুষ হত্যার পথ বেছে নেয়
তাহলে প্রশাসনের মাধ্যমে তা কঠোর
ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন
১৯ দল এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড
না করতে পারে তার জন্য রাজপথ দখল
রাখার জন্য সারাদেশে দলের তৃণমূল
নেতাকর্মীদেরকে দিক-
নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ
সদস্য ও বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ
পরিবর্তনকে বলেন, “২০১৯ সালের ২৯
জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে। আপনাদের
বিএনপিকে ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
সেই নির্বাচনের জন্য আপনারা প্রস্তুত
হন। সে ব্যাপারে যদি আলোচনা করতে চান,
তাহলে সংলাপের জন্য আমরা রাজি আছি।”
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি আগামী ৫
বছরে শেখ হাসিনার
নেতৃত্বে দেশকে বিশ্বে রোল মডেল
হিসেবে দাঁড় করাবো। বর্তমান
সরকারকে সবাই সহযোগিতা করে। সকলই
সরকারের কথা শুনে, এমনকি ব্যবসায়ীরাও
সরকারের কথা শুনে।”
এ বিষয়ে ১৪ দলের মুখপাত্র ও
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য
মোহাম্মদ নাসিম পরিবর্তনকে বলেন,
“বিএনপির নৈরাজ্য, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার,
গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিনষ্টের
চক্রান্তের বিরুদ্ধে জনমত
গড়ে তুলতে তিনটি বিভাগীয় জেলায়
তিনটি টিমে সফর করেছে তারা।
এরমধ্যে গত শনিবার ২৬ এপ্রিল খুলনায়,
২৭ এপ্রিল ঢাকার সাভারে ও গতকাল ২৮
এপ্রিল ময়মনসিংহ শহরে সমাবেশ
করেছে ১৪ দল।”
এ বিষয়ে গণতন্ত্রি পার্টির সাধারণ
সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম
পরিবর্তনকে বলেন, “আমরা তৃণমূল সফর ও
জনসমাবেশের কর্মসূচি দিয়ে গত তিনদিন
মুক্তিযদ্ধের পরে শক্তির সমর্থনে জনমত
তৈরি করার জন্য এবং বিরোধীজোটের
অপপ্রচারের সমুচিত জবাব দেয়া, তৃণমূল
পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ ও সক্রিয় করার
লক্ষ্যে সমাবেশ করেছি।”
তিনি বলেন,
“এটা পর্যাক্রমে চলতে থাকবে। এখন
তিনটি বিভাগীয় জেলা শহরের সমাবেশ শেষ
করেছি। সামনের দিকে বাকি জেলাগুলোতেও
করার উদ্যোগ রয়েছে।”
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment