Headlines



gazitv2

w41j

gazitv

Sunday, November 23, 2014

জীবনরক্ষাকরী ওষুধের নামে চলছে মহাপ্রতারণা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা : স্কয়ার, এসিআই, বেক্সিমকো ও
এসকেএফ’র মত বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের
ব্রান্ড ওষুধ অবিকল মোড়কে কিছু অসাধু প্রতিষ্ঠান
নকল ওষুধ বাজারে বিক্রি করছে বলে স্বীকার
করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
রোববার দশম জাতীয় সংসদের চতুর্থ
অধিবেশনে এ আবদুল লতিফের এক লিখিত
প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য
জানান।
প্রশ্নকর্তা তার প্রশ্নে বলেন, “এটা সত্য
কি না যে, জীবনরক্ষাকরী ওষুধের
নামে চলছে মহাপ্রতারণা। স্বল্প পরিচিত
কিংবা নামসর্বস্ব কোম্পানি নয় স্কয়ার, এসিআই,
বেক্সিমকো ও এসকেএফ’র মত প্রতিষ্ঠিত
ব্রান্ডের নাম লাগিয়ে হুবহু নকল করে ওষুধ বাজার
জাত করা হচ্ছে?”
প্রশ্নকর্তার এমন অভিযোগ স্বীকার
করে মন্ত্রী বলেন, “এসব নকল ওষুধ অনেক
ক্ষেত্রে আটা ও ময়দা ইত্যাদি ভেজাল
দিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। ভেজাল ও নকল ওষুধ
প্রতিরোধে পরিকল্পনা ও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ
গ্রহণ করা হয়েছে এবং এ ব্যবস্থা চলমান।
দেশে নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত
করার বিরুদ্ধে সরকারের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর
সর্বদায় সচেষ্ট আছে এবং সরকার এ
ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করছে। ওষুধ
প্রশাসন অধিদফতরের প্রধান কার্যালয় ও
জেলা পর্যায়ে কর্মরত
কর্মকর্তারা বর্তমানে প্রতি সপ্তাহেই ঢাকাসহ
দেশের বিভিন্ন জেলার মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত
ওষুদের নকল ও ভেজাল বিরোধী অভিযান
পরিচালনা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক
ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “ওষুধ আইন লঙ্ঘনের
দায়ে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের
মাধ্যমে নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন/
বিক্রয়কারী ৪৬৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে চলতি বছর
জানুয়ারি হতে অক্টোবর পর্যন্ত ৬৮ লাখ ৩৬ হাজার
৫০০ টাকা জরিমানা আদায় ও সংশ্লিষ্ট ৩৭ জনকে বিভিন্ন
মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ৩৯টি নকল ও ভেজাল ওষুধ উৎপাদন/
বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ওষুধ
আদালতে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।”
একই প্রশ্নকর্তার আরেকটি প্রশ্নর
উত্তরে মন্ত্রী সংসদকে জানান, অস্ত্র প্রচার ও
জটিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত ওষুদের দাম
অত্যাধিক কথাটি আংশিক সত্য। দেশীয় ওষুধ
উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো শতকরা ৯৭ ভাগ ওষুধ
উৎপাদন করে এবং তিন ভাগ উচ্চ প্রযুক্তির জীবন
রক্ষাকারী ওষুধ আমদানী রা হয়।
আমদানিকরা ওষুধের মূল্য কিছুটা বেশি। তবে সরকার
দেশে উৎপাদিত ১১৭টি ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণ
করে থাকে।

No comments: