ডেস্ক :
হ্যা… একান্ত অভিমানে গতকাল শনিবার
বেলা ১১টা ২৭ মিনিট ২৮
সেকেন্ডে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম! আমার
শূন্যতা তোমাদের কতটা বিচলিত করে তুলেছিল
তা কিন্তু আমি দূর থেকে দেখেছি! কিন্তু
এতো বছরের জমা অভিমান বলে কথা! তাই
আমি প্রথম-প্রথম তোমাদের কারো ঘরেই
আসতে চাইনি! কল-কারখানা, অফিস-আদালত কোথাও
তোমরা আমাকে দেখতে পাওনি! রাজধানী ঢাকা সহ
সারা দেশকে মাত্র কয়েক ঘন্টায়
বুঝিয়ে দিয়েছি আমি কতটা গুরুত্বপূর্ণ!
তবে বিশ্বাস কর… হাসপাতালের ঐ নির্দোষ
রোগীদের কষ্ট দেয়ার ইচ্ছে আমার ছিলনা!
এবং আমি চাইনি তোমাদের
কোটি কোটি টাকা আমার শূন্যতায় ক্ষতি হউক!
আমি চাইনি অন্ধকার তোমাদের গ্রাস করুক! হ্যা…
একসময় যখন প্রকৃতিতে সন্ধ্যা নামলো তখন
আমি বিস্ময়ের সঙ্গে চমকে উঠলাম! তোমাদের
মোমবাতি আর পানি কেনার হিড়িক দেখে নিজের
কাছে নিজেকে অনেক বড় বেশি অপরাধী মনে হল!
কিন্তু মজার ব্যাপার হল আমার শূন্যতায় তোমাদের
প্রতিটি ঘরের টিভি, রেডিও, কিংবা অনলাইন
পত্রিকা যখন অচল ঠিক তখনই ঐ সব
গণমাধ্যমগুলো আমার শূন্যতার কথা ব্রেকিং নিউজ
হিশেবে প্রচার শুরু করল! অভিমানী মুখেও আমি কুট-
কুট করে হাসতে বাধ্য হলাম এই ভেবে যে,
প্রচারিত ব্রেকিং নিউজ কেউ
কি দেখতে পারছে আমার সংযোগ ছাড়া? সে যাই
হোক। মাঝে মাঝে খুব খারাপ লেগেছে তোমাদের
এলোমেলো কথা বার্তা শুনে! তোমরা কেউ বলেছ
আমি রাজনৈতিক কারনে লুকিয়েছি! কেউ বলেছ…
আমি অন্য কোন দেশের ষড়যন্ত্রে পালিয়েছি!
আসলে এসব মিথ্যা! আমি কেবলই তোমাদের অযত্ন আর
অবহেলায় ক্ষুদ্ধ হয়ে এ বিপর্যয় ঘটিয়েছি।
হ্যা… আমি হয়ত তোমাদের মত মানুষ নই!
তবে আমি তোমাদের সকলের নিত্য প্রয়োজনীয় এক
অনুষঙ্গ! আমার যত্ন নেয়া কিংবা আমায়
রক্ষণাবেক্ষণ করা কি তোমাদের দায়িত্ব নয় বলো?
এতো বছরের জমা অভিমান তাই আজ একটু পাগলামিই
করে ফেললাম! স্যরি… আমাকে তোমরা সবাই
ক্ষমা করে দিও!
হ্যা… আমি “বিদ্যুৎ” কথা দিচ্ছি যে,
আমি তোমাদের দেশকে অনেক দূর পৌঁছে দেব! সেই
সঙ্গে তোমাদের সকল অর্জন আর সম্ভাবনার
সারথি হব…
বিদায়।
‘কাল্পনিক রম্য’ লিখেছেন – এস এম আশিকুজ্জামান
সাবেক বিতার্কিক ও গণমাধ্যম কর্মী
ashik0sikder@gmail.com
হ্যা… একান্ত অভিমানে গতকাল শনিবার
বেলা ১১টা ২৭ মিনিট ২৮
সেকেন্ডে আমি হারিয়ে গিয়েছিলাম! আমার
শূন্যতা তোমাদের কতটা বিচলিত করে তুলেছিল
তা কিন্তু আমি দূর থেকে দেখেছি! কিন্তু
এতো বছরের জমা অভিমান বলে কথা! তাই
আমি প্রথম-প্রথম তোমাদের কারো ঘরেই
আসতে চাইনি! কল-কারখানা, অফিস-আদালত কোথাও
তোমরা আমাকে দেখতে পাওনি! রাজধানী ঢাকা সহ
সারা দেশকে মাত্র কয়েক ঘন্টায়
বুঝিয়ে দিয়েছি আমি কতটা গুরুত্বপূর্ণ!
তবে বিশ্বাস কর… হাসপাতালের ঐ নির্দোষ
রোগীদের কষ্ট দেয়ার ইচ্ছে আমার ছিলনা!
এবং আমি চাইনি তোমাদের
কোটি কোটি টাকা আমার শূন্যতায় ক্ষতি হউক!
আমি চাইনি অন্ধকার তোমাদের গ্রাস করুক! হ্যা…
একসময় যখন প্রকৃতিতে সন্ধ্যা নামলো তখন
আমি বিস্ময়ের সঙ্গে চমকে উঠলাম! তোমাদের
মোমবাতি আর পানি কেনার হিড়িক দেখে নিজের
কাছে নিজেকে অনেক বড় বেশি অপরাধী মনে হল!
কিন্তু মজার ব্যাপার হল আমার শূন্যতায় তোমাদের
প্রতিটি ঘরের টিভি, রেডিও, কিংবা অনলাইন
পত্রিকা যখন অচল ঠিক তখনই ঐ সব
গণমাধ্যমগুলো আমার শূন্যতার কথা ব্রেকিং নিউজ
হিশেবে প্রচার শুরু করল! অভিমানী মুখেও আমি কুট-
কুট করে হাসতে বাধ্য হলাম এই ভেবে যে,
প্রচারিত ব্রেকিং নিউজ কেউ
কি দেখতে পারছে আমার সংযোগ ছাড়া? সে যাই
হোক। মাঝে মাঝে খুব খারাপ লেগেছে তোমাদের
এলোমেলো কথা বার্তা শুনে! তোমরা কেউ বলেছ
আমি রাজনৈতিক কারনে লুকিয়েছি! কেউ বলেছ…
আমি অন্য কোন দেশের ষড়যন্ত্রে পালিয়েছি!
আসলে এসব মিথ্যা! আমি কেবলই তোমাদের অযত্ন আর
অবহেলায় ক্ষুদ্ধ হয়ে এ বিপর্যয় ঘটিয়েছি।
হ্যা… আমি হয়ত তোমাদের মত মানুষ নই!
তবে আমি তোমাদের সকলের নিত্য প্রয়োজনীয় এক
অনুষঙ্গ! আমার যত্ন নেয়া কিংবা আমায়
রক্ষণাবেক্ষণ করা কি তোমাদের দায়িত্ব নয় বলো?
এতো বছরের জমা অভিমান তাই আজ একটু পাগলামিই
করে ফেললাম! স্যরি… আমাকে তোমরা সবাই
ক্ষমা করে দিও!
হ্যা… আমি “বিদ্যুৎ” কথা দিচ্ছি যে,
আমি তোমাদের দেশকে অনেক দূর পৌঁছে দেব! সেই
সঙ্গে তোমাদের সকল অর্জন আর সম্ভাবনার
সারথি হব…
বিদায়।
‘কাল্পনিক রম্য’ লিখেছেন – এস এম আশিকুজ্জামান
সাবেক বিতার্কিক ও গণমাধ্যম কর্মী
ashik0sikder@gmail.com
No comments:
Post a Comment