বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির
রিজভী বলেছেন, জিয়াউর রহমানের হত্যার
ষড়যন্ত্রকারীদের পরিচয় প্রকাশ
পেলে ভবিষ্যতে আরও অভিযোগ উঠবে। শেখ
হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার ১৩
দিনের মাথায় কেন জিয়াউর রহমান খুন
হলেন সে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয়
কার্যালয়ে এক সংবাদ
সম্মেলনে রিজভী এই প্রশ্ন তোলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান
বেঁচে থাকলে তাঁকেও বঙ্গবন্ধু হত্যার
আসামি করা হতো বলে প্রধানমন্ত্রী যে ব
সম্প্রতি দিয়েছেন, তার সমালোচনা করেন
বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বে থাকা এই
নেতা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ
করে রিজভী বলেন, ‘জিয়াকে হত্যার
পরিকল্পনা নিয়ে ভারতের
একটি পত্রিকা ডেইলি সানডেতে একটি প্রতিবেদ
প্রকাশিত হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে।
সেটা নিয়েও কিন্তু জনমনে অনেক প্রশ্নের জন্ম
হয়েছে। কেন আপনি বাংলাদেশে ঢোকার ১৩
দিনের মাথায় জিয়াউর রহমান খুন হলেন?
আর সেদিন আপনি বোরকা পরে বাংলাদেশের
একটি সীমান্তে উপস্থিত হয়ে সীমান্ত
পাড়ি দিতে চাচ্ছিলেন, কেন? কোনো সত্য
কখনোই ঢাকা দেওয়া যায়
না এবং সত্য কখনো অতীত হয় না।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১
সালের ১৭ মে দেশে ফিরেন তাঁর
মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা। একই বছরের ৩০ মে চট্টগ্রাম
সার্কিট হাউসে কিছু
বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে খুন হন
সে সময়ের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল
ইসলাম আলমগীরও বলেছিলেন, শেখ
হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের
সঙ্গে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের
কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা নিয়ে জনগণের
মনে প্রশ্ন আছে।
আওয়ামী লীগের যেসব নেতা বিএনপির
বিরুদ্ধে ‘কুত্সা’ রটাচ্ছেন তাঁদের
সম্পর্কে সতর্ক থাকতে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
তিনি বলেন, ‘যাঁরা অতি উঁচু গলায়
বিএনপি ও জিয়া পরিবারের
বিরুদ্ধে কুত্সা রটিয়ে নির্মম আক্রমণ চালিয়ে,
রক্ত ঝরিয়ে প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে নিজেদের
নেত্রীকে খুশি করছেন, তাঁদের সম্পর্কেও
আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনার সতর্ক
থাকা প্রয়োজন। ঠিক ’৭২-৭৫-এ
যাঁরা জোর গলায় মরহুম শেখ মুজিবুর
রহমানের গুণকীর্তন করতেন, তাঁদেরকেই
দেখা গেছে ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত
তাঁর মন্ত্রিসভায় অবস্থান করতে। তাঁদের
অনেকেই শেখ মুজিবের লাশ ডিঙিয়ে মন্ত্রিসভায়
পদসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে অভিষিক্ত হয়েছেন।’
রিজভী অভিযোগ করেন, ৯ জুন অনুষ্ঠেয়
নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-সমর্থিত
প্রার্থীর
পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর
সময় ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীরা’ আক্রমণ
চালিয়েছে।
রিজভী বলেন, দেশব্যাপী খুনোখুনি,
রক্তারক্তির মধ্য দিয়ে যে ভয়ংকর নৈরাজ্য
সৃষ্টি করেছে তাতে আওয়ামী লীগের
যুক্তিসংগত বক্তব্যের উপাদান নিঃশেষ
হয়ে গেছে। তাই বোবা বা তোতলারা যেমন
কথা বলতে না পেরে ক্রোধে সবাইকে অস্থির
করে তোলে, আওয়ামী লীগেরও হয়েছে সেই
একই অবস্থা।
Posted via BN24Hour
No comments:
Post a Comment