আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস)
আইনে মুক্তিযুদ্ধকালে অপরাধী সংগঠন
হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে মামলা ও বিচার
করা আপাতত সম্ভব নয়৷
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক তিনটি কারণ উল্লেখ
করে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে এ কথা বলেন৷
জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে মামলার
প্রস্তুতি হিসেবে সাত মাস ধরে তদন্ত হয়েছে৷ দুই মাস
ধরে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ প্রস্তুতির কাজ চলছিল৷ এ
অবস্থায় মন্ত্রীর এই বক্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে, সরকার
কি তাহলে জামায়াতের বিচার করার উদ্যোগ
থেকে সরে আসছে?
আইনমন্ত্রী যে তিনটি কারণ উল্লেখ করেছেন
সেগুলো হল—প্রথমত, আন্তর্জাতিক অপরাধ
(ট্রাইব্যুনালস) আইন, ১৯৭৩-এ সংগঠনের শাস্তির বিধান
নেই।
দ্বিতীয়ত, জামায়াতের নিবন্ধনের
ব্যাপারে একটি মামলা ইতিমধ্যে আপিল বিভাগে আছে৷
এর মধ্যে ট্রাইব্যুনালের আইনে কোনো অভিযোগ
আনা হলে ওই মামলায় কোনো প্রভাব পড়বে কি না,
তা দেখতে হবে৷ এই পর্যায়ে আইনমন্ত্রী বলেন,
‘আমি মনে করি, প্রভাব পড়বে৷ এখন এসব অন্যান্য
পারিপার্শ্বিক দিক বিবেচনা করে এগিয়ে যেতে হবে৷
সে ক্ষেত্রে সময় লাগবে৷’
তৃতীয়ত, অন্যান্য আইনে বলা আছে, যদি কোনো সংগঠন,
প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি অপরাধ করে, তবে ওই সংগঠন
বা প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন
কর্মকর্তা বা নিয়ন্ত্রককে দায়দায়িত্ব
নিতে হবে এবং দায়ী কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।
জামায়াতের যেসব
নেতা মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন,
তাঁদের ইতিমধ্যে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে।
সে ক্ষেত্রে দ্বিতীয়বারের মতো তাঁদের আবার
শাস্তি হলে তা আগের শাস্তির সঙ্গে সাংঘর্ষিক
হবে কি না, তা বিবেচনা করতে হবে।
সম্প্রতি ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের
অন্তর্দ্বন্দ্বে জামায়াতের
বিরুদ্ধে মামলা করা নিয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়। এসব
বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন,
‘মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করতে সরকার
বদ্ধপরিকর, কিন্তু অবশ্যই আইনের সুনির্দিষ্ট বিধান
প্রতিপালন করে। বিচার যাতে কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ
না হয়, সে জন্য এসব ব্যাপারে আইনের অবস্থান আরও
স্পষ্ট করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সবকিছু
বিবেচনা করে জামায়াতকে রাজনৈতিক দল
হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর বিষয়টি আরও
ভাবনাচিন্তা করে নিতে হবে। এখন সেটার সময় নয়৷ আজ
জামায়াতের বিরুদ্ধে মামলা হবে, কাল আইন পরিবর্তন
করা হবে, আমি এর পক্ষে নই।
আমাকে সারা পৃথিবীতে ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে কাদের
মোল্লার ব্যাপারে। কোনো বিষয়ে কেউ প্রশ্ন তুলুক,
আমি তা চাই না।’
‘জামায়াতের সঙ্গে সরকারের সমঝোতা’
বিষয়ে আলোচনা ও সন্দেহ আছে৷ এখন বিচার
থেকে পিছিয়ে গেলে আওয়ামী লীগ কী জবাব দেবে—এমন
প্রশ্নে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘জামায়াতের
সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো আলাপ-
আলোচনা হতে পারে না৷ কোনো সমঝোতার প্রশ্নই
ওঠে না৷ কারণ, আওয়ামী লীগ মূলত যে দুটো স্তম্ভের
ওপর
Posted via Blogaway
No comments:
Post a Comment