ডেস্ক: ব্রাজিল-
আর্জেন্টিনা মানেই
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। কেউ কারও
ছায়া পর্যন্ত মাড়ায় না; কিন্তু
ব্যতিক্রমী ব্যাপার-স্যাপার
নিয়ে এলেন লিওনেল
মেসি নামে আশ্চর্য এক ফুটবল জাদুকর।
তার পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছেন
ব্রাজিলের গ্রেটরাও। হালের
সেনসেশন নেইমারও বাদ যাননি।
তিনি আবার মেসির পাঁড়ভক্ত।
বার্সায় যোগ দেওয়ার
পেছনে নেইমারের উপস্থিতিও ছিল
বড় একটা কারণ। ন্যু
ক্যাম্পে এসে দু’জনের দোস্তির কথাও
বেশ ফলাও করে প্রকাশ
করা হয়েছে বিশ্বের মিডিয়ায়।
সে বন্ধুই কি-
না সত্যি সত্যি বিশ্বকাপের
মতো আসরে এসে শত্রুতে পরিণত
হয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বকাপটা যখন আর
সবার চেয়ে বেশি দরকার মেসির,
তখন নেইমার তাকে বলে দিলেন_
‘এবার বিশ্বকাপ জয়ের
আশা করো না বন্ধু’। ব্রাজিলের ও
গ্গ্নোবো পত্রিকার সঙ্গে এক
সাক্ষাৎকারে নেইমার আরও
জানিয়েছেন বিশ্বকাপে তার নিজের
প্রস্তুতি, ব্রাজিলের
প্রস্তুতি এবং ব্রাজিলিয়ানদের আশা-
আকাঙ্ক্ষা নিয়ে।
২০ কোটি ব্রাজিলিয়ানের
প্রত্যাশার সব চাপ কিন্তু নেইমারের
ওপরই। মাত্র ২২ বছর বয়সে এ চাপ
নেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুত তিনি,
প্রমাণ হয়েছে গত কনফেডারেশন্স
কাপ ফাইনালে। নেইমার
প্রত্যাশা করছেন, তার দেশ ফাইনাল
খেলবে এবং ব্রাজিলিয়ানদের
হেক্সা শিরোপা উপহার দেবে।
বিশ্বকাপ নিয়ে তিনি বলেন,
‘আমরা সত্যি সত্যি প্রস্তুত নিজ
দেশে বিশ্বকাপ খেলার জন্য।
এবং আমি নিশ্চিত, ব্রাজিলের জন্য
আমি শতভাগ দিতে প্রস্তুত।
যে ইনজুরিতে পড়েছিলাম,
তা থেকে সেরে ওঠার শেষ
মুহূর্তে রয়েছি। আশা করছি, বিশ্বকাপ
শুরুর আগেই পুরোপুরি ফিট হয়ে যাব।’
বার্সেলোনায় মেসির
সঙ্গে জুটি বেঁধে খেলাটা তার জন্য
বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছেন
নেইমার। তিনি বলেন,
‘মেসিকে আমি খুব পছন্দ করি, কারণ
তার গোল করার স্টাইল খুবই নিখুঁত।
খুব কমই মিস করেন
তিনি এবং যা করেন তা একদম
মনোযোগের সঙ্গে, নিখুঁতভাবে। এই
জিনিসটাই আমি তার কাছ থেকে ধার
করে নেব এবং বিশ্বকাপে ব্যবহারের
চেষ্টা করব।’
নেইমার স্বীকার করেছেন, মেসির
সঙ্গে অনেক ঠাট্টা করতেন তিনি।
ব্রাজিলিয়ান এ সেনশেসন বলেন,
‘আমরা এরই মধ্যে অনেকবার হাসি-
ঠাট্টা ও মজা করেছি। দু’জনই বলেছি,
বিশ্বকাপের
ফাইনালে দেখা করতে চাই। যখন
তিনি আমাকে বললেন,
ফাইনালে আর্জেন্টিনাই জিতবে, তখন
আমি তাকে বলেছি, না,
আর্জেন্টিনা নয়,
ফাইনালে জিতবে ব্রাজিলই।
আর্জেন্টিনার কোনো সুযোগ নেই।’
নেইমার আরও বলেন, ‘মজা করার
ছলেই আমি তাকে বলেছি_
‘তাকে বলেছি, ব্রাজিলে যা করার
কথা ভাবছ, সেটি সম্ভব নয়।’ নেইমার
আরও বলেন, ‘এরই
মধ্যে সমর্থকরা আমাদের ১-০-
তে এগিয়ে দিয়েছেন।’ দলে সুযোগ
পাওয়া নিয়েও নাকি বেশ উদ্বিগ্ন
ছিলেন নেইমার। তিনি বলেন,
‘দলে ডাকা নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন
ছিলাম বৈকি। যখন স্কোয়াড
ঘোষণা হয়ে গেল, তখন
সত্যি সত্যি খুব ভালো লেগেছিল।’ গত
বিশ্বকাপেও খেলার কথা ছিল
নেইমারের, কিন্তু দুঙ্গার দলে ঠাঁই
হয়নি তার।
Posted via Blogaway