ডেস্ক : রাজধানীর
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের
চতুর্থ বর্ষের ছাত্র বখতিয়ারের সঙ্গে ফেইসবুকে পরিচয়
হয় রাজধানীর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া এক ছাত্রীর। বাবা-
মায়ের একমাত্র সন্তান ওই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয়ের
একপর্যায়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে সে। ওই
ছাত্রীকে দিয়েই তার নগ্ন ছবি তোলায় বখতিয়ার।
পরবর্তীতে ওই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয়
দেখিয়ে ছাত্রীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় ১২ ভরি স্বর্ণ।
সিনিয়র রিপোর্টার সালাহ উদ্দিন চৌধুরীর প্রতিবেদনে এক
মেধাবী প্রতারকের ভয়ানক প্রতারনার চিত্র সময়ের
কণ্ঠস্বরের পাঠকদের জন্য ।
ছাত্রীর অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরের
বাসা থেকে বখতিয়ারকে আটক করে মহানগর
গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে তার ল্যাপটপ থেকে এরকম
একাধিক মেয়ের নগ্ন ছবি উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর সঙ্গে বখতিয়ারের
ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। সম্পর্ক চার বছরের।
পরিচয়ের একপর্যায়ে বখতিয়ার ওই মেয়েকে বলে,
‘আমি গরীব ঘরের সন্তান, তুমি তো যে কোনো সময়
আমাকে ছেড়ে চলে যাবে।’ শত আশ্বাসের পরও বখতিয়ার
তার কথা বিশ্বাস করতে রাজি না। একসময় বখতিয়ার
ছাত্রীটিকে বলে, ‘তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাস,
আমাকে ছেড়ে চলে না যাও, তাহলে তোমার একটি নগ্ন
ছবি আমাকে পাঠাও।’ সরল বিশ্বাসে মেয়েটি বখতিয়ারের
কথায় বিশ্বাস করে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার
সামনে দাঁড়িয়ে নিজের নগ্ন ছবি তোলে পাঠায় বখতিয়ারকে।
এরপর থেকে বদলে যায় বখতিয়ারের রূপ। বখতিয়ার ওই নগ্ন
ছবিটিই ছাত্রীটির ফেসবুকের ইনবক্সে পাঠিয়ে বলে, ‘আমার
সেমিস্টার ফি’র জন্য ২ লাখ টাকা লাগবে। তোমার এই
ছবিটাও তো আমার কাছে আছে। এখন আমি কী করবো?’
ছাত্রীটি বখতিয়ারের ব্ল্যাকমেইলের
বিষয়টি বুঝতে পেরে বলে, ‘আমি এতো টাকা কোথায় পাবো?
তোমাকে আমি মাসে মাসে ১০ হাজার টাকা করে দেবো।’
কিন্তু বখতিয়ার তার এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে জানায়,
তার এক সঙ্গেই ২ লাখ টাকা লাগবে। পরে বখতিয়ার
ছাত্রীটিকে উপদেশ দেয় বাসা থেকে স্বর্ণের
গহনা এনে দেয়ার জন্য। না হলে এই
ছবি সে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে। এমনকি তার বাবা-মায়ের
কাছেও পৌঁছে দেবে এই ছবি। এতে ভীত
হয়ে ছাত্রীটি বাসা থেকে মায়ের ১২ ভরি স্বর্ণের
গহনা চুরি করে তুলে দেয় বখতিয়ারের হাতে। কাতারের
তৈরি খাঁটি ওই স্বর্ণের গহনা বখতিয়ার দুই দফায় মোট ২
লাখ ৯১ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
এদিকে বাসা থেকে স্বর্ণের গহনা খোঁয়া যাওয়ার
বিষয়টি ছাত্রীটির বাবা-মা জানতে পারে। এ নিয়ে তাদের
মধ্যে তীব্র দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। দু’জনের
মধ্যে দানা বাঁধে অবিশ্বাস। বাবা-মায়ের মধ্যে এরকম
পরিস্থিতি দেখে মেয়ে সবকিছু খুলে বলে তাদেরকে। এরপর
তারা বিষয়টি জানায় স্থানীয় থানা এবং ডিবি পুলিশকে। ওই
অভিযোগের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ মঙ্গলবার
ভোরে বখতিয়ারকে আটক করে।
কে এই বখতিয়ার
ধানমণ্ডির ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির
(ইউআইইউ) কম্পিউটার সায়েন্সের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র
বখতিয়ার ইসলাম । বাসায় পঙ্গু বাবা। এসএসসি ও
এইচএসসিতে গোল্ডেন ‘এ প্লাস’ পাওয়া মেধাবী এ ভাইটির
পড়াশোনার খরচ যোগাতে নিজের পড়াশোনাটাই ছেড়ে দেন
তার বড়ভাই। দেখতে-শুনতে, চলনে-বলনে,
কথোপোকথনে বেশ পটু বখতিয়ার। কিন্তু
সৎভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে মানসিক জোর থাকা প্রয়োজন
শুধুমাত্র সেটাই ছিল না তার। তাই বেছে নেয় অভিনব এক
প্রতারণার ফাঁদ। নিজের বাকপটুতা আর
চেহারাকে পুঁজি করে ফেসবুকের
মাধ্যমে ফাঁদে ফেলতে থাকে ধনীর আদরের দুলালিদের।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বখতিয়ার ওই নগ্ন ছবি নিজের
জিমেইল ও ইয়াহু অ্যাকাউন্টে সংরক্ষণ করে রেখেছে। তাই
কোনোভাবেই ওই ছবি সম্পূর্ণ মুছে ফেলা সম্ভব নয়। তার
ল্যাপটপ থেকে আরেকটি মেয়ের বেশকিছু নগ্ন ছবি উদ্ধার
করেছে পুলিশ। এছাড়া তার আরো ৫/৬টি মেয়ে বান্ধবীর
সঙ্গে ঘনিষ্ট ছবিও উদ্ধার করা হয়েছে।
বখতিয়ার জানায়, সেমিস্টার ফি’র টাকা সংগ্রহের জন্য
সে এই কাজটি করেছে। সে স্বীকার করে, ২০১০ সাল
থেকে ছাত্রীটির সঙ্গে তার সম্পর্ক। এছাড়া দ্বিতীয়
মেয়েটির সঙ্গে তার পরিচয় ২০১৩ সাল থেকে।
বখতিয়ার আরো জানায়, তার বাবা একসময়
সৌদি আরবে শ্রমিকের কাজ করতেন।
বর্তমানে তিনি প্যারালাইজড। একমাত্র বড় ভাই তার
পড়াশোনার জন্য নিজের পড়াশোনা বন্ধ করে স্বল্প বেতনের
চাকরি করছেন।
ভাইয়ের এমন কর্মকাণ্ডে হতবিহবল তার বড়ভাইও।
গোয়েন্দা পুলিশের সামনে ছোট ভাইয়ের পা ধরে তিনি বার
বার বলতে থাকেন, ‘তুই সবকিছু দিয়ে দে পুলিশকে।
না হলে তোকে আমরা বাঁচাতে পারবো না।’ কিন্তু বড়
ভাইয়ের এমন আকূতিও মন গলাতে পারেনি বখতিয়ারের।
কারণ বখতিয়ার এখন পর্যন্ত তার জিমেইল ও ইয়াহু
অ্যাকাউন্ট নম্বরের পাসওয়ার্ড পুলিশকে দিতে রাজি হয়নি।
এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন ‘এ প্লাস’
পাওয়া মেধাবী ছাত্র বখতিয়ারের এমন জঘন্য কাজে হতভম্ব
খোদ গোয়েন্দারাও। দেখতে সুদর্শন, সহজ-সরল চেহারার
বখতিয়ার প্রথমে গোয়েন্দাদের কাছে সবকিছু অস্বীকার
করে। তার অভিনয়ে প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ের
গোয়েন্দারাও। পরবর্তীতে সবকিছু স্বীকার করে সে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে এ ধরনের
প্রতারণার অভিযোগ প্রায়ই তাদের কাছে আসছে। কিন্তু
যখন এসব অভিযোগ আসে এরপর অভিযুক্তকে আটক
ছাড়া তাদের আর বেশি কিছু করার থাকে না।
সাম্প্রতিক সময়ের আরেকটি উদাহরণ দিয়ে ওই
কর্মকর্তা বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র
ধরে এক যুগল স্বেচ্ছার নিজেদের যৌন মিলনের ভিডিও
করে। ১৭ মিনিটের ওই ভিডিওটি এক সময় কাল হয়ে দাঁড়ায়
মেয়েটির। ছেলেটি ওই ভিডিওর মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল
করে মেয়েটিকে। হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। আর ওই
মেয়েটির বাবা বিদেশ থাকেন। বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থেই
মা-মেয়ে দেশে বিলাশী জীবনযাপন করেন।
গোয়েন্দাদের ভাষ্য মতে, পরিবার থেকে সন্তানদের
নিয়ন্ত্রণ করা না হলে কিংবা তাদেরকে সামাজিক ও ধর্মীয়
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের
চতুর্থ বর্ষের ছাত্র বখতিয়ারের সঙ্গে ফেইসবুকে পরিচয়
হয় রাজধানীর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়া এক ছাত্রীর। বাবা-
মায়ের একমাত্র সন্তান ওই ছাত্রীর সঙ্গে পরিচয়ের
একপর্যায়ে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করে সে। ওই
ছাত্রীকে দিয়েই তার নগ্ন ছবি তোলায় বখতিয়ার।
পরবর্তীতে ওই ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার ভয়
দেখিয়ে ছাত্রীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় ১২ ভরি স্বর্ণ।
সিনিয়র রিপোর্টার সালাহ উদ্দিন চৌধুরীর প্রতিবেদনে এক
মেধাবী প্রতারকের ভয়ানক প্রতারনার চিত্র সময়ের
কণ্ঠস্বরের পাঠকদের জন্য ।
ছাত্রীর অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুরের
বাসা থেকে বখতিয়ারকে আটক করে মহানগর
গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে তার ল্যাপটপ থেকে এরকম
একাধিক মেয়ের নগ্ন ছবি উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রীর সঙ্গে বখতিয়ারের
ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। সম্পর্ক চার বছরের।
পরিচয়ের একপর্যায়ে বখতিয়ার ওই মেয়েকে বলে,
‘আমি গরীব ঘরের সন্তান, তুমি তো যে কোনো সময়
আমাকে ছেড়ে চলে যাবে।’ শত আশ্বাসের পরও বখতিয়ার
তার কথা বিশ্বাস করতে রাজি না। একসময় বখতিয়ার
ছাত্রীটিকে বলে, ‘তুমি যদি সত্যিই আমাকে ভালোবাস,
আমাকে ছেড়ে চলে না যাও, তাহলে তোমার একটি নগ্ন
ছবি আমাকে পাঠাও।’ সরল বিশ্বাসে মেয়েটি বখতিয়ারের
কথায় বিশ্বাস করে ড্রেসিং টেবিলের আয়নার
সামনে দাঁড়িয়ে নিজের নগ্ন ছবি তোলে পাঠায় বখতিয়ারকে।
এরপর থেকে বদলে যায় বখতিয়ারের রূপ। বখতিয়ার ওই নগ্ন
ছবিটিই ছাত্রীটির ফেসবুকের ইনবক্সে পাঠিয়ে বলে, ‘আমার
সেমিস্টার ফি’র জন্য ২ লাখ টাকা লাগবে। তোমার এই
ছবিটাও তো আমার কাছে আছে। এখন আমি কী করবো?’
ছাত্রীটি বখতিয়ারের ব্ল্যাকমেইলের
বিষয়টি বুঝতে পেরে বলে, ‘আমি এতো টাকা কোথায় পাবো?
তোমাকে আমি মাসে মাসে ১০ হাজার টাকা করে দেবো।’
কিন্তু বখতিয়ার তার এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে জানায়,
তার এক সঙ্গেই ২ লাখ টাকা লাগবে। পরে বখতিয়ার
ছাত্রীটিকে উপদেশ দেয় বাসা থেকে স্বর্ণের
গহনা এনে দেয়ার জন্য। না হলে এই
ছবি সে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবে। এমনকি তার বাবা-মায়ের
কাছেও পৌঁছে দেবে এই ছবি। এতে ভীত
হয়ে ছাত্রীটি বাসা থেকে মায়ের ১২ ভরি স্বর্ণের
গহনা চুরি করে তুলে দেয় বখতিয়ারের হাতে। কাতারের
তৈরি খাঁটি ওই স্বর্ণের গহনা বখতিয়ার দুই দফায় মোট ২
লাখ ৯১ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
এদিকে বাসা থেকে স্বর্ণের গহনা খোঁয়া যাওয়ার
বিষয়টি ছাত্রীটির বাবা-মা জানতে পারে। এ নিয়ে তাদের
মধ্যে তীব্র দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। দু’জনের
মধ্যে দানা বাঁধে অবিশ্বাস। বাবা-মায়ের মধ্যে এরকম
পরিস্থিতি দেখে মেয়ে সবকিছু খুলে বলে তাদেরকে। এরপর
তারা বিষয়টি জানায় স্থানীয় থানা এবং ডিবি পুলিশকে। ওই
অভিযোগের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ মঙ্গলবার
ভোরে বখতিয়ারকে আটক করে।
কে এই বখতিয়ার
ধানমণ্ডির ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির
(ইউআইইউ) কম্পিউটার সায়েন্সের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র
বখতিয়ার ইসলাম । বাসায় পঙ্গু বাবা। এসএসসি ও
এইচএসসিতে গোল্ডেন ‘এ প্লাস’ পাওয়া মেধাবী এ ভাইটির
পড়াশোনার খরচ যোগাতে নিজের পড়াশোনাটাই ছেড়ে দেন
তার বড়ভাই। দেখতে-শুনতে, চলনে-বলনে,
কথোপোকথনে বেশ পটু বখতিয়ার। কিন্তু
সৎভাবে বেঁচে থাকার জন্য যে মানসিক জোর থাকা প্রয়োজন
শুধুমাত্র সেটাই ছিল না তার। তাই বেছে নেয় অভিনব এক
প্রতারণার ফাঁদ। নিজের বাকপটুতা আর
চেহারাকে পুঁজি করে ফেসবুকের
মাধ্যমে ফাঁদে ফেলতে থাকে ধনীর আদরের দুলালিদের।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, বখতিয়ার ওই নগ্ন ছবি নিজের
জিমেইল ও ইয়াহু অ্যাকাউন্টে সংরক্ষণ করে রেখেছে। তাই
কোনোভাবেই ওই ছবি সম্পূর্ণ মুছে ফেলা সম্ভব নয়। তার
ল্যাপটপ থেকে আরেকটি মেয়ের বেশকিছু নগ্ন ছবি উদ্ধার
করেছে পুলিশ। এছাড়া তার আরো ৫/৬টি মেয়ে বান্ধবীর
সঙ্গে ঘনিষ্ট ছবিও উদ্ধার করা হয়েছে।
বখতিয়ার জানায়, সেমিস্টার ফি’র টাকা সংগ্রহের জন্য
সে এই কাজটি করেছে। সে স্বীকার করে, ২০১০ সাল
থেকে ছাত্রীটির সঙ্গে তার সম্পর্ক। এছাড়া দ্বিতীয়
মেয়েটির সঙ্গে তার পরিচয় ২০১৩ সাল থেকে।
বখতিয়ার আরো জানায়, তার বাবা একসময়
সৌদি আরবে শ্রমিকের কাজ করতেন।
বর্তমানে তিনি প্যারালাইজড। একমাত্র বড় ভাই তার
পড়াশোনার জন্য নিজের পড়াশোনা বন্ধ করে স্বল্প বেতনের
চাকরি করছেন।
ভাইয়ের এমন কর্মকাণ্ডে হতবিহবল তার বড়ভাইও।
গোয়েন্দা পুলিশের সামনে ছোট ভাইয়ের পা ধরে তিনি বার
বার বলতে থাকেন, ‘তুই সবকিছু দিয়ে দে পুলিশকে।
না হলে তোকে আমরা বাঁচাতে পারবো না।’ কিন্তু বড়
ভাইয়ের এমন আকূতিও মন গলাতে পারেনি বখতিয়ারের।
কারণ বখতিয়ার এখন পর্যন্ত তার জিমেইল ও ইয়াহু
অ্যাকাউন্ট নম্বরের পাসওয়ার্ড পুলিশকে দিতে রাজি হয়নি।
এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন ‘এ প্লাস’
পাওয়া মেধাবী ছাত্র বখতিয়ারের এমন জঘন্য কাজে হতভম্ব
খোদ গোয়েন্দারাও। দেখতে সুদর্শন, সহজ-সরল চেহারার
বখতিয়ার প্রথমে গোয়েন্দাদের কাছে সবকিছু অস্বীকার
করে। তার অভিনয়ে প্রথমে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ের
গোয়েন্দারাও। পরবর্তীতে সবকিছু স্বীকার করে সে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ফেসবুকের মাধ্যমে এ ধরনের
প্রতারণার অভিযোগ প্রায়ই তাদের কাছে আসছে। কিন্তু
যখন এসব অভিযোগ আসে এরপর অভিযুক্তকে আটক
ছাড়া তাদের আর বেশি কিছু করার থাকে না।
সাম্প্রতিক সময়ের আরেকটি উদাহরণ দিয়ে ওই
কর্মকর্তা বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র
ধরে এক যুগল স্বেচ্ছার নিজেদের যৌন মিলনের ভিডিও
করে। ১৭ মিনিটের ওই ভিডিওটি এক সময় কাল হয়ে দাঁড়ায়
মেয়েটির। ছেলেটি ওই ভিডিওর মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল
করে মেয়েটিকে। হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। আর ওই
মেয়েটির বাবা বিদেশ থাকেন। বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থেই
মা-মেয়ে দেশে বিলাশী জীবনযাপন করেন।
গোয়েন্দাদের ভাষ্য মতে, পরিবার থেকে সন্তানদের
নিয়ন্ত্রণ করা না হলে কিংবা তাদেরকে সামাজিক ও ধর্মীয়
No comments:
Post a Comment