স্পোর্টস ডেস্ক : বসনিয়ার বিশ্বকাপে খেলার
স্বপ্নপূরন হবে এটা তেমন করে কেউই ভাবেনি।
এই দলটির বিশ্বকাপে ওঠার
সম্ভাবনাকে কাগজে-কলমে উড়িয়েই
দেয়া হচ্ছিল। কিন্তু সমালোচকদের বুড়ো আঙুল
দেখিয়ে পুরো কোয়ালিফাইং পর্বে দশ ম্যাচ
জিতে গ্রুপের শীর্ষে থাকে বসনিয়া।
অনেকে বলছিলেন দক্ষিন-পূর্ব ইউরোপেরি এই
দেশটির বিশ্বকাপে যাওয়াটা অঘটন ছাড়া কিছুই
নয়। প্রাক বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ম্যাচের পর অবশ্য
হাওয়া ঘুরেছে। যেখানে মেক্সিকো,
আইভরি কোস্টের মতো দলকে নাস্তানাবুদ
করে ছেড়েছে বসনিয়া। যারপরনাই
সমালোচকরা ভিন্ন সুর তুলেছেন।
সাম্বার দেশে এখন বিশ্বকাপের বড় চমক
ধরা হচ্ছে বসনিয়াকে। যাদের আক্রমনাত্মক ফুটবল
যে কোন দলের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
বসনিয়ার কোচ সুসিচের কাছে তার দলের জয়ের
মেজাজে বিশ্বকাপ শুরুর কারণ, প্রতিটা ফুটবলারের
সংঘবদ্ধতা। তারা দেখিয়েছে, একজোট
হয়ে খেলতে পারলে যে কোন দলের বিপক্ষে জয়
ছিনিয়ে আনা সম্ভব।
সুসিচ বলেন, “আমি কাউকে ছোট করে দেখছিনা।
সবাই আমার কাছে এক। এরা সবাই বসনিয়ান।”
তিনি আরো বলেন, “বিশ্বকাপে খেলার
যোগ্যতা অর্জন পর্বে শুধু প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই
নয়, দেশের রাজনৈতিক সমস্যার সঙ্গেও লড়াই
করতে হয়েছে আমার দলকে। কিছুদিন আগ পর্যন্ত
সাসপেন্ড ছিল বসনিয়ার ফুটবল ফেডারেশন।”
বসনিয়ার কোচ বলেন, বসনিয়ায় তিনজন
প্রেসিডেন্ট। একজন সার্ব, আরেকজন ক্রোট
এবং অন্যজন বসনিয়ান। তাই ফুটবল দলেও সবার
রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা। একে অপরের
সঙ্গে যেন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে না পড়েন সেই
পরিস্থিতিও সামলাতে হয়েছে। কাজটা সহজ
ছিলনা। কিন্তু আমরা পেরেছি।”
কোচের মতোই আত্মবিশ্বাসী বসনিয়া দলের অন্যতম
খেলোয়ার ম্যানচেষ্টার সিটির জেকো।
তিনি বলেন, “বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য
আমরা তৈরি।”
বসনিয়ার জনসংখ্যা সর্বসাকুল্যে চল্লিশ লাখ।
নিজেদের অভিষেক ম্যাচেই
অপেক্ষা করছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।
তবে অসীম প্রতিকূলতার মাঝেও ‘রূপকথার গল্প’
তৈরি করতে কোমর বাঁধছে বসনিয়া-
হার্জেগোভিনা। এবার দেখার পালা বসনিয়ার এই
রূপকথার গল্প কত দূর এগোয়!
Posted via BN24Hour
No comments:
Post a Comment