ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি :
অবশেষে ঢাকা বিভাগ থেকে পৃথক
হয়ে আলাদা বিভাগ হচ্ছে ময়মনসিংহ
জেলা। দীর্ঘদিনের দাবি, আন্দোলন,
সংগ্রাম অবশেষে সফলতার মুখ
দেখতে যাচ্ছে ময়মনসিংহ। সেই
হিসেবে দেশের অষ্টম বিভাগীয়
নগরীতে উন্নীত হতে যাচ্ছে শিক্ষা ও
সংস্কৃতির শহর ময়মনসিংহ। খোদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ
থেকে এ সংবাদ উচ্চারিত হওয়ায়
আনন্দ বন্যায় ভাসছে ময়মনসিংহের
সর্বস্তরের মানুষ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুকে ও রাজপথেও
লেগেছে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের ঢেউ।
আনন্দের এ জোয়ারে ক্লান্তি নেই
কারো। এ উল্লাস হার
মানিয়েছে চলমান উত্তপ্ত
রাজনীতিকেও।
ময়মনসিংহ বিভাগ
বাস্তবায়নে সরকারের এ
সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন
জানিয়েছে ময়মনসিংহের সর্বস্তরের
মানুষ। অভিনন্দন বার্তায়
ভরে উঠেছে ফেসবুকের দেয়াল।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রতি।
ময়মনসিংহ বিজয় দিবসে এক
আলোচনা সভায় ময়মনসিংহ বিভাগ
হতে যাচ্ছে, এমন আশাবাদ উচ্চারণ
করেছিলেন ময়মনসিংহ পৌরসভার
মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
অন্যদিকে প্রধান বিরোধি দলীয়
নেত্রী রওশন এরশাদ বলেছেন,
অতীতে রাজনৈতিক
দলগুলো ময়মনসিংহ বিভাগ
দাবিকে সমর্থন করলেও কোন সরকার
করেনি ময়মনসিংহ বিভাগ। ভোটের
সময় আশ্বাস-প্রতিশ্রুতিতেই ঘুরপাক
খেয়েছে এ অঞ্চলের প্রায় ৩
কোটি মানুষের স্বপ্ন। তবুও আশায়
বেঁধেছে বুক। অবশেষে প্রতীক্ষার প্রহর
কেটেছে। দিনবদলের
পানসিতেচড়েময়মনসিংহবাসীপেতেযাচ্ছেপ্রাণের
বিভাগ।
এদিকে, জেগে উঠো ময়মনসিংহের
ব্যানারে ময়মনসিংহ বিভাগের
দাবিতে দীর্ঘসময়
প্রচারণা চালিয়েছিল একদল তরুণ
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। এদের একজন
জামান পায়েল নিজের
ওয়ালে লিখেছেন ‘কয়েক
কোটি মানুষের প্রাণের দাবি আজ
পূরণ হলো। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
‘এই মাত্র খবর এলো,
প্রধানমন্ত্রী বিভাগ দিলো’ গত
সোমবার রাতে শহরের গাঙ্গিনারপাড়
মোড় এলাকায় বের
হওয়া একটি মিছিলের শ্লোগান
ছিলো এটি। উৎসবের আবহে মিছিলের
সঙ্গে সুর মেলাচ্ছিলো পথচারীরাও।
ময়মনসিংহ বিভাগ দাবিতে প্রায়
তিন দশক ধরে আন্দোলন করা সংগঠন
ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনও
ওই রাতে শহরে আনন্দ মিছিল করে।
এর আগে গত ১২
জানুয়ারী মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ
বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের
সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার
সাপ্তাহিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ
সিদ্ধান্ত দেন বলে বৈঠক
সূত্রে জানা গেছে। এ
ছাড়া মন্ত্রিসভা বৈদেশিক
মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন-২০১৫
এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন
দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ
সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন
ভূইঞা।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সিনিয়র
মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,
বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায়
ময়মনসিংহ সদরের সংসদ সদস্য ও
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান
ময়মনসিংহকে বিভাগ করার প্রস্তাব
উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবের
পরিপ্রেক্ষিতেপ্রধানমন্ত্রীতাৎক্ষণিক
ময়মনসিংহকে বিভাগ করার
বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত
জানিয়ে দেন। নাম প্রকাশ না করার
শর্তে মন্ত্রিসভার একজন সিনিয়র
সদস্য বলেন, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান
বিভাগ করার প্রসঙ্গটি উত্থাপন
করলে তাতে আপত্তি জানান
শ্রমবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক
চুন্নু। তিনি বলেন,
ময়মনসিংহকে বিভাগ করা হলে তার
নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ এর সঙ্গে যুক্ত
হবে না। এ সময় স্থানীয় সরকার
মন্ত্রী কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত
সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল
ইসলাম কোনো কথা বলেননি।
একটি সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ,
জামালপুর, শেরপুর,
নেত্রকোনা এবং কিশোরগঞ্জ
জেলা নিয়ে এ বিভাগ গঠিত হবে। এর
বাইরে টাঙ্গাইল জেলাও অন্তর্ভুক্ত
থাকতে পারে।এদিকে নাম প্রকাশ
না করার শর্তে মন্ত্রিসভার অপর
একজন সদস্য বলেন, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ
মতিউর রহমান ময়মনসিংহ মেডিকেল
কলেজের নাম পরিবর্তন করে ড.
ওয়াজেদ মিয়ার নামানুসারে রাখার
প্রস্তাব করেন। এ সময়
প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ধর্মমন্ত্রীর
কাছে জানতে চান, কেন ওয়াজেদ
মিয়ার নামে মেডিকেল কলেজের
নামকরণ করতে হবে? এই
কলেজটিতে ওয়াজেদ মিয়ার অবদান
কি? মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য
জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ছিলেন বেশ উৎফুল্ল
এবং হাসিখুশি। তাকে হরতাল-অবরোধ
নিয়ে মোটেই চিন্তিত মনে হয়নি।
বৈঠক সূত্র জানায়, এসব সমস্যা দ্রুতই
কেটে যাবে বলে মনে করেন
প্রধানমন্ত্রী। গতকাল
মন্ত্রিসভাবৈঠকেবিএনপিচেয়ারপারসন
বেগম খালেদা জিয়ার অতীত
নিয়ে একাধিক সদস্য বিচ্ছিন্ন
আলোচনা করেন। তবে এসব আলোচনায়
প্রধানমন্ত্রী অংশ নেননি।
অবশেষে ঢাকা বিভাগ থেকে পৃথক
হয়ে আলাদা বিভাগ হচ্ছে ময়মনসিংহ
জেলা। দীর্ঘদিনের দাবি, আন্দোলন,
সংগ্রাম অবশেষে সফলতার মুখ
দেখতে যাচ্ছে ময়মনসিংহ। সেই
হিসেবে দেশের অষ্টম বিভাগীয়
নগরীতে উন্নীত হতে যাচ্ছে শিক্ষা ও
সংস্কৃতির শহর ময়মনসিংহ। খোদ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ
থেকে এ সংবাদ উচ্চারিত হওয়ায়
আনন্দ বন্যায় ভাসছে ময়মনসিংহের
সর্বস্তরের মানুষ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুকে ও রাজপথেও
লেগেছে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের ঢেউ।
আনন্দের এ জোয়ারে ক্লান্তি নেই
কারো। এ উল্লাস হার
মানিয়েছে চলমান উত্তপ্ত
রাজনীতিকেও।
ময়মনসিংহ বিভাগ
বাস্তবায়নে সরকারের এ
সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন
জানিয়েছে ময়মনসিংহের সর্বস্তরের
মানুষ। অভিনন্দন বার্তায়
ভরে উঠেছে ফেসবুকের দেয়াল।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রতি।
ময়মনসিংহ বিজয় দিবসে এক
আলোচনা সভায় ময়মনসিংহ বিভাগ
হতে যাচ্ছে, এমন আশাবাদ উচ্চারণ
করেছিলেন ময়মনসিংহ পৌরসভার
মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
অন্যদিকে প্রধান বিরোধি দলীয়
নেত্রী রওশন এরশাদ বলেছেন,
অতীতে রাজনৈতিক
দলগুলো ময়মনসিংহ বিভাগ
দাবিকে সমর্থন করলেও কোন সরকার
করেনি ময়মনসিংহ বিভাগ। ভোটের
সময় আশ্বাস-প্রতিশ্রুতিতেই ঘুরপাক
খেয়েছে এ অঞ্চলের প্রায় ৩
কোটি মানুষের স্বপ্ন। তবুও আশায়
বেঁধেছে বুক। অবশেষে প্রতীক্ষার প্রহর
কেটেছে। দিনবদলের
পানসিতেচড়েময়মনসিংহবাসীপেতেযাচ্ছেপ্রাণের
বিভাগ।
এদিকে, জেগে উঠো ময়মনসিংহের
ব্যানারে ময়মনসিংহ বিভাগের
দাবিতে দীর্ঘসময়
প্রচারণা চালিয়েছিল একদল তরুণ
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। এদের একজন
জামান পায়েল নিজের
ওয়ালে লিখেছেন ‘কয়েক
কোটি মানুষের প্রাণের দাবি আজ
পূরণ হলো। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’
‘এই মাত্র খবর এলো,
প্রধানমন্ত্রী বিভাগ দিলো’ গত
সোমবার রাতে শহরের গাঙ্গিনারপাড়
মোড় এলাকায় বের
হওয়া একটি মিছিলের শ্লোগান
ছিলো এটি। উৎসবের আবহে মিছিলের
সঙ্গে সুর মেলাচ্ছিলো পথচারীরাও।
ময়মনসিংহ বিভাগ দাবিতে প্রায়
তিন দশক ধরে আন্দোলন করা সংগঠন
ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনও
ওই রাতে শহরে আনন্দ মিছিল করে।
এর আগে গত ১২
জানুয়ারী মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ
বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের
সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার
সাপ্তাহিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ
সিদ্ধান্ত দেন বলে বৈঠক
সূত্রে জানা গেছে। এ
ছাড়া মন্ত্রিসভা বৈদেশিক
মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন-২০১৫
এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন
দিয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ
সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন
ভূইঞা।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সিনিয়র
মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,
বৈঠকে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায়
ময়মনসিংহ সদরের সংসদ সদস্য ও
ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান
ময়মনসিংহকে বিভাগ করার প্রস্তাব
উত্থাপন করেন। এ প্রস্তাবের
পরিপ্রেক্ষিতেপ্রধানমন্ত্রীতাৎক্ষণিক
ময়মনসিংহকে বিভাগ করার
বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত
জানিয়ে দেন। নাম প্রকাশ না করার
শর্তে মন্ত্রিসভার একজন সিনিয়র
সদস্য বলেন, অধ্যক্ষ মতিউর রহমান
বিভাগ করার প্রসঙ্গটি উত্থাপন
করলে তাতে আপত্তি জানান
শ্রমবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক
চুন্নু। তিনি বলেন,
ময়মনসিংহকে বিভাগ করা হলে তার
নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ এর সঙ্গে যুক্ত
হবে না। এ সময় স্থানীয় সরকার
মন্ত্রী কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত
সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল
ইসলাম কোনো কথা বলেননি।
একটি সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ,
জামালপুর, শেরপুর,
নেত্রকোনা এবং কিশোরগঞ্জ
জেলা নিয়ে এ বিভাগ গঠিত হবে। এর
বাইরে টাঙ্গাইল জেলাও অন্তর্ভুক্ত
থাকতে পারে।এদিকে নাম প্রকাশ
না করার শর্তে মন্ত্রিসভার অপর
একজন সদস্য বলেন, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ
মতিউর রহমান ময়মনসিংহ মেডিকেল
কলেজের নাম পরিবর্তন করে ড.
ওয়াজেদ মিয়ার নামানুসারে রাখার
প্রস্তাব করেন। এ সময়
প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ধর্মমন্ত্রীর
কাছে জানতে চান, কেন ওয়াজেদ
মিয়ার নামে মেডিকেল কলেজের
নামকরণ করতে হবে? এই
কলেজটিতে ওয়াজেদ মিয়ার অবদান
কি? মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য
জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা ছিলেন বেশ উৎফুল্ল
এবং হাসিখুশি। তাকে হরতাল-অবরোধ
নিয়ে মোটেই চিন্তিত মনে হয়নি।
বৈঠক সূত্র জানায়, এসব সমস্যা দ্রুতই
কেটে যাবে বলে মনে করেন
প্রধানমন্ত্রী। গতকাল
মন্ত্রিসভাবৈঠকেবিএনপিচেয়ারপারসন
বেগম খালেদা জিয়ার অতীত
নিয়ে একাধিক সদস্য বিচ্ছিন্ন
আলোচনা করেন। তবে এসব আলোচনায়
প্রধানমন্ত্রী অংশ নেননি।
No comments:
Post a Comment