লন্ডনের বাংলাদেশি অধ্যূষিত টাওয়ার হ্যামলেটস
কাউন্সিলের ছয়টি ইসলামিক স্কুলের কারিকুলাম
নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের
পরিদর্শকরা।
পরিদর্শন রিপোর্টে বলা হয়েছে, এসব
স্কুলের পাঠ্যক্রম অতিমাত্রায়
ইসলামী চিন্তা নির্ভর। স্কুলের ছাত্র-
ছাত্রীরা ব্রিটিশ আইন এবং ইসলামী শরিয়ার তফাৎ
পর্যন্ত বোঝে না।
অফস্ট্যাডের পরিদর্শকরা তাদের
রিপোর্টে আরও বলেছেন, এসব ইসলামিক
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের আর্ট, সঙ্গীত
বা নাট্যকলা বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয় না। ছাত্র-
ছাত্রীদের ধারণা, ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম
সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করাটা ভুল।
অফস্ট্যাড (অফিস ফর স্ট্যান্ডার্ডস ইন এডুকেশন,
চিল্ড্রেনস সার্ভিসেস এন্ড স্কিলস)
হচ্ছে ব্রিটেনে স্কুল শিক্ষার মান যাচাইয়ের
দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থা।
যে ছয়টি ইসলামিক স্কুলের ব্যাপারে অফস্ট্যাড এই
রিপোর্ট দিয়েছে, তার সবগুলোই বেসরকারি।
অফস্ট্যাড তাদের রিপোর্টে বলেছে,
সমাজে নারীর অবস্থান সম্পর্কে এসব স্কুলের
ছেলেরা একটি ‘সংকীর্ণ’ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে বড়
হচ্ছে।
পরিদর্শকদের কাছে কয়েকজন ছেলের
মন্তব্য ছিল, “মহিলারা বাড়ীতে থাকে,
ঘরবাড়ী পরিস্খার করে এবং ছেলে-মেয়েদের
দেখা-শোনা করে। তারা রান্না করে, নামাজ
পড়ে এবং অপেক্ষা করে কখন
আমরা হোমওয়ার্ক নিয়ে বাসায় ফিরবো।”
‘জামিয়াতুল উম্মাহ’ নামে একটি স্কুলের
ব্যাপারে অফস্ট্যাড রিপোর্টে বলা হয়,
“স্কুলটিতে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা এবং পালনের জন্য
ভালো-সুযোগ সুবিধা আছে। কিন্তু এটির
পাঠ্যক্রমের বিষয়সূচি এত বেশি সংকীর্ণ
যে শিক্ষার্থীরা যথাযথ আধ্যাত্মিক, নৈতিক, সামাজিক
এবং সাংস্কৃতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ
করে গণতন্ত্র, আইনের শাসন,
ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও
সহনশীলতার মতো মৌলিক ব্রিটিশ মূল্যবোধ
সম্পর্কে তাদের মধ্যে যথেষ্ট ধারণা নেই।“
অফস্ট্যাডের এই রিপোর্টের ব্যাপারে টাওয়ার
হ্যামলেটস কাউন্সিল কোন মন্তব্য
করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কাউন্সিলের
একজন মুখপাত্র বলেছেন, বেসরকারি ধর্মীয়
স্কুলের শিক্ষার মান দেখার দায়িত্ব অফস্ট্যাডের।
এক্ষেত্রে কাউন্সিলের কোন দায়িত্ব নেই।
উল্লেখ্য ব্রিটেনের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকার
স্কুলগুলোর ওপর সরকারের
নজরদারি বেড়েছে বার্মিংহ্যামের এক
স্কুলকে কেন্দ্র করে কথিত এক
ষড়যন্ত্রকে ঘিরে। বার্মিংহ্যামের এই স্কুলটির
নিয়ন্ত্রণ ইসলামী কট্টপন্থীরা তাদের
হাতে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছিল বলে অভিযোগ
উঠে।
এই প্রতিবেদন শেয়ার করুন
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEioPhKW8cG4LkQJ6xPen-nWqRbxyQrAkQOeLnAVgVxIWNtitXNfB19q9IP94Eo7EbZdNRwlwaaEImdyFQBWUayK5QMC-pfhUapFu0lc0bWbxSrazHjUuxVyxDuE8A_XMomiqA1Cq71_Xwo/s350/1416576570358.jpeg)
কাউন্সিলের ছয়টি ইসলামিক স্কুলের কারিকুলাম
নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের
পরিদর্শকরা।
পরিদর্শন রিপোর্টে বলা হয়েছে, এসব
স্কুলের পাঠ্যক্রম অতিমাত্রায়
ইসলামী চিন্তা নির্ভর। স্কুলের ছাত্র-
ছাত্রীরা ব্রিটিশ আইন এবং ইসলামী শরিয়ার তফাৎ
পর্যন্ত বোঝে না।
অফস্ট্যাডের পরিদর্শকরা তাদের
রিপোর্টে আরও বলেছেন, এসব ইসলামিক
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের আর্ট, সঙ্গীত
বা নাট্যকলা বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয় না। ছাত্র-
ছাত্রীদের ধারণা, ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্ম
সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করাটা ভুল।
অফস্ট্যাড (অফিস ফর স্ট্যান্ডার্ডস ইন এডুকেশন,
চিল্ড্রেনস সার্ভিসেস এন্ড স্কিলস)
হচ্ছে ব্রিটেনে স্কুল শিক্ষার মান যাচাইয়ের
দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থা।
যে ছয়টি ইসলামিক স্কুলের ব্যাপারে অফস্ট্যাড এই
রিপোর্ট দিয়েছে, তার সবগুলোই বেসরকারি।
অফস্ট্যাড তাদের রিপোর্টে বলেছে,
সমাজে নারীর অবস্থান সম্পর্কে এসব স্কুলের
ছেলেরা একটি ‘সংকীর্ণ’ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে বড়
হচ্ছে।
পরিদর্শকদের কাছে কয়েকজন ছেলের
মন্তব্য ছিল, “মহিলারা বাড়ীতে থাকে,
ঘরবাড়ী পরিস্খার করে এবং ছেলে-মেয়েদের
দেখা-শোনা করে। তারা রান্না করে, নামাজ
পড়ে এবং অপেক্ষা করে কখন
আমরা হোমওয়ার্ক নিয়ে বাসায় ফিরবো।”
‘জামিয়াতুল উম্মাহ’ নামে একটি স্কুলের
ব্যাপারে অফস্ট্যাড রিপোর্টে বলা হয়,
“স্কুলটিতে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা এবং পালনের জন্য
ভালো-সুযোগ সুবিধা আছে। কিন্তু এটির
পাঠ্যক্রমের বিষয়সূচি এত বেশি সংকীর্ণ
যে শিক্ষার্থীরা যথাযথ আধ্যাত্মিক, নৈতিক, সামাজিক
এবং সাংস্কৃতিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ
করে গণতন্ত্র, আইনের শাসন,
ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও
সহনশীলতার মতো মৌলিক ব্রিটিশ মূল্যবোধ
সম্পর্কে তাদের মধ্যে যথেষ্ট ধারণা নেই।“
অফস্ট্যাডের এই রিপোর্টের ব্যাপারে টাওয়ার
হ্যামলেটস কাউন্সিল কোন মন্তব্য
করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কাউন্সিলের
একজন মুখপাত্র বলেছেন, বেসরকারি ধর্মীয়
স্কুলের শিক্ষার মান দেখার দায়িত্ব অফস্ট্যাডের।
এক্ষেত্রে কাউন্সিলের কোন দায়িত্ব নেই।
উল্লেখ্য ব্রিটেনের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকার
স্কুলগুলোর ওপর সরকারের
নজরদারি বেড়েছে বার্মিংহ্যামের এক
স্কুলকে কেন্দ্র করে কথিত এক
ষড়যন্ত্রকে ঘিরে। বার্মিংহ্যামের এই স্কুলটির
নিয়ন্ত্রণ ইসলামী কট্টপন্থীরা তাদের
হাতে নেয়ার ষড়যন্ত্র করছিল বলে অভিযোগ
উঠে।
এই প্রতিবেদন শেয়ার করুন
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEioPhKW8cG4LkQJ6xPen-nWqRbxyQrAkQOeLnAVgVxIWNtitXNfB19q9IP94Eo7EbZdNRwlwaaEImdyFQBWUayK5QMC-pfhUapFu0lc0bWbxSrazHjUuxVyxDuE8A_XMomiqA1Cq71_Xwo/s350/1416576570358.jpeg)
No comments:
Post a Comment