চুম্বনের অনুভূতি যতই মোহনীয় হোক
না কেন, এর
মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে যেতে পারে একজন
থেকে আরেকজনের শরীরে। বিশেষ
করে “ফ্রেঞ্চ কিস”
ব্যাপারটি এভাবে ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর জন্য খুবই
সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্রেঞ্চ কিস
এর মাধ্যমে একজন মানুষের মুখে প্রবেশ
করতে পারে কয়েক মিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া।
নেদারল্যান্ডের এই গবেষণায় দেখা যায়, ১০
সেকেন্ড স্থায়িত্বের একটি চুম্বনের
কারণে প্রায় ৮০ মিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ
করতে পারে একজন মানুষের মুখে। এই
গবেষণায় আরও জানা যায়, যেসব
জুটি দিনে কমপক্ষে নয়বার একে ওপরকে চুম্বন
করে থাকে, তাদের মুখের ভেতরে একই
ধরণের ব্যাকটেরিয়ার বসতি দেখা যায়।
ইউনিভার্সিটি অফ আমস্টারডামের অধ্যাপক
রেমকো কর্ট এর মতে, চুম্বনের
সময়ে মুখে অনেক
বেশি পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে ঠিকই
কিন্তু এর মাঝে অল্প কিছু আসলে মানুষের
শরীরে বসতি গেড়ে থাকার ক্ষমতা রাখে।
১০০ ট্রিলিয়নেরও বেশি অণুজীব মানুষের
শরীরের ওপর এবং শরীরের ভেতরে বসবাস
করে। এসব ব্যাকটেরিয়ার
বসতিকে একত্রে বলা হয়ে থাকে মাইক্রোবায়োম।
এসব ব্যাকটেরিয়া আমাদের খাদ্য হজম, পুষ্টি উপাদান
তৈরি এবং রোগ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন উপকার
করে থাকে। এই বসতি কি কি জীবাণু নিয়ে গঠিত
তা নির্ভর করে থাকে বংশগতি, খাদ্যভ্যাস
এবং বয়সের ওপর। কিন্তু নতুন এই গবেষণায়
দেখা যাচ্ছে, চুম্বনের ওপরে নির্ভর করেও এই
মাইক্রোবায়োমের উপাদান।
আমস্টারডামের আরটিস রয়াল চিড়িয়াখানায়
হেঁটে বেড়ানো ২১ টি জুটির ওপরে এই
গবেষণা করা হয়। এর মাঝে এক জুটি ছিলেন
সমপ্রেমী। তারা গত বছরে কতো বার
এবং কতো ঘন ঘন চুম্বন করে থাকেন, শেষ
কবে তারা চুম্বনে অংশগ্রহণ করেন তার
ওপরে তথ্য নেওয়া হয়। এ ছাড়াও প্রত্যেকের
জিহ্বা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়
এবং একটি চুম্বনের আগে এবং পরে তাদের
স্যালাইভার নমুনা নেওয়া হয়।
গবেষণা থেকে দেখা যায়, মুখের ভেতরে বাস
করে সাতশোরও বেশি ধরণের ব্যাকটেরিয়া।
আর যেসব জুটি নিয়মিত চুম্বনে অভ্যস্ত, তাদের
মুখের মাইক্রোবায়োম একই ধরণের
হয়ে থাকে। চুম্বনের পর পরই তাদের মুখের
মাইক্রোবায়োমে সবচাইতে বেশি মিল থাকে।
সময়ের সাথে এই মিল কমতে থাকে।
তবে স্বাস্থ্যের ওপর এমন চুম্বনের
কি কোনো প্রভাব আছে কিনা তা এই গবেষণায়
পরিষ্কার নয়।
(মূল: Laura Geggel, Live Science)
না কেন, এর
মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে যেতে পারে একজন
থেকে আরেকজনের শরীরে। বিশেষ
করে “ফ্রেঞ্চ কিস”
ব্যাপারটি এভাবে ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর জন্য খুবই
সহায়ক। গবেষণায় দেখা গেছে, ফ্রেঞ্চ কিস
এর মাধ্যমে একজন মানুষের মুখে প্রবেশ
করতে পারে কয়েক মিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া।
নেদারল্যান্ডের এই গবেষণায় দেখা যায়, ১০
সেকেন্ড স্থায়িত্বের একটি চুম্বনের
কারণে প্রায় ৮০ মিলিয়ন ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ
করতে পারে একজন মানুষের মুখে। এই
গবেষণায় আরও জানা যায়, যেসব
জুটি দিনে কমপক্ষে নয়বার একে ওপরকে চুম্বন
করে থাকে, তাদের মুখের ভেতরে একই
ধরণের ব্যাকটেরিয়ার বসতি দেখা যায়।
ইউনিভার্সিটি অফ আমস্টারডামের অধ্যাপক
রেমকো কর্ট এর মতে, চুম্বনের
সময়ে মুখে অনেক
বেশি পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে ঠিকই
কিন্তু এর মাঝে অল্প কিছু আসলে মানুষের
শরীরে বসতি গেড়ে থাকার ক্ষমতা রাখে।
১০০ ট্রিলিয়নেরও বেশি অণুজীব মানুষের
শরীরের ওপর এবং শরীরের ভেতরে বসবাস
করে। এসব ব্যাকটেরিয়ার
বসতিকে একত্রে বলা হয়ে থাকে মাইক্রোবায়োম।
এসব ব্যাকটেরিয়া আমাদের খাদ্য হজম, পুষ্টি উপাদান
তৈরি এবং রোগ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন উপকার
করে থাকে। এই বসতি কি কি জীবাণু নিয়ে গঠিত
তা নির্ভর করে থাকে বংশগতি, খাদ্যভ্যাস
এবং বয়সের ওপর। কিন্তু নতুন এই গবেষণায়
দেখা যাচ্ছে, চুম্বনের ওপরে নির্ভর করেও এই
মাইক্রোবায়োমের উপাদান।
আমস্টারডামের আরটিস রয়াল চিড়িয়াখানায়
হেঁটে বেড়ানো ২১ টি জুটির ওপরে এই
গবেষণা করা হয়। এর মাঝে এক জুটি ছিলেন
সমপ্রেমী। তারা গত বছরে কতো বার
এবং কতো ঘন ঘন চুম্বন করে থাকেন, শেষ
কবে তারা চুম্বনে অংশগ্রহণ করেন তার
ওপরে তথ্য নেওয়া হয়। এ ছাড়াও প্রত্যেকের
জিহ্বা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়
এবং একটি চুম্বনের আগে এবং পরে তাদের
স্যালাইভার নমুনা নেওয়া হয়।
গবেষণা থেকে দেখা যায়, মুখের ভেতরে বাস
করে সাতশোরও বেশি ধরণের ব্যাকটেরিয়া।
আর যেসব জুটি নিয়মিত চুম্বনে অভ্যস্ত, তাদের
মুখের মাইক্রোবায়োম একই ধরণের
হয়ে থাকে। চুম্বনের পর পরই তাদের মুখের
মাইক্রোবায়োমে সবচাইতে বেশি মিল থাকে।
সময়ের সাথে এই মিল কমতে থাকে।
তবে স্বাস্থ্যের ওপর এমন চুম্বনের
কি কোনো প্রভাব আছে কিনা তা এই গবেষণায়
পরিষ্কার নয়।
(মূল: Laura Geggel, Live Science)
No comments:
Post a Comment